আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫ ১২:৪৯ এএম
রাশিয়ায় নিহত সেনাদের পরিবারকে ‘সুন্দর জীবন’ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কিম জং উনের
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে নিহত সেনাদের পরিবারকে ‘সুন্দর জীবন’ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নিহত সেনাদের ‘শহীদ’ আখ্যা দিয়ে তিনি তাদের বীরত্বের প্রশংসা করেছেন। খবরটি শনিবার (৩০ আগস্ট) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ-এর বরাতে রয়টার্স প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার নিহত সেনাদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতে কিম বলেন, “তাদের মূল্যবান জীবন রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি।”
তিনি নিহত সেনাদের পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তানদের বিশ্বের সবচেয়ে দৃঢ়, দেশপ্রেমিক ও ন্যায়পরায়ণ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেন। কিম বলেন, “তারা আমাকে কোনো চিঠি পাঠাননি, তবে আমি মনে করি, তারা তাদের প্রিয় সন্তান ও পরিবারকে আমার কাছে অর্পণ করেছেন।”
কিম প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, “শহীদদের রক্তের বিনিময়ে রক্ষিত এই দেশে আপনাদের জন্য সুন্দর জীবন নিশ্চিত করা হবে।”
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারে দেখা যায়, নিহত সেনাদের পরিবারকে সম্মান জানাতে কিম গভীরভাবে নতজানু হন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকেই আবেগে আপ্লুত হন।
উল্লেখ্য, লভিভ অঞ্চলে উত্তর কোরীয় সেনাদের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির পর নিহতদের পরিবারকে সম্মান জানাতে এই আয়োজন করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে কিম ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার কুর্স্ক সীমান্তে উত্তর কোরীয় সেনাদের মোতায়েনের বিষয়টি প্রকাশ্যে স্বীকার করেছিলেন।
শনিবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত ২৫ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্রে ‘অপারেশন কুর্স্ক লিবারেশন’–এ অংশ নেওয়া উত্তর কোরীয় সেনাদের যুদ্ধের দৃশ্য দেখানো হয়। তবে ভিডিওর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স।
কেসিএনএ জানিয়েছে, কিম গত বছরের আগস্টে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন। তার দুই মাস আগে পুতিনের সঙ্গে করা নিরাপত্তা চুক্তিতে পারস্পরিক প্রতিরক্ষা প্রতিশ্রুতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।
আসন্ন সপ্তাহে চীনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাপানের আত্মসমর্পণ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সামরিক কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার সময় কিম আবারও পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এটি দুই বছরের মধ্যে তাদের তৃতীয় বৈঠক হবে।
এখন পর্যন্ত সেনা মোতায়েনের সংখ্যা বা নিহতের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি পিয়ংইয়ং বা মস্কো। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা দাবি করছে, প্রায় ১৫ হাজার সেনার মধ্যে অন্তত ৬০০ জন নিহত হয়েছে। পশ্চিমা গোয়েন্দারা নিহত ও আহত মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি বলে অনুমান করছে।
ভোরের আকাশ//হ.র