আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ জুলাই ২০২৫ ০২:৫০ এএম
থাই-কম্বোডিয়া সংঘাতের জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করল চীন
দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংঘাত। শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকাল থেকে নতুন করে পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়েছে। এতে উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে, ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সীমান্ত অঞ্চল। এই পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে চীনে। সমাধানের আগ্রহ জানিয়ে বেইজিং বলেছে, সংঘাতের মূল দায় পশ্চিমাদের।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই অভিযোগ করেছেন, থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়ার মধ্যকার এই বিরোধ পশ্চিমা উপনিবেশবাদের “দীর্ঘস্থায়ী ফল”। বেইজিংয়ে আসিয়ান মহাসচিব কাও কিম হোর্নের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, “এই সমস্যার শিকড় অতীতের ঔপনিবেশিক মানসিকতায় নিহিত। এখন সময় এসেছে এটি শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করার এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার।”
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওয়াং ই সংঘাতে হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, চীন এই সংকট নিরসনে একটি “ন্যায্য ও নিরপেক্ষ” অবস্থান বজায় রেখে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
উল্লেখ্য, থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে চলমান উত্তেজনার পেছনে রয়েছে ১৯০৭ সালে ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনের অধীনে তৈরি একটি মানচিত্র। কম্বোডিয়া এই মানচিত্রকে নিজেদের দাবির পক্ষে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করলেও, থাইল্যান্ড দাবি করছে মানচিত্রটি ভুল এবং ত্রুটিপূর্ণ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সংঘাত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য একটি বড় কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে অতীতের ঔপনিবেশিক ইতিহাস এখনও বর্তমানকে প্রভাবিত করছে।
ভোরের আকাশ//হ.র