আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫ ১২:০৫ এএম
গাজাবাসীদের জন্য ‘বিশেষ ভিসা স্কিম’ চালুর আহ্বান ব্রিটিশ এমপিদের
গাজাবাসীদের জন্য ‘বিশেষ ভিসা স্কিম’ চালুর আহ্বান জানিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে চিঠি দিয়েছেন দেশটির ৬৭ জন সংসদ সদস্য ও লর্ডস সদস্য। ইউক্রেন যুদ্ধের সময় চালু হওয়া ‘ইউক্রেন ফ্যামিলি স্কিম’-এর অনুরূপ একটি উদ্যোগ গাজাবাসীদের জন্যও গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (৩০ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ–এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এমপিদের এই চিঠিতে ‘গাজা ফ্যামিলি স্কিম’ নামে একটি নতুন ভিসা প্রকল্প চালুর দাবি জানানো হয়েছে, যাতে গাজার ফিলিস্তিনিরা তাদের যুক্তরাজ্য প্রবাসী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে পুনর্মিলিত হতে পারেন। চিঠিতে এই সুবিধা গাজা উপত্যকা নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “যেভাবে যুক্তরাজ্য হংকং ও ইউক্রেন থেকে নির্যাতিতদের আশ্রয় দিয়েছে, তেমনি এবার গাজাবাসীদের প্রতিও মানবিকতা ও উদারতা দেখানো উচিত।”
২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের পর ব্রিটিশ সরকার চালু করেছিল ‘ইউক্রেন ফ্যামিলি স্কিম’। এই স্কিমের আওতায় ইউক্রেনীয়রা যুক্তরাজ্যে তিন বছর পর্যন্ত থাকার পাশাপাশি কাজ ও পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছিলেন।
চিঠিতে সই করেছেন লেবার পার্টির ৩৫ জন এমপি ও লর্ডস সদস্য, গ্রিন পার্টির চার এমপি, লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি টিম ফ্যারন ও লায়লা মোরান, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের কয়েকজন এমপি।
এছাড়া এতে রয়েছেন সাবেক লেবার নেতা জেরেমি করবিন, জন ম্যাকডনেল এবং কনজারভেটিভ পার্টির একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ব্যারোনেস হেলিক।
চিঠিতে এমপিরা অভিযোগ করেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে। ইসরায়েল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে, ত্রাণ নিতে যাওয়া মানুষদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে এবং খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
তারা জানান, গাজার বহু মানুষ যুক্তরাজ্যে আসতে আগ্রহী হলেও ভিসা আবেদন করতে পারছেন না। কারণ গাজার বায়োমেট্রিক আবেদন কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে এবং রাফা সীমান্ত বন্ধ রয়েছে। অনেকে মিশরে গিয়ে আটকে পড়েছেন, যেখানে তাদের শিক্ষার বা চিকিৎসার সুযোগ নেই।
চিঠির অন্যতম উদ্যোক্তা, লেবার এমপি মার্শা ডে করডোভা স্কাই নিউজকে বলেন, “ইউক্রেনের জন্য যেভাবে পরিবারভিত্তিক ভিসা স্কিম চালু হয়েছিল, গাজার ক্ষেত্রেও এমন উদ্যোগ নেয়া উচিত। এতে প্রমাণ হবে, সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবারগুলোর পাশে আছে।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যদিও প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে।
ভোরের আকাশ//হ.র