পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করলে যেসব উপকার হয়
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব নারীদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও অনেকের জন্য তা হয়ে দাঁড়ায় কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতা। তলপেটে ক্র্যাম্প, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, ক্লান্তি, পেট ফাঁপা—এ রকম নানা সমস্যায় অনেক নারী ভোগেন। তবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়েও ব্যায়াম করা গেলে এই উপসর্গগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়—
ব্যথা উপশম করে
পিরিয়ডের সময় অনেকেরই তলপেট ও উরুতে টান বা ব্যথা হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এমন ক্র্যাম্প অনেকটাই কমে আসে। ছোট পরিসরের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, হালকা অ্যারোবিক বা স্ট্রেচিং ব্যায়াম এই সময়ের ব্যথা কমাতে সহায়ক।
মেজাজ ভালো রাখে
পিরিয়ডের সময় মেজাজ ওঠানামা করাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৩ দিন মাত্র ২০-৩০ মিনিটের ব্যায়ামই মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস করতে পারে।
পেট ফাঁপা কমায়
সাইকেল চালানো বা নাচের মতো হালকা অ্যারোবিক ব্যায়াম শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং অ্যালডোস্টেরন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে কমে পেট ফাঁপা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।
ঘুমের মান উন্নত করে
পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে অনেক নারীর। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে ভালো লাগার হরমোন নিঃসরণ হয়, যা ঘুমের মান ভালো করতে সাহায্য করে এবং ব্যথাও কমায়।
শক্তি বাড়ায়
পিরিয়ডের সময় ক্লান্তি ও শক্তির ঘাটতি স্বাভাবিক হলেও হালকা ব্যায়াম শরীরে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ও মন ভালো করে শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
উপসংহার: পিরিয়ড চলাকালীন ব্যায়াম বন্ধ না রেখে বরং হালকা কিছু শরীরচর্চা চালিয়ে গেলে উপকারই মিলবে বেশি। একান্ত অসুস্থ বা জটিলতা না থাকলে নিয়মিত ব্যায়ামই হতে পারে পিরিয়ডকালীন স্বস্তির চাবিকাঠি। তবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও ভুলবেন না।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
পিরিয়ড বা ঋতুস্রাব নারীদের শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও অনেকের জন্য তা হয়ে দাঁড়ায় কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতা। তলপেটে ক্র্যাম্প, মাথাব্যথা, খিটখিটে মেজাজ, ক্লান্তি, পেট ফাঁপা—এ রকম নানা সমস্যায় অনেক নারী ভোগেন। তবে পিরিয়ড চলাকালীন সময়েও ব্যায়াম করা গেলে এই উপসর্গগুলো অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়—ব্যথা উপশম করেপিরিয়ডের সময় অনেকেরই তলপেট ও উরুতে টান বা ব্যথা হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করলে এমন ক্র্যাম্প অনেকটাই কমে আসে। ছোট পরিসরের কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, হালকা অ্যারোবিক বা স্ট্রেচিং ব্যায়াম এই সময়ের ব্যথা কমাতে সহায়ক।মেজাজ ভালো রাখেপিরিয়ডের সময় মেজাজ ওঠানামা করাটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু নিয়মিত ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে ও মেজাজ স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে ৩ দিন মাত্র ২০-৩০ মিনিটের ব্যায়ামই মানসিক চাপ অনেকটাই হ্রাস করতে পারে।পেট ফাঁপা কমায়সাইকেল চালানো বা নাচের মতো হালকা অ্যারোবিক ব্যায়াম শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয় এবং অ্যালডোস্টেরন হরমোনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে কমে পেট ফাঁপা ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা।ঘুমের মান উন্নত করেপিরিয়ড চলাকালীন সময়ে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে অনেক নারীর। ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে ভালো লাগার হরমোন নিঃসরণ হয়, যা ঘুমের মান ভালো করতে সাহায্য করে এবং ব্যথাও কমায়।শক্তি বাড়ায়পিরিয়ডের সময় ক্লান্তি ও শক্তির ঘাটতি স্বাভাবিক হলেও হালকা ব্যায়াম শরীরে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে ও মন ভালো করে শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।উপসংহার: পিরিয়ড চলাকালীন ব্যায়াম বন্ধ না রেখে বরং হালকা কিছু শরীরচর্চা চালিয়ে গেলে উপকারই মিলবে বেশি। একান্ত অসুস্থ বা জটিলতা না থাকলে নিয়মিত ব্যায়ামই হতে পারে পিরিয়ডকালীন স্বস্তির চাবিকাঠি। তবে প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও ভুলবেন না।ভোরের আকাশ//হ.র
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪২৯ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে বলা হয়, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে আছেন ১৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ৬১, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৪২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৪৫ জন, খুলনা বিভাগে ২১ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৫৪ জন।এদিকে গত একদিনে সারাদেশে ৩৫৮ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯ হাজার ৮৭ জন।স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সবমিলিয়ে ১০ হাজার ২৯৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।ভোরের আকাশ/এসএইচ
শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো লিভার। এটি শরীরের ভেতরে নানা ধরনের বিষাক্ত পদার্থ ছেঁকে ফেলে, হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের রসায়ন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে দুঃখজনকভাবে, অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং অতিরিক্ত ওষুধ গ্রহণের ফলে লিভারে ধীরে ধীরে ক্ষতি হতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না নিলে ফ্যাটি লিভার কিংবা সিরোসিসের মতো রোগ প্রাণঘাতী পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।লিভারে সমস্যা দেখা দিলে আমাদের শরীর অনেক আগে থেকেই সংকেত দিতে শুরু করে—আর এই সংকেতগুলোর অন্যতম বাহক হতে পারে ত্বক। তাই এসব লক্ষণকে অবহেলা না করে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।চলুন জেনে নেওয়া যাক, লিভারের সমস্যায় ত্বকে দেখা দিতে পারে এমন ৪টি লক্ষণ—১. জন্ডিসলিভারের সমস্যার সবচেয়ে স্পষ্ট লক্ষণ হলো ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া। লিভার যদি ঠিকমতো কাজ না করে, তবে বিলিরুবিন নামক পদার্থ শরীরে জমা হতে থাকে। এর প্রভাব পড়ে সরাসরি ত্বক ও চোখে। এই অবস্থাকে জন্ডিস বলা হয় এবং এটি লিভারের গুরুতর বিপর্যয়ের ইঙ্গিত হতে পারে।কী করবেন: ত্বক বা চোখে হলুদ ভাব দেখলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।২. ত্বকে চুলকানি ও জ্বালাপোড়ালিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে শরীরে টক্সিন জমে যেতে থাকে। সেইসঙ্গে পিত্ত রস সঠিকভাবে নির্গত না হলে ত্বকে চুলকানি বা জ্বালাপোড়া হতে পারে। এটি অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং স্বাভাবিক মলম বা ওষুধে সারে না।কী করবেন: এ ধরনের সমস্যা অবহেলা না করে লিভার পরীক্ষা করান।৩. ফুসকুড়ি, ফোঁড়া বা ব্রণলিভারের দুর্বলতার কারণে রক্ত সঞ্চালন বাধাগ্রস্ত হতে পারে, যার সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি, ফোঁড়া বা ব্রণের মাধ্যমে। এসব সমস্যা সাধারণ ওষুধে না সারলে লিভারের দিকেই নজর দিতে হবে।কী করবেন: বারবার ত্বকে সমস্যা দেখা দিলে একবার লিভার ফাংশন টেস্ট করিয়ে নেওয়া ভালো।৪. চোখ ও মুখ ফুলে যাওয়ালিভার ভালোভাবে কাজ না করলে শরীরে অতিরিক্ত তরল জমে যেতে পারে। এর প্রথম প্রভাব পড়ে মুখমণ্ডল ও চোখে। অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠে মুখ ও চোখ ফুলে থাকার অভিযোগ করেন—এটি হতে পারে লিভারের দুর্বলতার প্রাথমিক লক্ষণ।কী করবেন: এই লক্ষণ যদি নিয়মিত দেখা দেয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করান।উপসংহারলিভারের সমস্যা কখনো হঠাৎ করে দেখা দেয় না, বরং শরীর অনেক আগেই ইঙ্গিত দিতে শুরু করে। বিশেষ করে ত্বকে হঠাৎ পরিবর্তন, অস্বাভাবিক চুলকানি, কিংবা হলুদাভ ভাব দেখলেই সচেতন হওয়া জরুরি। সময়মতো চিকিৎসা নিলে বড় বিপদ সহজেই এড়ানো সম্ভব।সূত্র: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ মতামত, ঢাকা পোস্টভোরের আকাশ//হ.র
দেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং একই সময়ে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন। চলতি বছরের ২৯ জুন পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৮৬৭ জন। এর মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী রয়েছেন। রোববার (২৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৮ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় ৩৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত মোট আট হাজার ৭২৯ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং চলতি বছরে এ যাবত ডেঙ্গুতে ৪২ জন মারা গিয়েছেন। মৃত একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৫৭৫ জন।এর আগে ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়, পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোট তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।ভোরের আকাশ/এসএইচ