আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫ ০২:০৫ এএম
পুতিন-পেজেশকিয়ানের ফোনালাপ, ইরানের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইউরোপ
তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান সোমবার টেলিফোনে কথা বলেছেন। অকার্যকর হয়ে পড়া ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে ইউরোপীয় দেশগুলো যখন নতুন করে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিচ্ছে, তখনই এ আলাপ হয়।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই নেতা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি। ইরানি প্রেসিডেন্সির তথ্যমতে, পেজেশকিয়ান সমৃদ্ধকরণের অধিকারে সমর্থন দেওয়ার জন্য পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরান কখনোই পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়নি এবং ভবিষ্যতেও চাইবে না।
এদিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি সতর্ক করেছে— ইরান যদি ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সীমিত না করে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর সঙ্গে সহযোগিতা পুনরায় শুরু না করে, তবে তারা ‘স্ন্যাপব্যাক মেকানিজম’ সক্রিয় করবে। এর ফলে জাতিসংঘের সেই নিষেধাজ্ঞাগুলো আবার কার্যকর হতে পারে, যা ২০১৫ সালের চুক্তির অধীনে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। ইরানি গণমাধ্যম জানিয়েছে, মঙ্গলবার জেনেভায় ইউরোপের এই তিন দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসবে তেহরান।
রাশিয়া ও ইরান ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করেছে। গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক আলোচনায় যাওয়ার আগে তেহরান নিয়মিতভাবে মস্কো ও বেইজিংয়ের সঙ্গে অবস্থান সমন্বয়ের চেষ্টা করছে।
রুশ দৈনিক কোমেরসান্ত জানিয়েছে, মস্কো ‘স্ন্যাপব্যাক’ নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, এ ধরনের পদক্ষেপ ইউরোপের পক্ষ থেকে গুরুতর অস্থিতিশীলতা তৈরি করবে।
২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত যৌথ সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা (জেসিপিওএ) অনুযায়ী, নিষেধাজ্ঞা শিথিলতার বিনিময়ে ইরানকে তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তেহরান বলছে, ইউরোপীয় দেশগুলো নিজেরাই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
এ বছরের শুরুতে ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের পর আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিত করে ইরান। তেহরানের অভিযোগ, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালেও আন্তর্জাতিক সংস্থাটি সে বিষয়ে নিন্দা জানায়নি।
ভোরের আকাশ//হ.র