গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ০২:৫৫ এএম
ছবি সংগ্রহীত
দেশের বৃহত্তম ও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। দেশের প্রায় আড়াই হাজার কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করছেন। এসব শিক্ষার্থীর শিক্ষাদান কার্যক্রমে যুক্ত আছেন লক্ষাধিক শিক্ষক।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর দুই-তৃতীয়াংশই বেসরকারি। এদের সরকারি সহায়তা সীমিত, শুধুমাত্র এমপিও ভাতা হিসেবে শিক্ষার্থী প্রতি বছরে মাত্র ৭৬৫ টাকা পান। বিশ্ববিদ্যালয় সরাসরি সরকারের কাছ থেকে কোনো অর্থ পায় না।
ভাইস-চ্যান্সলর বলেন, “ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রামসহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রতি বছরে সরকার ২-৩ লাখ টাকা ব্যয় করে। যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সংখ্যা মাত্র ৭৬৫ টাকা।” তিনি আরও বলেন, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি পরীক্ষার খাতা দেখার জন্য শিক্ষকরা ১৬০ টাকা বা তার বেশি পান, কিন্তু জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এর পরিমাণ মাত্র ৪৫ টাকা।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে শিক্ষার মান উন্নয়নে কিছু ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর একটি বড় অংশ কলেজগুলোর ইন-কোর্স ও অন্যান্য শিক্ষামূলক কার্যক্রমে ব্যবহার হবে। তিনি উল্লেখ করেন, “বেসরকারি কলেজের জন্য সরকারের বাজেট নেই। সামান্য ফি বাড়ালেও শিক্ষার্থীরা আদালতে যেতে বাধ্য হয়। ২০১৫ সালের পর ফি বৃদ্ধি হয়নি, অথচ কাগজের মূল্য তিনগুণ বেড়েছে।”
প্রফেসর আমানুল্লাহ আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী দক্ষতা বাড়াতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। স্নাতক সম্মানে আইসিটি ও ইংরেজি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিক্ষার মান বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে এর জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট অর্থ, যা সরকারের কাছ থেকে আসা জরুরি।
তিনি বললেন, “শিক্ষায় বিনিয়োগ না বাড়ালে গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। এর সঙ্গে জাতির সার্বিক উন্নয়নও অনিশ্চিত।”
সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে “ইকোনমিক রিফরম সামিট ২০২৫”-এর “ট্যাকলিং ইয়ুথ আনইমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ড্রাইভিং স্লো মাইগ্রেশন” শীর্ষক সেশনে। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিডিজবস ডট কমের প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাসরুর। বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পলিসি অ্যাডভাইজার জিয়া হাসান, ব্রেইন-এর নির্বাহী পরিচালক ড. শফিকুর রহমান, বিল্ডনশন-এর প্রতিষ্ঠাতা মাহতাব উদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের মাহমুদা হাবিবা।
ভোরের আকাশ//হর