যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে কাঠামোগত এক চুক্তিতে পৌঁছেছে দুই দেশ। লন্ডনে অনুষ্ঠিত দুই দিনের বৈঠকে মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক জানান, এই চুক্তি জেনেভায় স্বাক্ষরিত আগের সমঝোতার বাস্তব রূপ। এতে পাল্টা শুল্ক কমানোর পথ তৈরি হবে এবং চীনের বিরল খনিজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চীনের ভাইস কমার্স মন্ত্রী লি চেংগ্যাংও জানান, রাষ্ট্রপ্রধানদের সাম্প্রতিক ফোনালাপের ভিত্তিতে এই সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে।
তবে, ১০ আগস্টের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হলে বিদ্যমান শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে বেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪৫% ও চীনে ১২৫% হয়ে যেতে পারে, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বব্যাংক ইতিমধ্যে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে এবং চীনের রপ্তানি মে মাসে ৩৪.৫% হ্রাস পেয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
ভোরের আকাশ।।হ.র
সংশ্লিষ্ট
লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় আল-খুমস উপকূলে প্রায় ১০০ জন যাত্রীবাহী দুটি নৌকা ডুবে চারজন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে বলে শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছে লিবিয়ান রেড ক্রিসেন্ট।তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে সংস্থাটি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে আল-খুমস উপকূলের কাছে দুইটি উল্টে যাওয়া নৌকার খবর পেয়ে উদ্ধারকারীরা সেখানে পৌঁছায়। প্রথম নৌকাটিতে ছিলেন বাংলাদেশি ২৬ জন অভিবাসী। তাদের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।দ্বিতীয় নৌকাটিতে ছিলেন মোট ৬৯ জন—এর মধ্যে দুইজন মিশরীয় এবং ৬৭ জন সুদানি নাগরিক। ওই নৌকায় আটজন শিশু ছিল বলে জানিয়েছে রেড ক্রিসেন্ট।জীবিত এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার এবং চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য জরুরি ও উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে।ইউরোপে অবৈধ পথে পৌঁছাতে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার জন্য লিবিয়াকে প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে অনেক অভিবাসী। সাম্প্রতিক সময়ে ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে অনিয়মিত অভিবাসী প্রবাহ বাড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যেও।এদিকে জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, চলতি বছর মধ্য ভূমধ্যসাগরের কেন্দ্রীয় রুটে প্রাণহানি এরইমধ্যে এক হাজার ছাড়িয়েছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ওকাশ্মীরের একটি থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে শ্রীনগরের নোগাম থানায় জব্দকৃত বিস্ফোরকে বিস্ফোরণ ঘটে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় এ সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে একটি সূত্র। নিহতদের বেশিরভাগ পুলিশ সদস্য এবং ফরেনসিক দলের সদস্য। তারা বিস্ফোরক পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময় এ ঘটনা ঘটে।নিহতদের মধ্যে শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তা রয়েছেন। আহতদের সেনাবাহিনীর ৯২ ঘাঁটি হাসপাতাল এবং শের-ই-কাশ্মির ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সাইন্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে গেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়া ওই জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছে।এনডিটিভি জানিয়েছে, এই থানার পুলিশ সদস্যরা ওই এলাকায় সশস্ত্র গোষ্ঠী জইস-ই-মোহাম্মদের পোস্টার লাগানোর বিষয়টির সুরাহা করেছিল।পোস্টারের সূত্র ধরে ব্যাপক বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। এছাড়া কয়েকজন চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়।এরমধ্যে আদিল আহমেদ রাথের নামে এক চিকিৎসককে গত অক্টোবরে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এমন পোস্টার লাগাচ্ছিলেন যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ও কাশ্মিরে বহিরাগতদের ওপর বড় হামলার হুঁশিয়ারি বাক্য ছিল। তাকে গ্রেপ্তারের পর একটি নেটওয়ার্কের সন্ধান পাওয়া যায়। যারা দিল্লিতে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যা করে।ভোরের আকাশ/তা.কা
তিন দেশের চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী তালিকাভুক্ত করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সংগঠনগুলোকে সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বামপন্থি সহিংসতার আন্তর্জাতিক ঢেউ মোকাবিলার অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিতে চলেছে।শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে জার্মানির ইন্তেফা ওস্ট, ইতালিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল রেভল্যুশনারি ফ্রন্ট, এবং গ্রিসের দুটি সংগঠন আর্মড প্রোলেটারিয়ান জাস্টিস ও রেভল্যুশনারি ক্লাস সেলফ ডিফেন্স যুক্তরাষ্ট্রের নজরদারিতে রয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলো পশ্চিমা সভ্যতার ভিত্তি দুর্বল করার জন্য নৃশংস হামলা চালাচ্ছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই ঘোষণার ফলে মার্কিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরও কঠোর নজরদারি, আর্থিক পর্যবেক্ষণ ও অন্যান্য বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারবে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের ভেতর যেসব ব্যক্তি এসব গোষ্ঠীর সহানুভূতিশীল বা সমর্থক বলে বিবেচিত হবেন, তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের নজরদারি চালানো সম্ভব হবে।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এসব গোষ্ঠী বিপ্লবী অরাজকতাবাদী বা মার্কসবাদী মতাদর্শ অনুসরণ করে। এর মধ্যে অ্যান্টি-আমেরিকানিজম, অ্যান্টি-ক্যাপিটালিজম এবং অ্যান্টি-খ্রিস্টানিটি রয়েছে। এগুলোদেশের ভেতরে ও বাইরে সহিংস আক্রমণ উসকে দিতে ব্যবহৃত হয়। এই ঘোষণার পর মার্কিন নাগরিকদের জন্য এসব সংগঠন বা তাদের সদস্যদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন বেআইনি হবে।নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইন্তেফা কোনো পূর্ণাঙ্গ সংগঠন নয়—এর কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, সদস্যপদ বা কাঠামো নেই। গ্রিসের পিরেয়াস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক ইমেরিটাস অধ্যাপক মেরি বোসিস বলেন, অ্যান্টিফাসিস্ট কর্মীদের সঙ্গে সহিংস উগ্রপন্থি গোষ্ঠীগুলোর মিল খোঁজা ‘সম্পূর্ণ ভুল’।তিনি দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, গ্রিসে ইন্তেফা আন্দোলন কখনোই সন্ত্রাসী কৌশল ব্যবহার করেনি। তারা এমনকি নির্বাচনে অংশ নেয় এবং তাদের কর্মকাণ্ডে কোনো ধরনের সহিংসতার প্রমাণ নেই। ইউরোপের ইন্তেফা কর্মীদের অনলাইন বার্তাগুলোতে সেই ধরনের সহিংস ভাষা দেখা যায় না, যা ডানপন্থি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রায়শই দেখা যায়।তিনি বলেন, মার্কিন রাজনীতিতে এই অতিরিক্ত রক্ষণশীলতা অত্যন্ত দুঃখজনক। মনে হচ্ছে বিশ্বের মানুষকে ‘ভালো ডানপন্থি’ ও ‘খারাপ বামপন্থিতে’ ভাগ করার জন্য এমন কৌশল নেওয়া হয়েছে। এটি একমাত্র তখনই অর্থবহ হবে যখন কেউ মাঝারি-বাম বা প্রগতিশীলদের নাম কালিমালিপ্ত করতে চায়, যদিও তারা কখনো সহিংসতার পক্ষে নয়।ভোরের আকাশ/মো.আ.
দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় ২ লাখ ৮২ হাজারের বেশি বাড়িঘর ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ।ফলে শীত আসার আগেই তাঁবুতে ঠাঁই নিয়েছেন লাখো মানুষ। আর ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায় যুদ্ধবিরতিও কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।ইউএনআরডব্লিউএ বলছে, শেল্টার ক্লাস্টার নামে একটি মানবিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এই হিসাব পাওয়া গেছে। সংস্থাটি ইউএনআরডব্লিউএ এবং আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট ফেডারেশনের যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া বিবৃতিতে ইউএনআরডব্লিউএ এসব তথ্য জানায়।ইউএনআরডব্লিউএ আরও জানায়, শীত আসার আগে থেকেই লাখ লাখ ফিলিস্তিনি পরিবার তাঁবুতে দিন কাটাচ্ছে। তারা অত্যন্ত সংকীর্ণ জায়গায় গাদাগাদি অবস্থায় থাকছে এবং ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষায় সমস্যার মুখে পড়ার পাশাপাশি মৌলিক নানা বিষয়ও নিশ্চিত করতে লড়তে হচ্ছে তাদের।প্রসঙ্গত, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে গত ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও ইসরায়েল প্রতিদিনই এই সমঝোতা লঙ্ঘন করে যাচ্ছে। যার ফলে শত শত ফিলিস্তিনি হতাহত হচ্ছেন এবং খাবার ও চিকিৎসাসামগ্রী গাজার ভেতরে প্রবেশেও বাধা তৈরি হচ্ছে।২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ। লাগাতার ধ্বংসযজ্ঞে গাজা উপত্যকা এখন বাসযোগ্যতাই হারিয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.