ওড়িশায় দুই ট্রাকভর্তি বিস্ফোরক লুট, রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা সতর্কতা
ভারতের ওড়িশা রাজ্যের সুন্দরগড় জেলায় মাওবাদীদের হাতে দুই ট্রাকভর্তি বিস্ফোরক লুটের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে চরম উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে ইটমার কাছাকাছি একটি নির্জন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে জানা যায়, ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সশস্ত্র মাওবাদী দল পরিকল্পিতভাবে ট্রাক দুটি থামিয়ে প্রায় চার টন বিস্ফোরক লুট করে নিয়ে যায়। ওই সময় ট্রাক চালকদেরও অপহরণ করা হয়, তবে কয়েক ঘণ্টা পরই তাদের অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্র মতে, লাঙ্গলকাটা পাথর খনিতে ব্যবহারের জন্য বিস্ফোরক বহনকারী ট্রাক দুটি অস্ত্রাগার থেকে যাত্রা করেছিল। পথিমধ্যে সশস্ত্র মাওবাদীরা অস্ত্রের মুখে চালকদের জিম্মি করে বিস্ফোরকগুলো নিয়ে নেয় এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার খবর পাওয়ার পরই কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ বাহিনী (সিআরপিএফ) এবং স্থানীয় পুলিশ এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করে। এলাকাজুড়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি অভিযান। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “পুরো এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতাও জোরদার করা হয়েছে। বৃহত্তর পরিসরে অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে মাওবাদী তৎপরতা বাড়ছে। তবে এত বড় পরিমাণে বিস্ফোরক লুটের ঘটনা এ এলাকায় এই প্রথম। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, লুট করা বিস্ফোরক মাওবাদীরা ভবিষ্যতে সহিংস কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে পারে, যা নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
স্থানীয় প্রশাসন জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো সন্দেহজনক আচরণ বা গতিবিধি দেখলে তা দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে আহ্বান জানিয়েছে।
ভোরের আকাশ//হ.র
সংশ্লিষ্ট
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কোনো ভিত্তি, কারণ বা অধিকার তাইওয়ানের নেই বলে জানিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বেইজিংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এ মন্তব্য করেন।মাও বলেন, “বিশ্বে চীন নামে একটিই রাষ্ট্র রয়েছে এবং তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই জাতিসংঘ কিংবা অন্য কোনো আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংগঠনে যোগদানের জন্য তাইওয়ানের আলাদা কোনো অবস্থান নেই।”এই মন্তব্যের পেছনে প্রেক্ষাপট তৈরি করেছে সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসে পাস হওয়া ‘তাইওয়ান নন-ডিসক্রিমিনেশন অ্যাক্ট’ নামের একটি আইন, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে জাতিসংঘ, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সদস্য করার সুপারিশ করতে পারবে।চীন এই পদক্ষেপকে তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখছে। এ নিয়ে কঠোর অবস্থান জানিয়ে মাও নিং বলেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানাই যেন তারা এক চীন নীতি, আন্তর্জাতিক আইন এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মৌলিক নীতিগুলো মেনে চলে। দয়া করে তাইওয়ান ইস্যুকে কেন্দ্র করে চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা বন্ধ করুন।”তাইওয়ান ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে টানাপড়েন চলে আসছে। ১৯৪৯ সালে চীনে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর থেকে তাইওয়ান মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি স্বশাসিত দ্বীপ হিসেবে নিজেদের পরিচালনা করে আসছে। যদিও বেইজিং এখনো দ্বীপটিকে নিজ দেশের অংশ হিসেবেই বিবেচনা করে।১৯৭৯ সালে চীনের চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। তবে একই বছর মার্কিন কংগ্রেসে পাস হয় ‘তাইওয়ান রিলেশন অ্যাক্ট’, যার আওতায় তাইওয়ানকে নিয়মিতভাবে অস্ত্র এবং অর্থ সহায়তা দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।চীন তাইওয়ানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিটি প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করছে এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের যেকোনো পদক্ষেপের কড়া জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছে।সূত্র: আনাদোলু এজেন্সিভোরের আকাশ//হ.র
ইরান ও সিরিয়াকে ঘিরে রাশিয়ার সঙ্গে গোপন আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর বিরতির সুযোগে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে তেলআভিভ।বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কান-এর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে সংঘাত শিথিল হওয়ার পরপরই মস্কোর সঙ্গে আলোচনায় বসে ইসরায়েল। রাশিয়ার পক্ষ থেকে মধ্যস্থতার প্রস্তাবের ভিত্তিতে এই আলোচনা শুরু হয় যুদ্ধবিরতির এক সপ্তাহের মাথায়।যদিও আলোচনার নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে— আলোচনার মূল এজেন্ডা ছিল সিরিয়া ও ইরানে ইসরায়েলের নিরাপত্তাগত উদ্বেগ এবং এর কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা।এদিকে ইরান ইস্যুতে রাশিয়ার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি কাঠামোগত চুক্তি করতে চায় ইসরায়েল। কান-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। সেখানে ইরানবিষয়ক একটি নিরাপত্তা কাঠামোর রূপরেখা তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে।এই প্রস্তাবিত কাঠামোটি লেবাননের সঙ্গে অতীতের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা চুক্তির আদলে তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এছাড়া, যুদ্ধবিরতির পর আবারও আব্রাহাম অ্যাকর্ডস বা আরব দেশগুলোর সঙ্গে স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি সম্প্রসারণে মনোযোগ দিয়েছে ইসরায়েল। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে এখন সিরিয়ার সঙ্গেও সম্ভাব্য আলোচনার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যদিও এ বিষয়ে এখনো সরকারি কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।বিশ্লেষকদের মতে, চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইসরায়েলের এই কৌশলগত কূটনীতি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন এক মাত্রা যোগ করতে পারে।ভোরের আকাশ//হ.র
সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত বিগ টিকিট র্যাফেল ড্রতে ২৫ মিলিয়ন দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা) জিতেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ নাসের মোহাম্মদ বেলাল। তিনি আবুধাবিতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন।বিগ টিকিট র্যাফেল ড্রর ০৬১০০৮০ নম্বরের টিকিটের মালিক বেলাল গত ২৪ জুন এই পুরস্কার জেতেন বলে জানিয়েছেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ।ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থাপক রিচার্ড ও বুশরা বিজয়ীর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, তবে তাকে ফোনে না পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কথা বলতে পারেননি। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, বিজয়ীর সঙ্গে পরবর্তীতে যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।সংযুক্ত আরব আমিরাতে বহুল জনপ্রিয় এই র্যাফেল ড্রে প্রতি মাসেই লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়ে থাকেন। গত মাসেও ২৭৫তম সিরিজের গ্র্যান্ড প্রাইজ হিসেবে ২০ মিলিয়ন দিরহাম জিতেছিলেন স্থানীয় নাগরিক মোবারক গারিব রাশিক সালেম আল ধাহেরি।অন্যদিকে, বিগ টিকিটের সাপ্তাহিক ই-ড্রতে ১৫০,০০০ দিরহাম পুরস্কার জেতেন আরেক প্রবাসী বাংলাদেশি মোহাম্মদ চৌধুরী।বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হাজারো বাংলাদেশি প্রতিনিয়ত নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় এই র্যাফেলে অংশ নিয়ে থাকেন। এবারের বিজয় যেনো তাদের সেই আশারই এক বাস্তব রূপ।সূত্র: গালফ নিউজভোরের আকাশ//হ.র
ইউক্রেন যুদ্ধ, ইরান সংকট ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) অনুষ্ঠিত এ ফোনালাপকে ‘খোলামেলা ও গঠনমূলক’ বলে বর্ণনা করেছে ক্রেমলিন।রুশ পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত বন্ধ করার আহ্বান জানান। জবাবে পুতিন জানান, মস্কো এখনো কিয়েভের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছে। বিশেষ করে তিনি পূর্ববর্তী তুরস্কভিত্তিক আলোচনার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেসব প্রচেষ্টা কিছু মানবিক ফল বয়ে এনেছিল।তবে পুতিন এক্ষেত্রে সতর্ক অবস্থানে থেকে বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া তাদের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত পিছু হটবে না। তিনি দাবি করেন, ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের আকাঙ্ক্ষা এবং রুশভাষীদের নিরাপত্তা হুমকির কারণেই ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেনা পাঠাতে বাধ্য হন।সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির প্রসঙ্গে পুতিন বলেন, ইউক্রেনকে অবশ্যই ন্যাটোর সদস্যপদ ত্যাগ করতে হবে এবং রাশিয়ার দখলকৃত অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দিতে হবে।এই ফোনালাপের সময় পেন্টাগন ইউক্রেনকে সরবরাহকৃত কিছু অস্ত্র আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তের খবর সামনে আসে। সরবরাহ স্থগিত রাখা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে বিমান প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র ও নির্ভুল গাইডেড গোলাবারুদ। তবে ট্রাম্প-পুতিন আলোচনায় এই ইস্যু তোলা হয়নি বলে জানিয়েছেন উশাকভ।এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ডেনমার্ক সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, “আশা করি, শিগগিরই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে অস্ত্র সহায়তা বিষয়ে আলোচনা হবে।” তবে ট্রাম্প-পুতিন সংলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তাদের মানসিকতা খুবই ভিন্ন। আলোচনার কতটা সম্ভাবনা রয়েছে, তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই।”ট্রাম্প ও পুতিনের শেষবার ফোনালাপ হয়েছিল গত ১৪ জুন, ইসরায়েল যখন ইরানে হামলা চালায়, তার একদিন পর। সেই ধারাবাহিকতায় এবারকার ফোনালাপ দুই নেতার মধ্যে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।ফোনালাপে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে তার ৪.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের কর ছাড় ও ব্যয় সংকোচন বিলের কথা তুলে ধরেন, যাতে পুতিন তাকে শুভকামনা জানান এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শুভেচ্ছাও জানান।ইরান ইস্যু ও মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতা নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন। পুতিন জোর দেন, মধ্যপ্রাচ্যের সব মতপার্থক্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান করতে হবে। উভয় নেতা রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখার বিষয়ে সম্মত হন।প্রসঙ্গত, গত ২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়, যা ইসরায়েলের তেহরানবিরোধী অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি অংশগ্রহণের ইঙ্গিত দেয়।এছাড়া সিরিয়া পরিস্থিতি, জ্বালানি খাত এবং মহাকাশ গবেষণায় দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেন। উশাকভের মতে, পুতিন এমনকি একটি যৌথ চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রস্তাবও দেন, যাতে দুই দেশ ঐতিহ্যবাহী মূল্যবোধ তুলে ধরতে পারে।উল্লেখযোগ্যভাবে, মাত্র দুই দিন আগেই পুতিন তিন বছর পর প্রথমবারের মতো ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সরাসরি ফোনালাপে অংশ নেন।ভোরের আকাশ//হ.র