× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৫ ০৩:১১ পিএম

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের যুক্তরাজ্য সফরকালে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি সাবেক ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক।

দুর্নীতির অভিযোগে সৃষ্ট ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মেটাতে টিউলিপ এ সাক্ষাৎ চান বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে লেখা একটি চিঠি লিখেছেন টিউলিপ। লন্ডন সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। এ সময় রাজা চার্লস ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়্যার স্টারমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ড. ইউনূসের এই সফরকালে আলোচনার সুযোগ চেয়েছেন টিউলিপ।’

চিঠিতে টিউলিপ লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যিনি আমার খালা, তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক ও জড়িত থাকার বিষয়ে আমাকে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে—দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ থেকে এই যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে তা এই সাক্ষাৎ দূর করতে পারবে বলে আমি আশা করি।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক। আমার জন্ম লন্ডনে এবং ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত এক দশক ধরে হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি।’

টিউলিপ সিদ্দিক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে আমার হৃদয়ের টান রয়েছে কিন্তু সেখানে আমার কোনো সম্পত্তি বা ব্যবসায়িক স্বার্থ নেই। আমি ওই দেশে জন্মাইনি, থাকি না, এমনকি আমার পেশাগত জীবনও গড়ে উঠেনি সেখানে।’

টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘দুদককে আমি এ বিষয়ে পরিষ্কার করতে চেয়েছিলাম কিন্তু তারা লন্ডনে আমার আইনজীবীদের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগে আগ্রহ দেখায়নি। বরং তারা বারবার ঢাকার একটি ঠিকানায় এলোমেলোভাবে চিঠিপত্র পাঠাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই কাল্পনিক তদন্তের প্রতিটি ধাপ গণমাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অথচ আমার আইনি দলের সঙ্গে কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রতি লেখা চিঠিতে টিউলিপ সিদ্দিক আরও বলেন, ‘আমি জানি আপনি নিশ্চয়ই বোঝেন, এমন প্রতিবেদন যেন আমার নির্বাচনী এলাকার জনগণ ও আমার দেশের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে কোনো ব্যাঘাত না ঘটায়, সেটি নিশ্চিত করা কতটা জরুরি।’

টিউলিপের দাবি, তিনি তাঁর খালার বিরোধীদের পরিচালিত একটি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কুৎসা অভিযানের’ লক্ষ্যে পরিণত হয়েছেন।

দুর্নীতির অভিযোগের জেরে ব্রিটিশ মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয়েছে টিউলিপকে। বাংলাদেশের সাবেক সরকারের আমলে টিউলিপ সিদ্দিক ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হয়েছেন, এমন অভিযোগ উঠেছে।

গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সরকারি অবকাঠামো খাত থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন কি না—এ অভিযোগের তদন্ত করছে দুদক। এই অভিযোগের সূত্রপাত করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ।

দুদক এবং একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক বা তাঁর মা শেখ রেহানা ‘ক্ষমতা ও প্রভাব খাটিয়ে’ ৭ হাজার ২০০ বর্গফুট আয়তনের একটি জমি দখলে নিয়েছেন।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টিউলিপ সিদ্দিক। তাঁর আইনজীবীরা এসব অভিযোগকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ও ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন।

এদিকে গত মাসে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা যায়, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

তবে টিউলিপ জানিয়েছেন, এমন কোনো পরোয়ানা বা আদালতে হাজিরার আদেশ সম্পর্কে তাঁর জানা নেই। যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ‘২ বি’ প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতাভুক্ত দেশ হওয়ায়, যুক্তরাজ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে বাংলাদেশ থেকে স্পষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ দেখাতে হয়—যা মন্ত্রী বা বিচারক পর্যায়ে যাচাই করে অনুমোদন দিতে হয়।

গত বছর যুক্তরাজ্যে সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ ওঠার পর টিউলিপ নিজেই ব্রিটিশ মন্ত্রীদের আচরণবিধি তদারক কর্মকর্তা লরি ম্যাগনাসের কাছে রিপোর্ট করেন। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে তাঁকে সব অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।

ম্যাগনাস জানান, তদন্তে তিনি কোনো প্রমাণ পাননি যে টিউলিপের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জিত। তবে তিনি মত দেন, টিউলিপের উচিত ছিল—বাংলাদেশে তাঁর পারিবারিক সম্পৃক্ততা থেকে উদ্ভূত ভাবমূর্তির ঝুঁকির বিষয়ে আরও সতর্ক থাকা।

তদন্তে আরেকটি বিষয় খতিয়ে দেখা হয়, ২০১৩ সালে মস্কোতে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে স্বাক্ষরিত একটি পারমাণবিক চুক্তির সময় টিউলিপ সিদ্দিকের উপস্থিতি। এই চুক্তি ঘিরে গণমাধ্যমে তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উত্থাপিত হয়। তবে টিউলিপ জানান, তিনি তখন মস্কোতে পর্যটক হিসেবে অবস্থান করছিলেন। তাঁর এই ব্যাখ্যা যুক্তিযুক্ত মনে করে তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

তবুও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ইকোনমিক সেক্রেটারি ও সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে পদত্যাগ করেন টিউলিপ। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, এসব বিতর্ক কিয়্যার স্টারমারের নতুন সরকারের জন্য ‘বিভ্রান্তি’ তৈরি করছে।

ভোরের আকাশ/জাআ

  • শেয়ার করুন-
টিউলিপের চিঠির বিষয়ে প্রেস সচিব যা জানালো

টিউলিপের চিঠির বিষয়ে প্রেস সচিব যা জানালো

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে: রিজভী

নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে: রিজভী

গুলশানের ফ্ল্যাট দখল: টিউলিপসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

গুলশানের ফ্ল্যাট দখল: টিউলিপসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল

ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক ১৬ এপ্রিল

 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির মাংস বন্টন নিয়ে ভাইকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানির মাংস বন্টন নিয়ে ভাইকে হত্যার অভিযোগ

সংশ্লিষ্ট

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক

ড. ইউনূসের সঙ্গে লন্ডনে দেখা করতে চান টিউলিপ সিদ্দিক

ফের উত্তাল মণিপুর: কারফিউ জারি, ইন্টারনেট বন্ধ

ফের উত্তাল মণিপুর: কারফিউ জারি, ইন্টারনেট বন্ধ

মিয়ানমারে সাবেক সেনা কর্মকর্তার হত্যায় ছয় বছরের শিশুসহ গ্রেপ্তার ১৬ জন

মিয়ানমারে সাবেক সেনা কর্মকর্তার হত্যায় ছয় বছরের শিশুসহ গ্রেপ্তার ১৬ জন

গ্রিসে ‘পবিত্র পর্বত’ মাউন্ট আথোসে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প

গ্রিসে ‘পবিত্র পর্বত’ মাউন্ট আথোসে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প