আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৫ ০৬:১৫ এএম
কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের
কানাডার রপ্তানি পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে উদ্দেশ্য করে লেখা একটি চিঠিতে ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি দেন। পরে সেটি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেন। যদিও দুই দেশের মধ্যে একটি নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে এবং নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হতে এখনো কয়েকদিন বাকি।
ট্রাম্প শুধু কানাডা নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের প্রতিও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই কানাডার কিছু পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। বিশেষ করে ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম ও গাড়ি শিল্পে ট্রাম্প প্রশাসনের আগের সিদ্ধান্তগুলো কানাডার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এ সপ্তাহে কানাডা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং শ্রীলঙ্কাকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প ২০টিরও বেশি চিঠি প্রকাশ করেছেন, যেখানে ১ আগস্ট থেকে নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প তার চিঠিতে শুল্ক আরোপের কারণ হিসেবে কানাডার ফেন্টানাইল পাচার রোধে ব্যর্থতা, দুধ শিল্পে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর শুল্ক আরোপ এবং দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “যদি কানাডা ফেন্টানাইল প্রবাহ বন্ধে আমাদের সঙ্গে কাজ করে, তবে এই চিঠির শর্তাবলিতে পরিবর্তন আনা যেতে পারে।”
তবে যুক্তরাষ্ট্র কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশনের তথ্য অনুযায়ী, জব্দ হওয়া ফেন্টানাইলের মাত্র ০.২ শতাংশ আসে কানাডা সীমান্ত দিয়ে—বেশিরভাগই আসে মেক্সিকো থেকে।
বর্তমানে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে। জুনে জি৭ সম্মেলনে উভয় দেশের নেতারা ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৩০ দিনের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে চান তারা। সেই সময়সীমা শেষ হবে ২১ জুলাই।
এদিকে, কানাডা ট্রাম্পের হুমকির প্রেক্ষিতে প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর কর প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যেটিকে ট্রাম্প “খোলামেলা আক্রমণ” বলে উল্লেখ করেন।
ট্রাম্পের ঘোষণাকে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, প্রেসিডেন্টের চিঠি নিয়ে এখনই তারা মন্তব্য করতে চায় না। তবে প্রধানমন্ত্রী কার্নি বলেন, “এটি বৃহত্তর বাণিজ্য আলোচনার প্রক্রিয়ার অংশ।”
ভোরের আকাশ//হ.র