আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ০২:১৬ এএম
নিহত নয়, বেঁচে আছেন খামেনির উপদেষ্টা শামখানি
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী শামখানি বেঁচে আছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আহত হলেও প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি।
গত ১৩ জুন ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েল একটি হামলা চালায়। ওই সময় শামখানির অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ভবনটি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ছাদ ধসে পড়ে। এতে তিনি প্রায় তিন ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে ছিলেন। পরে উদ্ধারকর্মীরা তাকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হামলার পর শামখানির ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত তথ্য না থাকায় এবং তাকে প্রকাশ্যে দেখা না যাওয়ায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তার মৃত্যুর গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্ক টাইমস-ও এক পর্যায়ে শামখানির পরিবার ও ইরানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে তার নিহত হওয়ার খবর প্রচার করেছিল।
তবে সম্প্রতি এই ধারণার অবসান হয়েছে। গত শনিবার ইরানের সামরিক কমান্ডারদের জানাজায় আলী শামখানিকে দেখা গেছে। কালো স্যুট ও কালো শার্ট পরা শামখানি হাঁটতে কষ্ট পাচ্ছিলেন এবং লাঠির সাহায্যে হাঁটছিলেন। তার মুখ বেশ শুকনো দেখাচ্ছিল এবং ঘাড় বেঁকে ছিল—এমন তথ্য জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস।
৬৯ বছর বয়সী শামখানি ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সাবেক সেক্রেটারি এবং বর্তমান সুপ্রিম লিডারের অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা। পারমাণবিক আলোচনা থেকে শুরু করে সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন—সবক্ষেত্রেই তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।
আল-আলম টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শামখানি বলেন, “আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম। আমার স্ত্রী অন্য ঘরে ছিলেন। আমার ছেলে মাত্র ১০ মিনিট আগেই বাইরে গিয়েছিল। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে ভবন কেঁপে ওঠে। প্রথমে মনে হয়েছিল ভূমিকম্প। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, এটি ইসরায়েলি হামলা।”
তিনি আরও বলেন, “ধ্বংসস্তূপের নিচে তিন ঘণ্টা আটকে ছিলাম। অক্সিজেনের অভাবে শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমি বারবার স্ত্রী ও ছেলেকে ডাকছিলাম। শেষ পর্যন্ত উদ্ধারকারীরা আমার শব্দ শুনে এসে আমাকে উদ্ধার করে। তারা প্রথমে আমার পা খুঁজে পায়, এরপর পুরো শরীর।”
তবে তার স্ত্রী ওই হামলায় আহত হয়েছেন কিনা, তা স্পষ্ট করেননি শামখানি।
সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস