ইসরায়েলি বর্বরতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ মে ২০২৫ ১০:২৬ এএম
গাজায় মৃত্যু ছাড়াল ৫৩ হাজার, ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু মানুষ
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই। হামলার শিকার থেকে বাদ যাচ্ছে না হাসপাতালও।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং এক লাখ ১৯ হাজার ৯১৯ জন আহত হয়েছেন। যদিও সরকার পরিচালিত মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে তারাও মারা গেছেন। ফলে মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি।
এদিকে ইসরায়েলি বর্বরতায় গাজায় একদিনে ১৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সেখানকার মেডিকেল সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। গাজার দক্ষিণাঞ্চলের খান ইউনিস এলাকায় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৬১ জন। উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় আল–তাওবাহ চিকিৎসাকেন্দ্রে ইসরাইলি বিমান হামলায় প্রাণ গেছে আরও অন্তত ১৫ জনের। হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
জাবালিয়া শরণার্থী ক্যাম্প থেকে একজন প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, আল-তাওবাহ ক্লিনিকের ওপরের তলায় রোগীরা হতাহত হয়েছেন। এখানের ভুক্তভোগীদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
১৯৪৮ সালে মাতৃভূমি হারানোর দিন হিসেবে ১৫ মে নাকবা বা মহাবিপর্যয় দিবস পালন করেন ফিলিস্তিনিরা। আর এই দিবসেই গাজার দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলে নতুন করে ভয়াবহ হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। হামলার কারণে অন্তত তিনটি হাসপাতালের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, দোহায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে পরোক্ষ আলোচনা চলার মধ্যেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এতে ইসরায়েলি বাহিনীর আচরণকে ‘মরিয়া ও আগ্রাসী’ বলেও উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়, যাতে নিহত হয় প্রায় ১ হাজার ১৩৯ জন এবং ২০০-এর বেশি মানুষকে গাজায় জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পরদিন থেকেই গাজায় লাগাতার বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরাইলের মাটিতে হামলা চালায়। এতে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হন এবং ২০০ জনের বেশি মানুষকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। জবাবে সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরাইল।
ভোরের আকাশ/আজাসা