আপিল বিভাগে আরও নতুন দুই বিচারপতি নিয়োগ

আপিল বিভাগে আরও নতুন দুই বিচারপতি নিয়োগ

ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৬ দিন আগে

আপডেট : ১ দিন আগে

আপিল বিভাগে আরও নতুন দুই বিচারপতি নিয়োগ

আপিল বিভাগে আরও নতুন দুই বিচারপতি নিয়োগ

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আরও দুইজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গতকাল সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের দুইজন বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহেরের স্বাক্ষরে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এনিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জনে। 
আপিল বিভাগে নতুন নিয়োগ পাওয়া দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। শপথের দিন থেকে তাদের এই নিয়োগ কার্যকর হবে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নতুন দুই বিচারপতি শপথ নেবেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত দুই বিচারপতিকে শপথ পাঠ করাবেন। সুপ্রিম কোর্টেও রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমদ ভূঞা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।   
 

গত বছর ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর এনিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে তিনদফা বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হলো। এর আগে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে সরাসরি প্রধান বিচারপতি হিসেবে গত বছর ১১ আগস্ট নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি। এর পরদিনই ১২ আগস্ট আপিল বিভাগে আরও চারজন বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হয়। এই চারজনের মধ্য থেকে এরইমধ্যে একজন বিচারপতি (সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম) অবসরে গেছেন। গত বছর ৫ আগস্টের পর প্রধান বিচারপতি পদে এবং আপিল বিভাগে যারা নিয়োগ পেয়েছেন তারা সিনিয়র বিচারপতি হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার আমলে তাদের কয়েকদফা ডিঙ্গিয়ে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র বিচারপতিদের আপিল বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
 

নবনিযুক্ত বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ১৯৫৯ সালের ১ মার্চ জন্ম নেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম পাস করার পর ১৯৮৩ সালে জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন। তিনি ১৯৮৫ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০১ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সংবিধান অনুযায়ী তিনি মাত্র একবছরের কাছাকাছি সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে আসীন থাকতে পারবেন। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) বিচারপতি পদে থাকা যায়। সে অনুযায়ী আগামী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি স্বাভাবিক অবসরে যাবেন তিনি।  
 

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ১৯৬৬ সালের ২৭ মে জন্ম নেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও এলএলএম পাস করার পর ১৯৯২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জেলা জজ আদালতে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেন।  তিনি ১৯৯৪ সালে হাইকোর্ট বিভাগ এবং ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট দুই বছরের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৬ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি সংবিধান অনুযায়ী ৭ বছরের বেশি সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে আসীন থাকতে পারবেন। সংবিধান অনুযায়ী ৬৭ বছর বয়স পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের (আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ) বিচারপতি পদে থাকা যায়। সে অনুযায়ী ২০৩৩ সালের ২৬ মে স্বাভাবিক অবসরে যাবেন তিনি।
 

  • শেয়ার করুন-

সংশ্লিষ্ট

ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল

ট্রাইব্যুনালের নতুন প্রসিকিউটর সিলভিয়ার নিয়োগ বাতিল

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা

চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে : চিফ প্রসিকিউটর

চাঁনখারপুলে গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এসেছে : চিফ প্রসিকিউটর

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস

জি কে শামীমের সাড়ে ৫ বছরের কারাদণ্ড, মা খালাস

মন্তব্য করুন