নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৫ ১০:২৭ পিএম
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা জরুরি: প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম টেকসই ও অর্থবহ করে তুলতে হলে একটি কার্যকর স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রয়োজন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আইন সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আইন সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. শাহজাহান সাজু অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। ইফতার মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন- ডুলার নির্বাচিত সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগগুলোর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব অনেকাংশেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ কেবল তখনই কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে যখন স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ নিশ্চিত হয়।
আইন সমিতির সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্বশাসন অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতি পুনর্গঠনের এই ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আইন সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমি আশা করছি আইন সমিতি বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আইন সমিতি শুধু আইন চর্চার ক্ষেত্রেই নয় বরং ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠায় আদর্শ হবে। আইন পেশার প্রতিটি স্তরে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পরস্পরের সৌহর্দ সহযোগিতা ও ধৈর্যের চর্চা করা উচিত।
আপিল বিভাগের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক বলেন, আমাদের ভ্রাতিত্ববোধ ও সৌহর্দ সৃষ্টির জন্য রোজা। এই রোজা আমাদের জন্য মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন এক নাগাড়ে ৩০ দিনের জ্যি রেখেছেন। যেখানে আমরা সমাজের অবহেলিত মানুষের ক্ষুদা পিপাসার যন্ত্রনায় যারা কাতর তাদের দু:খগুলো বুঝতে পারি।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২ সপ্তাহ আগে
আপডেট : ৯ ঘন্টা আগে
বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা জরুরি: প্রধান বিচারপতি
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগের কার্যকর স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে বিচার বিভাগের জন্য একটি স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত জরুরি বিষয়। তিনি বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম টেকসই ও অর্থবহ করে তুলতে হলে একটি কার্যকর স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রয়োজন। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আইন সমিতি আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আইন সমিতির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক, বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় ইফতার মাহফিল উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ড. শাহজাহান সাজু অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। ইফতার মাহফিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলএলএম লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন- ডুলার নির্বাচিত সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাকসুদ উল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া সংস্কার উদ্যোগগুলোর দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব অনেকাংশেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীল। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ কেবল তখনই কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে যখন স্বতন্ত্র বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণ নিশ্চিত হয়।
আইন সমিতির সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, আগামী দিনগুলো বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বায়ত্বশাসন অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতি পুনর্গঠনের এই ক্রান্তিলগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত একটি মর্যাদাপূর্ণ সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ আইন সমিতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আমি আশা করছি আইন সমিতি বিচার বিভাগ সংস্কারের লক্ষ্যে প্রধান বিচারপতি ঘোষিত রোডম্যাপ বাস্তবায়নেও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ আইন সমিতি শুধু আইন চর্চার ক্ষেত্রেই নয় বরং ন্যয় বিচার প্রতিষ্ঠায় আদর্শ হবে। আইন পেশার প্রতিটি স্তরে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পরস্পরের সৌহর্দ সহযোগিতা ও ধৈর্যের চর্চা করা উচিত।
আপিল বিভাগের বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক বলেন, আমাদের ভ্রাতিত্ববোধ ও সৌহর্দ সৃষ্টির জন্য রোজা। এই রোজা আমাদের জন্য মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন এক নাগাড়ে ৩০ দিনের জ্যি রেখেছেন। যেখানে আমরা সমাজের অবহেলিত মানুষের ক্ষুদা পিপাসার যন্ত্রনায় যারা কাতর তাদের দু:খগুলো বুঝতে পারি।