নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৫ ১২:০৭ এএম
নিম্ন আদালতে তারেক-জুবাইদার বিচার নিরপেক্ষ হয়নি : হাইকোর্ট
দুর্নীতির মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালতের রায় ছিল পক্ষপাতদুষ্ট ও আইন লঙ্ঘনমূলক—এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৪ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ ৫২ পৃষ্ঠার অনুলিপিতে উঠে এসেছে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নানা অসঙ্গতির বিষয়।
হাইকোর্ট বলেছে, মাত্র দুই মাস চার দিনে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং সাক্ষ্য শেষের আট দিনের মধ্যে রায় ঘোষণা—এমন দ্রুততা বিচার ব্যবস্থার স্বাভাবিক ধারার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এতে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যে, বিচার প্রক্রিয়া নিরপেক্ষভাবে পরিচালিত হয়নি।
এছাড়া রায়ে উল্লেখ করা হয়, মামলায় অভিযোগ গঠনের সময় আইনের ব্যত্যয় ঘটেছে এবং জুবাইদা রহমানকে যথাযথভাবে নোটিশ ইস্যু করা হয়নি। এসব কারণে হাইকোর্ট তাদের দণ্ড বাতিল করে খালাস দেন।
এর আগে গত ২৮ মে বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে খালাস পান তারেক ও জুবাইদা। জুবাইদা রহমানের আপিলের শুনানি শেষে এই রায় দেওয়া হয়। এরও আগে, ১৪ মে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, ডা. জুবাইদা রহমান এবং তার মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অভিযোগে বলা হয়, তারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
বিচার শেষে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তারেক রহমানকে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরসহ মোট ৯ বছরের কারাদণ্ড ও তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। একই আইনের ২৭(১) ধারায় জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
পরে গত বছরের শেষ দিকে সরকারের এক আদেশে জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর চলতি বছরের ৬ মে দেশে ফিরে আসেন তিনি। নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একটি চিঠিও দেন তিনি।
ভোরের আকাশ//হ.র