চল্লিশ পৃষ্ঠার সনদ
নিখিল মানখিন
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ০১:০১ এএম
ছবি: সংগৃহীত
চূড়ান্ত ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’ রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। আয়োজনের সময় নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও গণভোটে ঐকমত্যে পৌঁছেছে সব রাজনৈতিক দল। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিত হবে এই গণভোট।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন- দুটি ভোটই দেশজুড়ে সকল ভোটারের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী এলাকাভিত্তিক অনুষ্ঠিত হওয়ায় ‘জাতীয় নির্বাচন’ সম্পর্কে ধারণা পেতে এবং পছন্দের প্রার্থীর প্রতীকে ‘টিক চিহ্ন’ দিতে ভোটারের অসুবিধা হয় না। কিন্তু গণভোটের ক্ষেত্রে বেশ জটিলতা রয়েছে। দেশের সাড়ে ১২ কোটি ভোটারকে গণভোটের ৪০ পৃষ্ঠার ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব সংবলিত জটিল বিষয়ে ধারণা প্রদান এবং সচেতন করে তোলা সময়সাপেক্ষ। আর ন্যূনতম ধারণা ছাড়া ভোট প্রয়োগ করলে গণভোটের প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে না।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত তিনটি গণভোটের কথা জানা যায়। দুটি প্রশাসনিক গণভোট আর একটি সাংবিধানিক গণভোট। প্রথম প্রশাসনিক গণভোট হয় ১৯৭৭ সালে। লক্ষ্য ছিল প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাসন কার্যের বৈধতা দান। এতে ফলাফল ৯৮.৮০ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছিল। দ্বিতীয় প্রশাসনিক গণভোট ১৯৮৫ সালে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সমর্থন যাচাইয়ের লক্ষ্যে ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট। ফলাফল ৯৪.১৪ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছিল। আর তৃতীয়টি সাংবিধানিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯১ সালে। সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী আইন প্রস্তাবের বিষয়ে- যার ফলাফল ৮৪.৩৮ শতাংশ ‘হ্যাঁ’ ভোট পড়েছিল। এখন জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে ৩৪ বছর পর ফের আলোচনায় এসেছে এ ভোটাভুটি। বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট চায়, অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী আগামী নভেম্বর মাসেই গণভোট চায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় জনমত গঠনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো গণভোট। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ের ওপর জনগণের সমর্থন আছে কিনা-তা যাচাইয়ের জন্য যে ভোট অনুষ্ঠিত হয় তাকে গণভোট বলে। গণভোটে ‘হ্যাঁ’ অথবা ‘না’ ব্যালটে সিল দেওয়া হয়। বাংলাদেশে ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত বা সম্মতি নেওয়ার জন্য একটি গণভোট আয়োজনের বিষয়ে কথা বলছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
সম্প্রতি কমিশনের সদস্যরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গণভোট যদি নির্বাচনের দিন অনুষ্ঠিত হয়, ভোটাররা আলাদা ব্যালট পেপারে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট দিয়ে জানাবেন, তারা সনদটি সমর্থন করেন কিনা। এরপর যে দল পরবর্তী সংসদ গঠন করবে, তারা সনদ বাস্তবায়ন করবে।
যদিও সংবিধান বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই কোনো সুনির্দিষ্ট বিষয়ে জনগণের মতামত নিতে গণভোট হয়েছে বা নেওয়ার চর্চা আছে। তবে সনদের বিষয়ে গণভোট সম্ভব না। সনদের কতগুলো ধারা, কতগুলো পাতা- পুরোটার সঙ্গে কোনো ব্যক্তি একমত কিনা সেটা ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে কীভাবে যাচাই সম্ভব। কেউ কেউ গণভোট আইন না থাকার বিষয়টিও সামনে আনছেন। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় খুঁজে পেতে গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছিল জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
গত ৫ অক্টোবর কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা ও তাদের সম্মতির জন্য গণভোটের বিষয়ে সব দল একমত হয়েছে।
কীভাবে হবে এই ভোট জানতে চাইলে সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহদীন মালিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণভোট অনেক ধরনের হয়। জুলাই সনদ যদি পাঁচ পাতার হয় এবং সেটাতে কতগুলো ধারা থাকে। পাঁচ পাতার মধ্যে চার পাতার সঙ্গে আপনি একমত, আরেক পাতার সঙ্গে আপনি একমত নন। সেক্ষেত্রে এটা পড়ে আপনি ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ সিদ্ধান্ত কীভাবে নেবেন।’
শাহদীন মালিক আরও বলেন, ‘এটা যদি এমন হয়, আপনি আলোচনায় বসেছেন- একটা বাঁশের মই দিয়ে কীভাবে চাঁদে যাবেন। সে বিষয়ে আপনি বছরের পর বছর আলাপ করতে পারবেন, কিন্তু চাঁদে যেতে পারবেন কী? ডকুমেন্টের ওপর গণভোট হয় না। চার পাতা পড়ে বোঝার মতো মানুষ কয়জন। কেবল পড়তে জানলেই তো হবে না, পড়ে বিষয়টা বুঝতে হবে। চার পাতা পড়ে পক্ষে-বিপক্ষে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ বলবে কীভাবে। এ রকম গণভোট দুনিয়ার কোথাও নেই।’
জুলাই সনদ ও গণভোট
সাত মাস ধরে সংলাপ শেষেও বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি তাদের আগের অবস্থানেই রয়েছে। বিএনপি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে সংসদ নির্বাচনের দিনে গণভোট আয়োজনের অবস্থানে অনড়। জামায়াতে ইসলামী আগের মতোই সাংবিধানিক আদেশ জারির মাধ্যমে নভেম্বরে গণভোট চায়। আর সাংবিধানিক আদেশের পক্ষে অবস্থান নেওয়া এনসিপিও নির্বাচনের আগে গণভোট চায়।
নির্বাচন কমিশন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে যখন এগোচ্ছে তখন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোটের দাবিও জোরালো হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের বাইরে নির্বাচন কমিশনে ‘গণভোট’ নিয়ে আলোচনা না হলেও সরকারের সিদ্ধান্ত এলে তা বাস্তবায়নের বিষয়ে এগোতে প্রস্তুত সাংবিধানিক সংস্থাটি।
এবার ১২ কোটি ৬৩ লাখেরও বেশি ভোটারের সংসদ নির্বাচনে থাকবে ৪০ হাজারেরও বেশি ভোটকেন্দ্র। সেখানে ভোটকক্ষ থাকবে আড়াই লক্ষাধিক। এছাড়া প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পোস্টাল ব্যালটে ভোটের আয়োজনও রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের এ সংসদ নির্বাচনে লোকবল নিয়োজিত থাকবে ১০ লাখেরও বেশি।
অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী বছর রোজার আগে ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ জন্য চলতি বছরের ডিসেম্বরে তফসিল ঘোষণার কথা রয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি)।
গণভোট নিয়ে যা ভাবছে ইসি
গণভোট নিয়ে কথা হলে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা (গণভোট) নির্ভর করছে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ওপর। এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার, সরকারের ব্যাপার। সরকার যদি মনে করে গণভোট করবে, তাহলে আমরা গণভোট ইনশাআল্লাহ করবো।’
সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হলে- বড় ব্যয় সাশ্রয় হবে বলে মনে করেন আব্দুর রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, ‘একজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নয়, দেশের একজন জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে বলছি, গণভোট যদি করতেই হয় তাহলে একদিনে করাটাই ভালো হবে। শত শত কোটি টাকার বিষয়। এত ব্যয়বহুল কাজ দুই দিনে করাটা কঠিন হবে। কাজেই সরকার যদি সিদ্ধান্ত নেয়, আমাদের কোনো বিষয় নয়, দুই নির্বাচন একত্রে করলে কোটি কোটি টাকা বেঁচে যায়।’
এ নির্বাচন কমিশনারের মতে, সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা সম্ভব। তবে ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষ কিছু বাড়ানো লাগতে পারে। এছাড়া খুব যে অসম্ভব তা নয়, বরং একসঙ্গেই ভালো।
গণভোটের আইনগত দিক নিয়ে এ অবসরপ্রাপ্ত বিচারক বলেন, ‘আইনগত কোনো সমস্যা থাকার কথা নয়। জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। এখন একটি জিনিস জনগণের কাছে উপস্থাপন করা হচ্ছে, জুলাই সনদে এ লেখা রয়েছে- আপনি পক্ষে দেবেন, না কি বিপক্ষে দেবেন (ভোট)। জনগণের রায় যদি হয়ে যায়, সেটাই তো সবচেয়ে বড় শক্তি।
এ ব্যাপারে যদি মনে হয় আইনে সামান্য পরিবর্তন করতে হবে, তাহলে সরকার করবে। সরকার বা ঐকমত্য কমিশনে যদি এ সিদ্ধান্ত (ভোট নেওয়া) হয় তখন আমাদের বিষয়টা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় দেখব। আইনগত কাঠামোর মধ্যে থেকে বাস্তবায়ন করবো।’
গণভোট আয়োজন জাতীয় নির্বাচনের জন্য ঘোষিত ফেব্রুয়ারির সময়ে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন এ নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, দুই নির্বাচন একসঙ্গে হলে ভালো। সবই একই থাকবে, শুধু দুটি ব্যালট পেপার। একটি জাতীয় নির্বাচনের, আরেকটি গণভোটের। একই ব্যক্তি দুটি ভোট দেবেন। একটি প্রার্থীকে, আরেকটি হ্যাঁ বা না ভোট।
প্রয়োজন আইন সংশোধন
সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে সংসদবিষয়ক গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে গণভোট দেওয়াই হচ্ছে এখন সবচেয়ে সহজ উপায়।
অধ্যাপক নিজাম বলেন, ‘সেটা করতে গিয়ে সংবিধান সংশোধন করছেন না। জনগণের কাছে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাবনা রাখছেন। জনগণ এ প্রস্তাবনা গ্রহণ করলে তাহলে পরবর্তী সংসদে হবে। জনরায় হিসেবে গণভোট হবে। সংবিধান সংশোধন করছেন না, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার কোনো ব্যত্যয় ঘটছে না। রাষ্ট্রপতি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন করতে পারবেন না। অতএব, এর মধ্যে কোনো বাধা নেই।’
সর্বশেষ অভিজ্ঞতা
ইসির সাবেক কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ ১৯৯১ সালে গণভোট আয়োজনে যুক্ত ছিলেন। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থায় ফেরা নিয়ে এ গণভোট হয়। ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট হয়। তখন রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক ছিলেন। গণভোটে মানুষের আগ্রহ থাকে খুব কম। উপস্থিতি খুবই কম থাকে, যদিও ফলাফল একটু অন্যরকম আসে। ওই সময়ের খবরের কাগজ দেখেন, উপস্থিতি কম ছিল। তবে গণভোটের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলাসহ নানা ধরনের কিছু তো হয় না। ফলে যে ফলাফল আসে তাই ফাইনাল।
তিনি জানান, ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনের পরে গণভোট হয়েছিল। গণভোট আইন, বিধি মেনে নির্বাচনটি করা হয়। এমন ভোট সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে করতে গেলে ভালো হয়। জাতীয় নির্বাচনের জন্য ভোটকেন্দ্রে যে ব্যালট বাক্স লাগবে, তার সমান ব্যালট বাক্স লাগবে গণভোটে।
সাবেক এ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যে গণভোট করলাম সেটা রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার থেকে প্রধানমন্ত্রী শাসিত সরকারের যাওয়ার বিষয়ে। ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট হলো। সেখানে কোনো প্রার্থী নেই, ভোটার স্লিপ দেওয়া হয় না; ভোটারদের সম্মানের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এজন্য ভোটাদের আগ্রহ, উপস্থিতি ছিল খুব কম। এবার রাজনৈতিক দল সহায়তা করলে হয়তো উপস্থিতি বাড়তে পারে।’
গণভোটের বিষয়বস্তু ও ভোটার
দেশজুড়ে কয়েক দিন ধরে আলোচনার পারদ চড়ছে ‘গণভোট’ নিয়ে। পত্র-পত্রিকায় গণভোট কবে হবে, রাজনৈতিক দলগুলো কে কীভাবে দেখছে, তা নিয়ে মেতে আছে। কিন্তু যারা এই গণভোট দেবেন, সেই বাংলাদেশের মালিকেরা কি জানেন ‘গণভোটের বিষয়বস্তু’ কী?
নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য আব্দুল আলীম জানান, গণভোট আর সংসদ নির্বাচন দুটি দুই জিনিস, আলাদা ব্যালট পেপার হবে। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে দুই রকমের ব্যালট পেপার প্রস্তুত ও ব্যালট বাক্স আলাদা করতে হবে।
তিনি বলেন, সবশেষ ১৯৯১ সালে দেশের মানুষ গণভোট দিয়েছে। এরপর ভুলে গেছে এ জিনিস। গণভোট নিয়ে সাধারণের ধারণা, জ্ঞানে একটা শূন্যতা রয়েছে এত বছরের। কাজেই গণভোট কী, কেন এটা নিয়ে ব্যাপক প্রচার, সিভিক এডুকেশন দরকার পড়বে। প্রচার না করলে যতটুকু জ্ঞান দরকার ভোট প্রয়োগ করতে, তা আর হবে না।
এ নির্বাচন বিশেষজ্ঞ জানান, ব্যালট পেপার ছাপা, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং ভোটারদের এ প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা- এসবই কমবেশি চ্যালেঞ্জিং কাজ। খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত হলে তাহলে ইসির জন্য বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে না। আর স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তিনটি ব্যালট পেপারে ভোট করা ও ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাতে এবার গণভোট হলে ভোটারদের বোঝাতে সমস্যা হবে না।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের এ সদস্য বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হলে, গণভোটে সবাই এখন রাজি। কোন সময় হবে সেটা নিয়ে ভিন্নমত আছে। খুব গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ঐকমত্য; দলগুলো ঐকমত্য হলে এ সময়ে গণভোট করবো; তাহলে আর কোনো চ্যালেঞ্জ থাকে না।’
ভোরের আকাশ/এসএইচ