ঈদের ছুটিতেও খোলা থাকবে সব ফিলিং স্টেশন
ঈদের ছুটির মধ্যেও সিএনজি/ফিলিং স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়৷
বুধবার (৪ জুন) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঈদুল আজহার সময় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং যাত্রীদের যাতায়াতে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ফিলিং স্টেশনগুলো সার্বক্ষণিক চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, ১২ মে সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের সিনিয়র সচিব।
বৈঠকে বলা হয়, ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলো বন্ধ রাখা যাবে না। এই সিদ্ধান্তের আলোকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ঈদের দিনসহ আগে ও পরে মোট পাঁচ দিন দেশের সব ফিলিং স্টেশন সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে। এতে যানবাহনের চলাচল সহজ হবে এবং ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০ নারী আসন বহাল রেখে সাত শতাংশ আসনে সরাসরি প্রার্থী করার সংশোধিত প্রস্তাব করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২২তম দিনে সংশোধিত প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হয়।সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ১০০ আসনে সরাসরি নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলা হয়। নির্বাচন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ নারী আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলা হয়। জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে ১০০ আসনে সরাসরি ভোটের কথা বলে। সিপিবি, বাসদ ও জেএসডি সরাসরি ভোটের কথা বলে।তবে জামায়াতসহ ইসলামি দলগুলো সংখ্যানুপাতিক হারে ১০০ আসনে নারীদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিধান রাখার কথা বলে। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো বিদ্যমান পদ্ধতিতে ১০০ সংরক্ষিত আসনের কথা বলে। এমন অবস্থায় কমিশন ১৪ জুলাই সংশোধিত একটি প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সেখানে বলা হয়, যে দল ২৫টির বেশি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, তাদের ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে হবে।তবে ওই দিন এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করে অধিকাংশ দল। পরে আরেক দিনের আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বিদ্যমান ৫০টি সংরক্ষিত আসন বহাল রাখার পাশাপাশি ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী করার প্রস্তাব করেন, যা আগামী নির্বাচনে বাস্তবায়ন হবে। ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই হার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার কথা বলা হয়।আজ নতুন প্রস্তাব উপস্থাপন করে কমিশন। সেখানে বলা হয়, জাতীয় সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব ক্রমান্বয়ে ১০০ আসনে উন্নীত করা হবে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫-এর দফা (৩)-এ প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে বিদ্যমান সংরক্ষিত ৫০টি আসন বহাল রেখে প্রতিটি রাজনৈতিক দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ স্বাক্ষরের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন থেকে ৭ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে।১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ শতাংশ আসনে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক রাজনৈতিক দল নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে। রাজনৈতিক দলগুলো এই হার পর্যায়ক্রমে প্রতি সাধারণ নির্বাচনে ৫ শতাংশ হারে বাড়িয়ে সংসদে নারীদের প্রতিনিধিত্ব ১০০-এ উন্নীত করবে। পঞ্চদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলো পর্যাপ্তসংখ্যক নারী প্রার্থী মনোনয়ন দেবে, যাতে ১০০ জন নারী জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত হয়ে আসতে পারেন।উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের সপ্তদশ সংশোধনীর (যা ৮ জুলাই ২০১৮ সালে সংসদে পাস হয়) মাধ্যমে সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২৫ বছর বাড়ানো হয়। সে হিসাবে বিদ্যমান সংরক্ষিত নারী আসনের মেয়াদ ২০৪৩ সাল পর্যন্ত বহাল থাকার বিধান রয়েছে। তবে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫(৩) ও (৩ ক)-এর আওতায় সংরক্ষিত নারী আসনের বিধান চতুর্দশ সংসদের পর আর কার্যকর থাকবে না।ভোরের আকাশ/জাআ
সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ঘরে-বাইরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে দেশের মানুষ। তাদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ। এমন সব ঘটনা প্রকাশ্যে ঘটলেও পরিস্থিতির শিকার ব্যক্তি বা পরিবারের সাহায্যে এগিয়ে আসছে না কেউ। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর ঘটনাস্থলে দেখা মিলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। বিভিন্নভাবে অভিযান চালিয়েও সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না। দেশের অন্য সব এলাকার তুলনায় রাজধানী ঢাকার পরিস্থিতি আরও উদ্বেগের। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারের গত ছয় মাসের প্রতিবেদনে ঢাকার এমন অপরাধমূলক চিত্রই প্রকাশ পেয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- গত ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন) ঢাকা মহানগরের ৫০ থানায় ৩৩টি ডাকাতি, ২৪৮টি ছিনতাই, ১২১টি খুন এবং ১ হাজার ৬৮টি চুরির মামলা হয়েছে। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে ২০টির বেশি খুন, পাঁচটি ডাকাতি ও ৪১টি ছিনতাই মামলা রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া মাসে ৭০টি চাঁদাবাজির মামলাও হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় ডিএমপি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কেউ যদি চেষ্টা করে তাহলে তাদের আইন অনুযায়ী মোকাবিলা করা হবে। এর বাইরে গোয়েন্দা তথ্য কাজে লাগিয়ে আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখতে কাজ করছি।তিনি জানান, জননিরাপত্তা বিধান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঢাকা মহানগর পুলিশ নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ডিএমপিতে ৪৪১টি টহল টিম মোতায়েন ছিল। এর মধ্যে দিনে ২৫৯ ও রাতে ২২১টি। ফুট পেট্রোল ২২১টি, মোটরপেট্রোল ২৭টি।এছাড়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে চেকপোস্ট পরিচালনা করা হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় সাড়াশি অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৪১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে ডাকাত, চোর, মাদক কারবারি ও পরোয়ানভুক্ত আসামি রয়েছে।তিনি বলেন, অভিযানে মোবাইল ও নগদ ১৩ হাজার টাকা, মাদক উদ্ধার করা হয়। থানা পুলিশের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।গতকাল মঙ্গলবার ডিবি ওয়ারির একটি টিম ১২৩টি চোরাই মোবাইলসহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মোহাম্মদপুরের কিশোর গ্যাং কব্জি কাটা গ্রুপের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বিঘ্নিত করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই কব্জি কাটা গ্রুপের আনোয়ারের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন- নিশাত ও রাসেল ওরফে পেস্টিং রাসেল।এছাড়া গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্যের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় ৫ জন রিমান্ডে রয়েছে। তাদের একজনের বাসা থেকে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় একটি মামলা কলাবাগান থানায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে জানান মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।এদিকে অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ঘটনায় পুরো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।গত বছর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ব্যাপক হামলা, অনাস্থা আর আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পুলিশ কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় দুষ্কৃতকারীদের কেউ কেউ সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাচ্ছে বলে মনে করছে পুলিশ। দেশে জুন মাসে অন্তত ৬৩টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ৫৯। একই সময়ে বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনা ও হতাহতের সংখ্যা। জুনে ৪১টি গণপিটুনির ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৪৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আগের মাসে ৩৪টি ঘটনায় সাতজন নিহত ও ৩৮ জন আহত হয়েছিলেন। চলতি মাসে প্রকাশিত মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) জুন মাসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।এমএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুনে ৩৬৩টি নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, যা গত মাসের তুলনায় ১০৫টি কম। তবে জুনে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েছে। ধর্ষণের শিকার ৬৩ জনের মধ্যে ১৯ শিশু ও ২৩ কিশোরী রয়েছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে ২ শিশু, ৭ কিশোরী ও ৮ নারী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে ১ কিশোরী ও ৩ নারী। ধর্ষণের চেষ্টা ছিল ২৭টি, যৌন হয়রানি ৩৯টি, শারীরিক নির্যাতনের ৫১টি ঘটনা ঘটেছে। জুনে ২১ কিশোরী, ২৬ নারীসহ মোট ৩৫ জন আত্মহত্যা করেছেন। অপহরণের শিকার হয়েছে ১ শিশু, ২ কিশোরী ও ১ নারী। এছাড়া ৩ শিশু, ৩ কিশোরী ও ৩ নারী নিখোঁজ রয়েছেন। জুনে ৩ শিশু, ৪ কিশোরী ও ৭ নারীর অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ মোট ৯২ শিশু, কিশোরী ও নারী হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এরমধ্যে ৫৫ জন শিশু-কিশোরী রয়েছে।এমএসএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুনে গণপিটুনির ঘটনা বেড়েছে। গণপিটুনির শিকার ৩০ জনকে আহত অবস্থায় পুলিশে সোপর্দ করা হয়। জুনে ৪৯টি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ উদ্ধার হয়েছে। অল্পসংখ্যক ঘটনা ছাড়া সব লাশের পরিচয় অজ্ঞাতই থেকে যাচ্ছে। মে মাসে এর সংখ্যা ছিল ৫৫। গত ১০ মাসে দেশের আট বিভাগে ১৭২ জনকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।সংস্থাটির তথ্য বলছে, কোথাও চোর-ছিনতাইকারী-চাঁদাবাজ এবং কোথাও ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সহযোগী ও দোসর অপবাদ দিয়ে মব সৃষ্টি করে এসব মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান বৈঠকে জাতীয় সনদ প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, আপনারা যে দায়িত্ব আমাদের দিয়েছেন, তার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমরা চেষ্টা করছি এসব বিষয়ে দ্রুত ঐকমত্যে পৌঁছাতে এবং আগামীকালের মধ্যেই আপনাদের অবহিত করতে পারব।বুধবার (৩০ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার শুরুর বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ এসব কথা বলেন।আলী রীয়াজ বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে সব দল মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণের নীতিগত অবস্থানে একমত হয়েছেন। তবে সংবিধানে এই বিষয়ে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে, তা নিয়ে কিছু ভিন্নমত রয়ে গেছে।চারটি সাংবিধানিক নিয়োগ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের আলোচনায় চারটি সাংবিধানিক বা সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে- সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল। কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এ নিয়োগগুলো সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে একটি স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে হবে।তিনি আরও বলেন, বিএনপি ও তার সমমনা কয়েকটি দল এ নিয়োগগুলো সংবিধানে না এনে আইনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের পক্ষপাতী। তবে অধিকাংশ দল সংবিধানের ১৩৭ অনুচ্ছেদে সংশোধন এনে নিয়োগ ব্যবস্থা শক্তিশালী করার পক্ষে।দুদককে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান করার পক্ষে অধিকাংশ দল ঐকমত্য জানিয়েছে উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের ব্যাপারে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। এতে যদিও বিএনপি কিছু ভিন্নমত পোষণ করেছে। তবুও আলোচনার ধারা ইতিবাচক মনে হয়েছে।রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব নিয়ে প্রস্তাব এখনো প্রস্তুত না হলেও বাকি বিষয়গুলোতে দ্রুত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর লক্ষ্যে আলোচনা চলছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গণঅভ্যুত্থান দিবস উদ্যাপন নিয়ে কোনো নাশকতার শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বুধবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আগামী ৫ আগস্ট ঘিরে দেশে কোনো নিরাপত্তা হুমকি নেই। সবকিছু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।এ সময় বিশেষ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তা বজায় রাখার লক্ষ্যে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে যে বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেটি তাদের নিজস্ব বিষয়। যে কোনো সময় নিরাপত্তার জন্য তারা এমন অভিযান চালাতে পারে বলে জানান উপদেষ্টা।ভোরের আকাশ/এসএইচ