নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২৫ ১২:০২ এএম
পার্বত্য চট্টগ্রামের ১০০ স্কুলে ই-লার্নিং চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
চলতি বছরের মধ্যেই পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্তত ১০০টি বিদ্যালয়ে ই-লার্নিং কার্যক্রম চালুর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, মুক্তিযুদ্ধ ও দুর্যোগবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, খাদ্য ও ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা।
শিক্ষা বিভাগ জানায়, ই-লার্নিং চালুর পথে তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে—দুর্গম অঞ্চলে বিদ্যুতের অপ্রতুলতা, ইন্টারনেট সংযোগের ঘাটতি এবং দক্ষ শিক্ষকের অভাব। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বেশ কিছু বাস্তবসম্মত নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “প্রথম ধাপে ১০০টি বিদ্যালয় চিহ্নিত করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের ঘাটতির ধরন—ইন্টারনেট, সরঞ্জাম বা বিদ্যুৎ—তালিকাভুক্ত করে দ্রুত কার্যক্রম শুরু করতে হবে। বছরের মধ্যেই ই-লার্নিং ক্লাস চালু করতে হবে।”
সমাধানের দিক নির্দেশনা:
বিদ্যুৎ সমস্যায়: প্রত্যন্ত বিদ্যালয়গুলোতে সোলার প্যানেল বসানোর নির্দেশনা।
ইন্টারনেট সংযোগে: মোবাইল নেটওয়ার্ক ও স্টারলিংক প্রযুক্তি ব্যবহারের পরামর্শ।
শিক্ষক সংকট মোকাবিলায়: চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের নিয়োগের পরিকল্পনা।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, শহরের অভিজ্ঞ শিক্ষকরা অনলাইনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের গণিত, বিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করবেন। এতে করে ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও মূলধারার শিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।
বৈঠকে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ওই অঞ্চলের জীবনমান উন্নয়ন এবং পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ে নানা তথ্য উপস্থাপন করেন। প্রধান উপদেষ্টা এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দেন।
ভোরের আকাশ//হ.র