নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ মে ২০২৫ ০৭:৫৩ পিএম
পুলিশের হাতে ‘মারণাস্ত্র’ থাকবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এখন থেকে পুলিশের হাতে আর কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। এ ধরনের অস্ত্র শুধুমাত্র আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যদের কাছে থাকবে। একইসঙ্গে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (১২ মে) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
ছাত্র-জনতার অভুত্থ্যানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন মহল থেকে পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার দাবি ওঠে। গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ডিসি সম্মেলনেও একাধিক ডিসি পুলিশের হাতে এ ধরনের অস্ত্র না রাখার সুপারিশ করেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছি পুলিশের হাতে কোনো মারণাস্ত্র থাকবে না। বর্তমানে যেসব মারণাস্ত্র তাদের কাছে রয়েছে, সেগুলোও ফেরত দিতে হবে। অস্ত্র কেবল থাকবে এপিবিএন সদস্যদের হাতে, যাদের দায়িত্ব ও কার্যক্রম অন্যান্য পুলিশ সদস্যদের চেয়ে আলাদা।
কবে থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ শুধু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেকোনো সিদ্ধান্ত সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়ন হয় না। কিছুটা সময় লাগবে।
পুলিশের হাতে কোন কোন ধরনের অস্ত্র রাখা যাবে, কীভাবে কাজ করবে, সেসব বিষয় ঠিক করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
র্যাব পুনর্গঠন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি জানান, র্যাব এখনকার নামে থাকবে কি না, বর্তমান পোশাক থাকবে কি না, পুনর্গঠন কীভাবে হবে এসব পর্যালোচনা করতে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সরকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজকে। এ কমিটি হবে পাঁচ থেকে ছয় সদস্যের। বিভিন্ন বাহিনী থেকে কমিটির সদস্য করা হবে। এ কমিটি চাইলে সদস্যসংখ্যা বাড়াতে পারবে। এই কমিটি র্যাবের নাম থাকবে কি থাকবে না, তাদের কার্যক্রম কেমন হবে, এসব ঠিক করবে। এদকিে আসন্ন ঈদুল আজহাকে কন্দ্রে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নওেয়া হয়ছেে অতরিক্তি ব্যবস্থা। বশিষে করে পশুবাহী ট্রাক ও হাট সংশ্লষ্টি নরিাপত্তা নশ্চিতিে গরুর হাট ইজারাদারদরে নজি খরচে ১০০ আনসার মোতায়নেরে নর্দিশে দওেয়া হয়ছে।
তিনি আরও জানান, এছাড়া চাঁদাবাজি ও ছনিতাই রোধে মাঠে থাকবে যৌথ বাহনিী এবং বাড়ানো হবে পুলশিরে নজরদার।
উপদষ্টো জাহাঙ্গীর আলম আরও জানান, ঈদরে আগে র্গামন্টেস শ্রমকিদরে বতেন-বোনাস পরিশোধে মালকিদরে প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যাতে শ্রমকি অসন্তোষ বা বশিৃঙ্খলার সৃষ্টি না হয়। এছাড়া ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহনিী (বএিসএফ) র্কতৃক পুশইনরে শকিার অধকিাংশ মানুষই বাংলাদশেি বলে জানান তনি।
ভোরের আকাশ/এসআই