নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২০ মে ২০২৫ ১২:০৬ এএম
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর ১০ কারণ জানালেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর পেছনে ১০টি আইনি ও প্রশাসনিক জটিলতার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এসব কারণ তুলে ধরেন।
তিনি লিখেন, প্রথমত, হাইকোর্ট যে রায়ে আর্জি সংশোধনকে অবৈধ বলেছে, তা লঙ্ঘন করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরে তারা আপিলও করেনি।
তৃতীয়ত, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নেওয়ার আগেই রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করা হয়, যেখানে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশও উপেক্ষা করা হয়।
চতুর্থত, মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ কোনো পক্ষ ছিল না এবং রায়ে বিভাগটির প্রতি কোনো নির্দেশনাও নেই।
পঞ্চমত, শপথ না দেওয়ার কারণে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে দায়েরকৃত রিট পিটিশন এখনো বিচারাধীন।
ষষ্ঠত, বরিশাল সিটি করপোরেশন সম্পর্কিত মামলায় হাইকোর্টের রায় আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল আবেদন খারিজ করেছে, যা ট্রাইব্যুনালের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সপ্তমত, মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে; মেয়র হিসেবে কতদিন দায়িত্বে থাকবেন তা স্পষ্ট নয়।
অষ্টমত, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতেও বলা হয়েছে ‘‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে’’ পরবর্তী ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু বর্তমানে স্পষ্টতই আইনি জটিলতা রয়েছে।
নবমত, এসব জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
দশমত, আওয়ামী লীগ আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ কি না, সে প্রশ্নও উঠছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি এসব নির্বাচনকে বৈধ বলে মেনে নেয়, তাহলে এমন পরিস্থিতি আর তৈরি হবে না।
আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, “উচ্চ আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন এবং আইনি জটিলতা নিরসনের আগে শপথগ্রহণ সম্ভব নয়। অথচ বিএনপি মহানগর কার্যালয় বন্ধ করে আন্দোলন করছে, যা সিটি করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে এবং জনদুর্ভোগ তৈরি করছে।”
তিনি ব্যক্তিগত আক্ষেপও জানান, “ইশরাক হোসেনের আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক আচরণের কোনো যৌক্তিক কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। কেউ যেন এটা না বলেন যে সাধারণ জনগণ এসব করছে, কারণ বিএনপি ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নির্দেশে দলীয় কর্মীরাই এসব কর্মসূচি চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য রয়েছে।”
শেষে তিনি জানান, সকল আইনি জটিলতা কাটলে শপথ গ্রহণে স্থানীয় সরকার বিভাগের কোনো আপত্তি থাকবে না।
ভোরের আকাশ//হ.র