এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ নিষেধ: ডিএমপি
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও এসএসসি (ভোকেশনাল), দাখিল ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষা। এ উপলক্ষ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। যেহেতু পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়া নিশ্চিত করা প্রয়োজন, সেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের ২৮ ও ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে পরীক্ষাকেন্দ্রসমূহের ২০০ গজের মধ্যে পরীক্ষার্থী এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ব্যতীত জনসাধারণের অনধিকার প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো। এই আদেশ বৃহস্পতিবার থেকে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনগুলোতে পরীক্ষা চলাকালীন সময় পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
উন্নয়ন প্রকল্প পরিকল্পনার ক্ষেত্রে নদীর পানিপ্রবাহ যাতে নিরবচ্ছিন্ন থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।বুধবার (১৮জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ‘টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া সমন্বিত অর্থনৈতিক করিডোর উন্নয়ন’ প্রকল্প নিয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি এ নির্দেশ দেন তিনি। বৈঠকে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জোং ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তাদের একটি দল এই প্রকল্পের বিস্তারিত রূপকল্প, কৌশল এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিতে নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে আমাদের নদীপ্রবাহকে। বাংলাদেশ একটি ব-দ্বীপ। আমরা কোনোভাবেই আমাদের পানিপ্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে চাই না।’‘আরেকটি বিষয় হলো, যেকোনো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ওই এলাকার জনসংখ্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় রাখা প্রয়োজন। আমাদের দেশ বন্যাপ্রবণ। তাই পানিপ্রবাহ বন্ধ করে এমন প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলবে। বন্যার সময় আমাদের দেশের মানুষ উঁচু রাস্তা, সেতু এবং রেলপথে আশ্রয় নেয়। সুতরাং সেতু শুধু নির্মাণ করলে হবে না, এটি জনগণের জন্য আশ্রয় হচ্ছে নাকি বিপদ ডেকে আনছে সেটাও বিবেচনা করতে হবে,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।‘এবং তৃতীয়টি হলো আন্তর্জাতিক সংযোগ। আমরা এ অঞ্চলে একটি ইনভেস্টমেন্ট হাব তৈরি করতে চাই। সেজন্য প্রকল্প এমন হতে হবে যা নেপাল, ভুটানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোকেও সংযুক্ত করবে,’ প্রধান উপদেষ্টা বলেন।বৈঠকে এ উন্নয়ন প্রকল্পে পানি বিশেষজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করতে এবং একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘এর আগে হাওর এলাকায় বিশাল সড়ক নির্মাণ হয়েছে কিন্তু পরে দেখা গেল সেটি ওই অঞ্চলের পুরো ইকোসিস্টেমকে ধ্বংস ভেঙে দিয়েছে। মানুষ মারাত্মকভাবে বন্যার কবলে পড়েছে। সুতরাং যেকোনো প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করতেই হবে।’ ভোরের আকাশ/হ.র
দেশে প্রায় ৩৫ লাখ শিশু শ্রমিক হিসেবে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এই ৩৫ লাখ শিশুর মধ্যে অন্তত ১০ লাখ শিশু জড়িত রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ পেশায়।বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে বিশ্ব শিশুশ্রম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান শ্রম উপদেষ্টা। শিশুশ্রম বন্ধে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যে শিশু শ্রমের সংজ্ঞা বিদ্যমান, তা সংশোধনের কাজ চলছে। নতুন সংজ্ঞায় শিশু শ্রমিকদের জন্য নির্দিষ্ট বয়সের সীমা নির্ধারণ করা হবে।’শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলছে এবং আগামী নভেম্বরের মধ্যে সংশোধিত শ্রম আইন চূড়ান্ত করা হবে।’শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের সর্বত্রই শিশুশ্রমের করুণ চিত্র। হাজার হাজার শিশুর স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয় শিশুশ্রমে। শিশুকালে তাদের রঙিন স্বপ্ন বোনার কথা। স্বপ্নে আকাশে উড়ে বেড়ানো পাইলট হওয়ার কথা, সেই শিশুর স্বপ্নগুলো ধ্বংস হয় ইটভাটার আগুনে, রেস্টুরেন্টে আসা লোকজনের অমানবিক আচরণ ও অকথ্য বকুনিতে। একমুঠো ভাতের জন্য দিনের পর দিন সকাল-সন্ধ্যা শিশুরা অসহানীয় যন্ত্রণা সহ্য করে থাকে। একবেলা খেতে পারবে সেই আশায়। কখনোবা তাদের শিকার হতে হয় কারখানার মালিকদের অমানবিক নির্যাতনের। দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলোতে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা কম নয়। রাজধানী ঢাকায় শিশুশ্রমের করুণ অবস্থা সবারই জানা। দেশের অন্যান্য স্থানেও আশঙ্কাজনক হারে এ চিত্র বাড়ছে।বাংলাদেশের আইন অনুসারে ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে কাজ করতে দেওয়া যাবে না। কিন্তু আইন থাকলেও আইনের প্রয়োগ নেই। বাসাবাড়িতে কাজ করে নিজেকে বাঁচানোর জন্য দুমুঠো ভাতের জন্য গৃহকর্তা-গৃহকত্রীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় মা-পিতৃহারা শিশুরা। মূল্যবান জীবন ইটপোড়া কারখানা থেকে শুরু করে পাথরভাঙা, বাসাবাড়িতে কাজ করা, বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ গাড়ির গ্যারেজ, দোকানে কাজ করে শিশুরা।বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ ধারায় শিশুদের সুবিধাপ্রাপ্তি বিশেষসংক্রান্ত আইন রয়েছে, যা শ্রম আইন ২০০৬ নামে পরিচিত। এতে কাজে যোগদানের কমপক্ষে বয়স ১৪ বছর আর ঝুঁকিপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে ১৮ বছর; কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ১৪ বছর হওয়ার আগেই শিশুদের বিভিন্ন কাজে যুক্ত থাকার চিত্র অহরহ। শিশুশ্রম নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ শ্রম সংশোধন ২০১৮-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, কেউ যদি শিশুশ্রমিক নিয়োগ দেয় তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। কিন্তু বাস্তবে ভিন্ন চিত্র।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ বাতিলের দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ভেতর আবারও জমায়েত হয়ে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের আন্দোলনকারী কর্মচারীরা।বুধবার (১৮ জুন) সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ শেষে সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন আন্দোলনকারী কর্মচারীরা। পরে কর্মচারীরা বলেন, তারা এখন কঠোর কর্মসূচি যাবেন। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, কর্মচারীরা মিছিল করে সচিবালয়ের ছয় নম্বর ভবনের নিচে কিছুক্ষণ অবস্থান নেন। সেখানে তারা সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে একটি প্রতিনিধি দল উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের বরাবর স্মারকলিপি দেন।এর আগেও তারা অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে থেকে বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন সচিবালয়ে কর্মরত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। তারা বিক্ষোভ, কর্মবিরতি ও স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করছেন।আজ সকাল সোয়া ১১টার পর তারা সচিবালয়ের বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সচিবালয়ের বিভিন্ন অলিগলি প্রদক্ষিণ করেন। মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ওয়ারী মিছিল নিয়ে বাদামতলায় জড়ো হওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিতি আগের দিনের মতোই কম ছিল। কর্মচারীরা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘মানি না মানব না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানব না, অবৈধ কালো আইন’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।বিক্ষোভ শেষে ৬ নম্বর ভবনের লিফটের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেকটা মানুষ সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল চায়। ফলে কোনো সংশোধন, সংযোজন, পরিমার্জন আমরা মানব না। এখন পর্যন্ত আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ডাক পাইনি। যদিও পর্যালোচনা কমিটি গঠনের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ দিতে।নূরুল ইসলাম বলেন, কর্মচারীদের দাবি সম্বলিত পোস্টার যারা ছিঁড়েছে, সিসিটিভির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে আমরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করব। যার যার জায়গা থেকে পোস্টার ব্যানার লিফলেট তৈরি করে পুরো সচিবালয়ে সাঁটিয়ে দিতে হবে।আগামীকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করে নূরুল বলেন, আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আগামী রোববার আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।ভোরের আকাশ/এসএইচ
রাজধানীতে মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই ডেঙ্গুর প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রতি পরিচালিত জরিপে দেখা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৩টি ওয়ার্ডে এডিস মশার লার্ভার ঘনত্ব ‘ব্রুটো ইনডেক্স’ নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি। এই সূচক বিশ্লেষণে এসব এলাকা ডেঙ্গু সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে চিহ্নিত হয়েছে।বুধবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত মৌসুম পূর্ব এডিস সার্ভে-২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ঝুঁকিতে থাকা ওয়ার্ডগুলো হলো- ১২, ২, ৮, ৩৪, ১৩, ২২ নং ওয়ার্ড। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ডগুলো হলো- ৩১, ৪১, ৩, ৪৬, ৪৭, ৪, ২৩ নং ওয়ার্ড।দুই সিটির ৯৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে ব্রুটো ইনডেক্স ২০-এর বেশি। এর অর্থ হচ্ছে, এসব এলাকার ১০০টির মধ্যে ২০টির বেশি পাত্রে মশা বা লার্ভা পাওয়া গেছে। এই এলাকাগুলো ডেঙ্গুর বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।সরকারি এই জরিপের ফলাফল মশার বিস্তার রোধে সক্রিয় প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে সতর্কবার্তা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগাম সতর্কতা ও জনসচেতনতা ছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ সামাল দেওয়া কঠিন হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ