ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২৬ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
বিশ্ব ওজোন দিবস আজ।‘ওজোন স্তর সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন রক্ষা’ প্রতিপাদ্যে পালিত হচ্ছে এবারের বিশ্ব ওজোন দিবস।ওজোন স্তরের ক্ষয় ও এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী গণসচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছর ১৬ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক ওজোন দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের অন্য দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
১৯৮৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ভিয়েনা কনভেনশনের আওতায় ওজোন স্তর ধ্বংসকারী পদার্থের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে গৃহীত হয় মন্ট্রিল প্রোটোকল। সেই দিনটিকেই আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে বিশ্ব ওজোন দিবস হিসেবে। বাংলাদেশ ১৯৯০ সালে এই প্রোটোকলে স্বাক্ষর করে।
ওজোন স্তর রক্ষায় বাংলাদেশের কার্যক্রম তুলে ধরতে সোমবার খুলনায় বিশেষজ্ঞরা বলেন, হাইড্রো ফ্লোরোকার্বন (এইচএফসি) ও অন্যান্য ওজোন-হ্রাসকারী পদার্থের ব্যবহার দ্রুত কমানো জরুরি। তারা জানান, এইচএফসি হলো এক ধরনের সিন্থেটিক গ্রিনহাউস গ্যাস, যা মন্ট্রিল প্রোটোকলের অধীনে ওজোন ক্ষয়কারী পদার্থের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তবে সমস্যা হলো—এগুলো ওজোন স্তর রক্ষায় সহায়ক হলেও বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ানোর ক্ষমতা (জিডাব্লিউপি) অত্যন্ত বেশি; যা কার্বন ডাই অক্সাইডের চেয়ে হাজার গুণ শক্তিশালী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এইচসিএফসি ফেজ-আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (পর্যায়-২) কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রায় ১.৭ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইডের সমপরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ঠেকানো সম্ভব।
‘বিশ্ব ওজোন দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয় খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে। পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালা পরিচালিত হয়েছে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রকল্প এইচসিএফসি ফেজ-আউট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান (পর্যায়-২)–এর আওতায়।
ভোরের আকাশ/এসএইচ