সরকারি চাকরি আইন বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভ
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে আজও সচিবালয়ে বিক্ষোভ করছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে থেকে কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে- ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, সচিবালয় জেগেছে’, ‘মানি না মানবো না, ফ্যাসিবাদী কালো আইন’, ‘মানি না মানবো না, অবৈধ কালো আইন’, ‘ফ্যাসিবাদের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘১৮ লাখ কর্মচারী, এক হও লড়াই করো’ স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার কাছে অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কর্মচারীরা।
এর আগে, গতকাল রোববার তারা খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের কাছে স্মারকলিপি দেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ১৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা।শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক বসেছে। বৈঠকে অংশ নেওয়া রাজনীতিবিদরা হলেন– জাতীয় গণফ্রন্ট নেতা আমিনুল হক টিপু বিশ্বাস, ১২ দলীয় জোটের মোস্তফা জামাল হায়দার, নেজামে ইসলাম পার্টি মাওলানা আব্দুল মাজেদ আতহারী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, এনপিপি চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জাসদ নেতা ড. মুশতাক হোসেন, ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট নেতা ববি হাজ্জাজ, জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার, ইসলামী ঐক্যজোট মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, ভাসানী জনশক্তি পার্টির চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টি চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মার্কসবাদী- বাসদ সমন্বয়ক মাসুদ রানা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২২ জুলাই) দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।এরপর বুধবার (২৩ জুলাই) আরও ১৩টি দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মানবাধিকারকে একটি সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এটা শুধু আইন দিয়ে সম্ভব নয়। সবার উপলব্ধি, আত্মশুদ্ধি ও স্বচ্ছতার প্রয়োজন। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের আত্মসমালোচনা ও আত্মশুদ্ধি করতে হবে। আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের সঙ্গে এসব বাস্তবায়িত হলে সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আসতে পারে।শনিবার (২৬ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি’ আয়োজিত ১১তম মানবাধিকার সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।আসিফ নজরুল বলেন, আমাদের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা লাগবে। আমাদের আত্মসমালোচনা করতে হবে, আত্মশুদ্ধি করতে হবে। এগুলোর সঙ্গে যখন আমরা আইনগত পরিবর্তন করবো, প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন করবো; তখন একটা সত্যিকার অর্থে পরিবর্তন আসতে পারে।সবার আগে রাষ্ট্রের প্রধান তিনটি অঙ্গ- নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ সংস্কার করা দরকার উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, আগে এই তিনটা অঙ্গের প্রবলেম সলভ (সমস্যা সমাধান) করতে হবে। এখানে প্রবলেম রেখে তথ্য কমিশন করে, হিউম্যান রাইটস কমিশন করে, সেমিনার সিম্পোজিয়াম করে আসলে কোনও লাভ হবে না। আসল জায়গাতে হাত দিতে হয়।মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা একটি বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, অনেকে মনে করে, মানবাধিকার বাস্তবায়ন ইউরোপে হয়েছে, আমেরিকায় হয়েছে। তারা নিজের দেশের ভেতরে করেছে। কিন্তু তারা সারা পৃথিবীতে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করার কাজে নিয়োজিত আছে।তিনি বলেন, ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার ভয়টা চলে গেলে তখন (সরকার) কী দানবে পরিণত হয়, সেটা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিস্ট আমল থেকে আমরা বুঝতে পারি। যেটার কারণে আমাদের ১ হাজারেরও বেশি ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রজনতাকে চিরস্থায়ীভাবে পঙ্গু হয়ে যেতে হয়েছে। কত কঠিন ভয়াবহ মূল্য দিতে হয়েছে আমাদের তা উপলব্ধির করে সার্বিকভাবে চিন্তা চেতনার প্রয়োজন আছে। আমরা আশাবাদী থাকবো। কিন্তু আমরা যেন ইউটোপিয়ান হয়ে না যাই।গুমের শিকার মাইকেল চাকমা বলেন, আমাকে তুলে নেওয়ার পর আমার পরিবার, মানবাধিকারকর্মীসহ অনেকে আমাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেছে। এক পর্যায়ে আমার পরিবার মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। আমার বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে মারা যায়। তারা (পরিবার) একসময় আমারো শেষকৃত্য করে নেয়। একটা পরিবার কতটুকু আশাহীন হলে শেষকৃত্য করে নেয়! আমার সেই অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ছি। কিন্তু এখনও প্রশ্ন রয়ে যায় ভবিষ্যতে বাংলাদেশ কেমন হবে?ভোরের আকাশ/এসএইচ
ভারতে থাকা কোনো রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টায় সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীতে র্যাব-১১ এর কার্যালয় পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারত যেভাবে পুশ ইন করছে তা নিন্দনীয়।তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অনেক মামলায় অগনিত ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যমূলকভাবে আসামি করা হয়েছে। এজন্য মামলার তদন্ত কাজ বিলম্বিত হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে হয়রানি না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।এ সময় অভ্যুত্থানের মামলাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে বলেও জানান তিনি।নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের এই উপদেষ্টা বলেন, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে অভ্যুত্থানে লুট হওয়া অস্ত্রসহ সারাদেশে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তৎপর রয়েছে।এদিকে মোহাম্মদপুরের আলোচিত ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, এখন পর্যন্ত চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ফোনও উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনার জন্য একটি তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে। দোষীদের ছাড় দেওয়া হবে না। পাশাপাশি কেউ যদি এই ঘটনাকে অবহেলা করে থাকে তাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে র্যাব মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, র্যাব-১১ ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক (সিও) এডি. ডিআইজি মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া, উপ অধিনায়ক মেজর অনাবিল ইমাম, অপস অফিস সিনিয়র এএসপি গোলাম মোর্শেদসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, এটি আধুনিক এক হুমকি, যা অস্ত্রের চেয়েও ভয়াবহ।শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে খুলনার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।সিইসি বলেন, আমাদের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জনগণের বিশেষ করে নারী ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে আসতে না পারলে নির্বাচন কার্যকর হবে না।তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাস দমন ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নির্বাচন পূর্বকালেই অভিযান চলবে। যাতে কেউ কোনো ধরনের ভীতি দেখিয়ে ভোটের পরিবেশ বিঘ্নিত করতে না পারে।প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা রাতের আঁধারে নয়, দিনের আলোতেই সব কার্যক্রম সম্পন্ন করতে চাই। যেন দেশের জনগণ স্বচ্ছভাবে দেখতে পারে, নির্বাচন কতটা নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে।তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।সভায় খুলনা বিভাগের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিইসি নাসির উদ্দিন।ভোরের আকাশ/এসএইচ