ফাইল ছবি
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জুলাই-আগস্টে সারাদেশে গণহত্যা চালায়। সেই গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার দাবি করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।
বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি তোলেন।
তাজউদ্দীনপুত্র শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যা নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘দ্য ব্যাটল ফর বাংলাদেশ: ফল অব শেখ হাসিনা’ শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সাহসী যোদ্ধাদের, যারা তাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসনের হাত থেকে মুক্ত করেছে- এই গণহত্যার জন্য দায়ী সকলের বিচার করতেই হবে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
‘শাপলা’কে নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে বিধিমালার তফসিলভুক্ত না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (৯ জুলাই) নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।নির্বাচন কমিশনার মাছউদ বলেন, নাগরিক ঐক্য ‘কেটলি’ প্রতীকের পরিবর্তে ‘শাপলা’ চেয়েছিল। একইভাবে সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)– যারা গণঅভ্যুত্থান থেকে উঠে এসেছে– তারাও ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে আবেদন করে। কিন্তু সংবিধানে শাপলাকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে, সে কারণে এটি নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে ব্যবহার উপযোগী নয় বলে কমিশনের অভিমত।তিনি বলেন, সংবিধানে জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় পতাকা সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। শাপলা জাতীয় প্রতীক হওয়ায় নির্বাচন কমিশন আগেই নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নেয় যে, এটি প্রতীক তালিকায় থাকবে না। আজ আমরা সেই সিদ্ধান্তই পুনর্ব্যক্ত করেছি।তিনি আরও জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা ৬৯ থেকে বাড়িয়ে অন্তত ১১৫ করার পরিকল্পনা করছে ইসি। সম্প্রসারিত প্রতীকের তালিকা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
জাতীয় সমাবেশ সফল করতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট এলাকায় মিছিল ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।বুধবার (৯ জুলাই) রাতে দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।কারওয়ান বাজারের আম্বরশাহ শাহী জামে মসজিদের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শুরু হওয়া কর্মসূচি ফার্মগেট গোল চত্বরে পথসভা দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ ও মিছিলে দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।পূর্ব সমাবেশে মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশ সফল করতে রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় জনস্রোত সৃষ্টি করতে হবে। তিনি বলেন, জামায়াত ঘোষিত ৭ দফা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি ন্যায়ভিত্তিক, বৈষম্যহীন ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে দলটি।তিনি আরও বলেন, “জনপ্রতিনিধিরা জনগণের শাসক নয়, বরং হবে সেবক। আমরা সে ধরনের সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”রাজধানীবাসীকে সমাবেশে যোগদানের আহ্বান জানান তিনি।কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য হেমায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে ও মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মজলিসে শূরা সদস্য জিল্লুর রহমান, আহসান উল্লাহ, ইউসুফ আলী মোল্লা, কলিম উল্লাহ, আবু সাঈদ মণ্ডল এবং এস এম মনির আহমেদ প্রমুখ। ভোরের আকাশ/হ.র
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তার আগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার জুলাই-আগস্টে সারাদেশে গণহত্যা চালায়। সেই গণহত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার বিচার দাবি করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ দাবি তোলেন।তাজউদ্দীনপুত্র শেখ হাসিনা সরকারের গণহত্যা নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন ‘দ্য ব্যাটল ফর বাংলাদেশ: ফল অব শেখ হাসিনা’ শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সাহসী যোদ্ধাদের, যারা তাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশকে স্বৈরশাসনের হাত থেকে মুক্ত করেছে- এই গণহত্যার জন্য দায়ী সকলের বিচার করতেই হবে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
গণহত্যার দায়ে শুধু শেখ হাসিনা নয়, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (৯ জুলাই) রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুসকে দেখতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি রোষানলের শিকার বিএনপি। আর সর্বশেষ গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন শেখ হাসিনা। গণহত্যার জন্য শুধু শেখ হাসিনা নয়, দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগেরও বিচার হওয়া উচিত।তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নিপীড়ন-নির্যাতন, হত্যা, গুম-খুনের সবচেয়ে বড় ভিকটিম আমাদের দল বিএনপি।তিনি আরও বলেন, নির্বাচন আর সংস্কার কখনও সাংঘর্ষিক নয়। দেশের জনগণ নির্বাচন চায়। যারা নির্বাচন পেছানোর কথা বলছেন, তারা বিষয়টি আরও ভেবে দেখবেন। দেশ বাঁচাতে, জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সরকারকে সঠিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।গণহত্যার বিচারে উদাসীনতা রয়েছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে হাজার মানুষ হত্যার দায় নিয়ে ১১ মাস আগে ভারতে পালিয়ে যান জনরোষে পদচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। এত দীর্ঘ সময় পরও শেখ হাসিনা ও তার দলের বিচার না হওয়া দুঃখজনক।এ সময় সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।ভোরের আকাশ/এসএইচ