নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৯:৫৫ এএম
সংগৃহীত ছবি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। কিন্তু গত ১৬-১৭ বছর ধরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করে ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর দমন করা হয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদের দালালি করেছে এবং গুম-খুনের সাফাই গেয়েছে, সেইসব গণমাধ্যম টিকে থাকার অধিকার রাখে না।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে দৈনিক বার্তা পত্রিকার অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, নীলক্ষেত থেকে যখনই ব্যালট পেপার ছাপানোর কথা আসবে এখানে সন্দেহ জাগবেই। আজকে নানা অনিয়মের কথা নানা দিক থেকে চলে আসছে। এটাতো কোন হোটেল মালিক সমিতির নির্বাচন বা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচন নয়! সেখানেও তারা অনেক সাবধানতা ও গোপনীয়তা অবলম্বন করে ব্যালট পেপার ছাপায়। ডাকসুর নির্বাচনের ব্যালট পেপার একেবারে গোপনীয় সরকারি কোন সংস্থা থেকে করা যেত। নীলক্ষেতের কথা যখন আসবে তখন তো এটা সন্দেহ জাগবেই।
রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা অপরিহার্য। কিন্তু গত ১৬-১৭ বছর ধরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করে ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর দমন করা হয়েছে। যারা ফ্যাসিবাদের দালালি করেছে এবং গুম-খুনের সাফাই গেয়েছে, সেইসব গণমাধ্যম টিকে থাকার অধিকার রাখে না।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করে প্রতিটি গুম-খুনকে আড়াল করেছে এবং ভিন্নমতের মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে দমন করেছে। শেখ হাসিনা আন্দোলন দমন করতে হেলিকপ্টার থেকে বোমা হামলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এমনকি তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের হত্যা করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদী ইতালি কিংবা নাৎসি জার্মানিতে স্বৈরাচারের দালাল মিডিয়াগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর টিকে থাকতে পারেনি। তাই বাংলাদেশের গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির সাফাই গাওয়া মিডিয়ারও প্রয়োজন নেই।
ভোরের আকাশ/তা.কা