এক দশক পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১০ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। ২০১৫ সালের পর আবার ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ঈদ করছেন তিনি। মাঝের বছরগুলোয় খালেদা জিয়া কিছুদিন কারাগারে এবং পরে বাসায় অন্তরীণ ছিলেন।
দলের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে যখন লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন, তখনও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। এখানে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তিন নাতনির সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেন। এরপর দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করা হয়নি তার।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তাই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ জিয়া পরিবারের জন্য অন্য রকম হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঈদ মানে পরিবারের সঙ্গে উদযাপন। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে তা হয়নি। এবার জিয়া পরিবার একসঙ্গে ঈদ করবে, সেটা দেশবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্যও আনন্দের বিষয়।
এপ্রিলে তাঁর দেশে ফেরার কথা হচ্ছে। লন্ডনে যাওয়ার সময় কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করেছিল।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া এবং তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পান। ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান।
সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ওই সময় আরাফাত রহমান প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ডে যান। পরবর্তী সময় সেখান থেকে তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখানে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান মারা যান। এরপর ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া লন্ডন যান। সেখানে তারেক রহমানের বাসায় তাঁরা ঈদ উদযাপন করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস নয়। সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এ ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, চীন সফর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় সাফল্য। ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেছে।তিনি বলেন, ছয়টা সংস্কার কমিশন হয়েছে। সব কমিশনের আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। এরপর সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। যেটা কথা আছে, সেটা হলো- যেসব বিষয়ে ঐক্যমত হবে, সেসব বিষয় সামনে নিয়ে নির্বাচন হবে। এর আগে ‘চার্টার অব রিফর্ম’ তৈরি হবে। সেখানে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে। যারা নির্বাচিত হবে, তারা এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। এই হচ্ছে রাজনৈতিক বোঝাপড়া।তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা অতীতে ৩১ দফার মাধ্যমেও কাজ করে এসেছি। বর্তমানে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমেও করেছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। আমরাও সেভাবে কাজ করছি।পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনের পর এবার আনন্দময় পরিবেশে দেশবাসী ঈদ উদযাপন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে যাচ্ছি। যিনি যে পদে আছেন সেই মোতাবেক কাজ করবেন, সফল হবেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি তারা সেটি পালন করবেন। আমরা অবশ্যই আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পালন করবো।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে, এ আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দলের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টায় রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আট বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ছেলে তারেক রহমান, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনীকে নিয়ে ঈদ করছেন তিনি। এ কারণে এবারের ঈদ তার জীবনে বিশেষ কিছু। রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ উনি (খালেদা জিয়া) লন্ডনে বেটার আছেন। সেখানে ঈদ উদযাপন হচ্ছে। ফ্যামিলির সঙ্গে প্রায় দশ বছর পরে উনি উদযাপন করছেন। দিস ইজ আ গুড থিংক ফর আস।কবে আসবেন বিএনপি চেয়ারপারসন এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ম্যাডাম সম্ভবত যতটুকু শুনেছি আমি, ফাইনাল নিশ্চিত না, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পরিবারের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন তারেক রহমান।সেই ছবিতে তারেক রহমানের মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমানও রয়েছেন।ছবিটি শেয়ার করে তারেক রহমান ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। আমি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ঈদ মোবারক।তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের নির্যাতিত জনগণ প্রার্থনা করে এসেছেন যে তারা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপন করবেন; যেখানে স্বৈরাচার তাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করতে পারবে না।এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ছেলের বাসায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন। এরও আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় আট বছর পর লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
এক দশক পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১০ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। ২০১৫ সালের পর আবার ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ঈদ করছেন তিনি। মাঝের বছরগুলোয় খালেদা জিয়া কিছুদিন কারাগারে এবং পরে বাসায় অন্তরীণ ছিলেন।
দলের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে যখন লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন, তখনও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। এখানে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তিন নাতনির সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেন। এরপর দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করা হয়নি তার।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তাই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ জিয়া পরিবারের জন্য অন্য রকম হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঈদ মানে পরিবারের সঙ্গে উদযাপন। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে তা হয়নি। এবার জিয়া পরিবার একসঙ্গে ঈদ করবে, সেটা দেশবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্যও আনন্দের বিষয়।
এপ্রিলে তাঁর দেশে ফেরার কথা হচ্ছে। লন্ডনে যাওয়ার সময় কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করেছিল।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া এবং তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পান। ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান।
সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ওই সময় আরাফাত রহমান প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ডে যান। পরবর্তী সময় সেখান থেকে তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখানে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান মারা যান। এরপর ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া লন্ডন যান। সেখানে তারেক রহমানের বাসায় তাঁরা ঈদ উদযাপন করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কার আর নির্বাচন আলাদা জিনিস নয়। সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে। নির্বাচন নির্বাচনের মতো চলবে। এ ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব যথাযথভাবে পর্যালোচনা করেই বিএনপি মতামত দিয়েছে বলেও জানান তিনি।মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের কালিবাড়ি নিজ বাসভবনে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, চীন সফর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের একটি বড় সাফল্য। ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একতরফাভাবে একটি দলের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চীন তার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করেছে।তিনি বলেন, ছয়টা সংস্কার কমিশন হয়েছে। সব কমিশনের আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। এরপর সেগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। যেটা কথা আছে, সেটা হলো- যেসব বিষয়ে ঐক্যমত হবে, সেসব বিষয় সামনে নিয়ে নির্বাচন হবে। এর আগে ‘চার্টার অব রিফর্ম’ তৈরি হবে। সেখানে সব রাজনৈতিক দল স্বাক্ষর করবে। যারা নির্বাচিত হবে, তারা এসব সংস্কার বাস্তবায়ন করবে। এই হচ্ছে রাজনৈতিক বোঝাপড়া।তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা অতীতে ৩১ দফার মাধ্যমেও কাজ করে এসেছি। বর্তমানে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমেও করেছি। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। আমরাও সেভাবে কাজ করছি।পরে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কুশল ও ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এ সময় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাফরুল্লাহ, যুবদলের সদস্যসচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফ্যাসিবাদী সরকারের শাসনের পর এবার আনন্দময় পরিবেশে দেশবাসী ঈদ উদযাপন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।সোমবার (৩১ মার্চ) সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে যাচ্ছি। যিনি যে পদে আছেন সেই মোতাবেক কাজ করবেন, সফল হবেন। বিশেষ করে অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি তারা সেটি পালন করবেন। আমরা অবশ্যই আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা পালন করবো।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দেবে, এ আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি। বক্তব্যের শুরুতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া এবং দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দলের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টায় রাজধানীর গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে লন্ডন থেকে অনলাইনে যুক্ত হন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানানো হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটি সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এ সময় উপস্থিত ছিলেন।এছাড়া, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।ভোরের আকাশ/এসএইচ
আট বছর পর পরিবারের সঙ্গে ঈদ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে ছেলে তারেক রহমান, দুই পুত্রবধূ ও তিন নাতনীকে নিয়ে ঈদ করছেন তিনি। এ কারণে এবারের ঈদ তার জীবনে বিশেষ কিছু। রোববার (৩০ মার্চ) দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ উনি (খালেদা জিয়া) লন্ডনে বেটার আছেন। সেখানে ঈদ উদযাপন হচ্ছে। ফ্যামিলির সঙ্গে প্রায় দশ বছর পরে উনি উদযাপন করছেন। দিস ইজ আ গুড থিংক ফর আস।কবে আসবেন বিএনপি চেয়ারপারসন এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ম্যাডাম সম্ভবত যতটুকু শুনেছি আমি, ফাইনাল নিশ্চিত না, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরবেন।রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পরিবারের সঙ্গে ছবি শেয়ার করেছেন তারেক রহমান।সেই ছবিতে তারেক রহমানের মা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জায়মা রহমানও রয়েছেন।ছবিটি শেয়ার করে তারেক রহমান ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশের জনগণ এবং সারা বিশ্বের মুসলমানরা ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে। আমি সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, ঈদ মোবারক।তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে বাংলাদেশের নির্যাতিত জনগণ প্রার্থনা করে এসেছেন যে তারা একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে ঈদ উদযাপন করবেন; যেখানে স্বৈরাচার তাদের কণ্ঠস্বরকে দমন করতে পারবে না।এর আগে ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়ে ছেলের বাসায় ঈদুল আজহা উদযাপন করেছিলেন। এরও আগে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় আট বছর পর লন্ডনে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
মন্তব্য করুন