ভোরের আকাশ ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৫ ১০:৪১ এএম
এক দশক পর পরিবারের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদ
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ ১০ বছর পর যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। ২০১৫ সালের পর আবার ছেলে, পুত্রবধূ ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে ঈদ করছেন তিনি। মাঝের বছরগুলোয় খালেদা জিয়া কিছুদিন কারাগারে এবং পরে বাসায় অন্তরীণ ছিলেন।
দলের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়া ২০১৫ সালে যখন লন্ডনে ঈদুল আজহা উদযাপন করেন, তখনও তাঁর বড় ছেলে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা সঙ্গে ছিলেন। চিকিৎসার জন্য গত জানুয়ারিতে লন্ডনে আসেন বেগম খালেদা জিয়া। এখানে বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, পুত্রবধূ, ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও তিন নাতনির সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্যাপন করবেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে আসেন খালেদা জিয়া। ওই সময় তিন মাস তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদ্যাপন করেন। এরপর দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করা হয়নি তার।
গত কয়েক বছরের তুলনায় এখন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বেশ ভালো। তাই পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এবারের ঈদ জিয়া পরিবারের জন্য অন্য রকম হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ঈদ মানে পরিবারের সঙ্গে উদযাপন। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে তা হয়নি। এবার জিয়া পরিবার একসঙ্গে ঈদ করবে, সেটা দেশবাসী ও বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্যও আনন্দের বিষয়।
এপ্রিলে তাঁর দেশে ফেরার কথা হচ্ছে। লন্ডনে যাওয়ার সময় কাতার সরকার খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স সরবরাহ করেছিল।
২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর খালেদা জিয়া এবং তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান গ্রেপ্তার হন। ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান জামিনে মুক্তি পান। ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান।
সেই থেকে তিনি পরিবার নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। ওই সময় আরাফাত রহমান প্যারোলে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য প্রথমে থাইল্যান্ডে যান। পরবর্তী সময় সেখান থেকে তিনি সপরিবারে মালয়েশিয়া চলে যান। সেখানে ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি আরাফাত রহমান মারা যান। এরপর ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া লন্ডন যান। সেখানে তারেক রহমানের বাসায় তাঁরা ঈদ উদযাপন করেন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ