ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:১২ এএম
জামালকে হামজার প্রশ্ন খেলোনি কেন
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জামালকে গুডবুকে রেখেও যেভাবে কৌশল করে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তা দৃষ্টিকটুই বটে। তাকে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটা কৌশলও মনে করা হচ্ছে। মানসিক চাপে পড়ে জামাল আর্মব্যান্ড খুলে ফেলবেন, সেটাই অনেকে চাইছেন। কিন্তু জামাল সেই সুযোগ কাউকে দিতে চান না। জামাল বুঝতে পারছেন, তিনি পলিটিক্সের শিকার হতে যাচ্ছেন।
শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয়নি অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। গত ২৫ মার্চ ম্যাচ শেষ হওয়ার পর রাতে টিম হোটেলে লবিতে বসে কথা বলছিলেন জামাল। অন্য হোটেলে হামজা চৌধুরী তার মা, বাবা এবং স্ত্রী সন্তনদের সঙ্গে দেখা করে টিম হোটেলে ফিরে জামালকে দেখে তার কাছে যান। পরে জানা যায় হামজা জামালকে প্রশ্ন করেছিলেন তুমি খেলনি কেন।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা ৫ জন ফুটবলার পরিবর্তন করলেও অধিনায়ক জামাল ভুইয়াকে মাঠে নামাননি। কি কারনে অধিনায়ককে এবাবে অবহেলা করলেন তা বুঝা গেল না। জামাল ঢাকায় মালদ্বীপের বিপক্ষেও খেলেছেন। হয়ত পুরো সময় খেলেননি। তার পরও জামালকে কাজে লাগিয়েছিলেন কোচ। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলায় অভিজ্ঞ জামাল ছিলেন অনুপস্থিত। চন্দন রায়কে নামিয়েছেন কোচ। হামজা ভারতের বিপক্ষে গোলের স্পেস বের করে গোলের সুযোগ তৈরি করতে বল চেয়েছিলেন চন্দনের কাছে। কিন্তু চন্দন হামজাকে বল না দিয়ে পাস দিয়েছেন পেছনে বসুন্ধরা কিংসের আরেক ফুটবলারের কাছে।
মোরসালিনের মতো বেঞ্চে বসা ফুটবলারকে একাদশে খেলিয়েছেন কোচ, তারপরও আল আমিনকে নামাননি, জামালকে নামাননি। কোচ কাকে নামবেন, আর কাকে নামাবেন না, সেটি পুরোপুরি কোচের সিদ্ধান্ত। এখানে অন্য কারো নাক গলানোর সুযোগ নেই।
তবে ৫ জন ফুটবলার পরিবর্তন করলেও জামাল ভূঁইয়া, আল আমিনরা কোচের নজরেই আসবেন না, তা সহজে মেনে নিতে পারেননি ফুটবল অনুরাগীরা। জামাল ভূইয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার না খেলার বিষয়ে। জামাল ভুইয়া জানালেন হামজা চৌধুরীও একই প্রশ্ন করেছিলেন জামালকে-তুমি খেলনি কেনে।
জামাল ভুইয়া নিজেও জানেন না তাকে কেন কোচ মাঠে নামাননি। জামাল বলছিলেন তিনি নাকি জানতেন খেলবেন। ম্যাচের আগের দিন কোচ আমাদেরকে ওভাবেই অনুশীলন করিয়েছে আমি খেলবো। আমি ধরে নিয়েছিলাম একাদশে খেলব। অনুশীলন ডিজাইনটাও সেভাবে হচ্ছিল। কিন্তু পরে দেখলাম আমি নেই।
জামালকে প্রশ্ন করা হলো কোচ ৫ জন পরিবর্তন করলেন, আপনাকে কেন নামতে দেখা গেল না, কেন? কথাটা শুনে রিকসায় বসা জামাল হাসছিলেন। আমি এটা বলতে পারব না। আমি শুধু জানি আমাকে মাঠে নামতে হবে খেলতে হবে। কিন্তু কিভাবে সব বদলে গেছে আমি জানি না-বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভুইয়া।
জামালের কথায় অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। যা প্রকাশ করতে পারছেন না। মনের বিরুদ্ধে অনেক কিছু চাপিয়ে রাখতে হচ্ছে জামালকে। জামালকে মাঠে নামায়নি বলে রাগে অভিমানে সব ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন তিনি। বুঝতে পারছেন তার হাত থেকে আর্মব্যান্ড কেড়ে নেওয়ার একটা কৌশল শুরু হয়েছে। কোচ সেই ফাঁদেই পড়তে যাচ্ছেন।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জামালকে গুডবুকে রেখেও যেভাবে কৌশল করে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তা দৃষ্টিকটুই বটে। তাকে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটা কৌশলও মনে করা হচ্ছে। মানসিক চাপে পড়ে জামাল আর্মব্যান্ড খুলে ফেলবেন, সেটাই অনেকে চাইছেন।
কিন্তু জামাল সেই সুযোগ কাউকে দিতে চান না। জামাল বুঝতে পারছেন তিনি পলিটিক্সের শিকার হতে যাচ্ছেন। কিন্তু মাথা গরম করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন না জামাল।
হাসতে হাসতে বলছিলেন, আমার মাথা ঠান্ডাই আছে। আমি মাথা গরম করলে অন্যরা সুযোগ নেবে। সেটা করব কেন।
ভোরের আকাশ/এসআই
ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ৪ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৪ ঘন্টা আগে
জামালকে হামজার প্রশ্ন খেলোনি কেন
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জামালকে গুডবুকে রেখেও যেভাবে কৌশল করে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তা দৃষ্টিকটুই বটে। তাকে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটা কৌশলও মনে করা হচ্ছে। মানসিক চাপে পড়ে জামাল আর্মব্যান্ড খুলে ফেলবেন, সেটাই অনেকে চাইছেন। কিন্তু জামাল সেই সুযোগ কাউকে দিতে চান না। জামাল বুঝতে পারছেন, তিনি পলিটিক্সের শিকার হতে যাচ্ছেন।
শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয়নি অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে। গত ২৫ মার্চ ম্যাচ শেষ হওয়ার পর রাতে টিম হোটেলে লবিতে বসে কথা বলছিলেন জামাল। অন্য হোটেলে হামজা চৌধুরী তার মা, বাবা এবং স্ত্রী সন্তনদের সঙ্গে দেখা করে টিম হোটেলে ফিরে জামালকে দেখে তার কাছে যান। পরে জানা যায় হামজা জামালকে প্রশ্ন করেছিলেন তুমি খেলনি কেন।
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা ৫ জন ফুটবলার পরিবর্তন করলেও অধিনায়ক জামাল ভুইয়াকে মাঠে নামাননি। কি কারনে অধিনায়ককে এবাবে অবহেলা করলেন তা বুঝা গেল না। জামাল ঢাকায় মালদ্বীপের বিপক্ষেও খেলেছেন। হয়ত পুরো সময় খেলেননি। তার পরও জামালকে কাজে লাগিয়েছিলেন কোচ। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলায় অভিজ্ঞ জামাল ছিলেন অনুপস্থিত। চন্দন রায়কে নামিয়েছেন কোচ। হামজা ভারতের বিপক্ষে গোলের স্পেস বের করে গোলের সুযোগ তৈরি করতে বল চেয়েছিলেন চন্দনের কাছে। কিন্তু চন্দন হামজাকে বল না দিয়ে পাস দিয়েছেন পেছনে বসুন্ধরা কিংসের আরেক ফুটবলারের কাছে।
মোরসালিনের মতো বেঞ্চে বসা ফুটবলারকে একাদশে খেলিয়েছেন কোচ, তারপরও আল আমিনকে নামাননি, জামালকে নামাননি। কোচ কাকে নামবেন, আর কাকে নামাবেন না, সেটি পুরোপুরি কোচের সিদ্ধান্ত। এখানে অন্য কারো নাক গলানোর সুযোগ নেই।
তবে ৫ জন ফুটবলার পরিবর্তন করলেও জামাল ভূঁইয়া, আল আমিনরা কোচের নজরেই আসবেন না, তা সহজে মেনে নিতে পারেননি ফুটবল অনুরাগীরা। জামাল ভূইয়াকে প্রশ্ন করা হয়েছিল তার না খেলার বিষয়ে। জামাল ভুইয়া জানালেন হামজা চৌধুরীও একই প্রশ্ন করেছিলেন জামালকে-তুমি খেলনি কেনে।
জামাল ভুইয়া নিজেও জানেন না তাকে কেন কোচ মাঠে নামাননি। জামাল বলছিলেন তিনি নাকি জানতেন খেলবেন। ম্যাচের আগের দিন কোচ আমাদেরকে ওভাবেই অনুশীলন করিয়েছে আমি খেলবো। আমি ধরে নিয়েছিলাম একাদশে খেলব। অনুশীলন ডিজাইনটাও সেভাবে হচ্ছিল। কিন্তু পরে দেখলাম আমি নেই।
জামালকে প্রশ্ন করা হলো কোচ ৫ জন পরিবর্তন করলেন, আপনাকে কেন নামতে দেখা গেল না, কেন? কথাটা শুনে রিকসায় বসা জামাল হাসছিলেন। আমি এটা বলতে পারব না। আমি শুধু জানি আমাকে মাঠে নামতে হবে খেলতে হবে। কিন্তু কিভাবে সব বদলে গেছে আমি জানি না-বললেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভুইয়া।
জামালের কথায় অনেক কিছু লুকিয়ে আছে। যা প্রকাশ করতে পারছেন না। মনের বিরুদ্ধে অনেক কিছু চাপিয়ে রাখতে হচ্ছে জামালকে। জামালকে মাঠে নামায়নি বলে রাগে অভিমানে সব ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন তিনি। বুঝতে পারছেন তার হাত থেকে আর্মব্যান্ড কেড়ে নেওয়ার একটা কৌশল শুরু হয়েছে। কোচ সেই ফাঁদেই পড়তে যাচ্ছেন।
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জামালকে গুডবুকে রেখেও যেভাবে কৌশল করে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তা দৃষ্টিকটুই বটে। তাকে জাতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার একটা কৌশলও মনে করা হচ্ছে। মানসিক চাপে পড়ে জামাল আর্মব্যান্ড খুলে ফেলবেন, সেটাই অনেকে চাইছেন।
কিন্তু জামাল সেই সুযোগ কাউকে দিতে চান না। জামাল বুঝতে পারছেন তিনি পলিটিক্সের শিকার হতে যাচ্ছেন। কিন্তু মাথা গরম করে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন না জামাল।
হাসতে হাসতে বলছিলেন, আমার মাথা ঠান্ডাই আছে। আমি মাথা গরম করলে অন্যরা সুযোগ নেবে। সেটা করব কেন।
ভোরের আকাশ/এসআই