স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ০৫:২৯ পিএম
জার্সি ঘিরে বিতর্কে উত্তাল ব্রাজিল
ফুটবল মানেই ব্রাজিল, আর ব্রাজিল মানেই সেই চোখ ধাঁধানো হলুদ জার্সি। পেলে, জিকো, রোনালদো, রোনালদিনহো, নেইমারসহ যত কিংবদন্তি, তত স্মৃতি সেই হলুদ-সবুজ ছোঁয়ায়। অথচ ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে, সেই পরিচিত রঙই যেন এক অচেনা মোড় নিল। ব্রাজিল জাতীয় দলের সম্ভাব্য নতুন অ্যাওয়ে জার্সির একটি স্কেচ ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এই বিতর্ক কেবল মাঠের খেলা নিয়েই নয়-তা ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের রাজনৈতিক অঙ্গনেও।
ডিজাইনটি সামনে আসতেই তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এমন পরিবর্তনকে ব্রাজিলীয় ফুটবলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন। কারও কারও দৃষ্টিতে এটি নিছক ‘অপ্রয়োজনীয় রঙের রাজনীতি’।
সংসদেও ছড়িয়ে পড়ে বিতর্ক। ডানপন্থী সংসদ সদস্য জে ত্রোভাও এমনকি একটি বিল উত্থাপন করেছেন, যাতে দেশের যেকোনো প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য শুধুমাত্র পতাকার চারটি রঙ-সবুজ, হলুদ, নীল ও সাদা—ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার দাবি তোলেন। তার কথায়, ‘লাল নয়, ব্রাজিল সবুজ-হলুদের দেশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সমর্থকরা তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন, ‘আমাদের পতাকা কখনোই লাল হবে না!’
বিখ্যাত ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ফুটি হেডলাইনস’ প্রথম খবরটি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় পরবর্তী বিশ্বকাপে ব্রাজিল ঐতিহ্যবাহী নীল অ্যাওয়ে জার্সির পরিবর্তে পরতে পারে একটি লাল জার্সি, যার ডিজাইনে থাকবে কালো রঙের ছোঁয়া। ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে জাতীয় দল যে লাল জার্সি পরত, এই নতুন ডিজাইনটি তারই একটি আধুনিক রূপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিলের চোখধাঁধানো ফুটবল ও হলুদের ঝলক। এখন প্রশ্ন একটাই এই ঐতিহ্য কি বদলে যাবে? না কি সমালোচনার চাপে আবার ফিরবে সেই চেনা রঙে পরিচিত ব্রাজিল? উত্তরের অপেক্ষায় গোটা ফুটবল দুনিয়া।
ভোরের আকাশ/এসআই
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ৫ ঘন্টা আগে
আপডেট : ৫ ঘন্টা আগে
জার্সি ঘিরে বিতর্কে উত্তাল ব্রাজিল
ফুটবল মানেই ব্রাজিল, আর ব্রাজিল মানেই সেই চোখ ধাঁধানো হলুদ জার্সি। পেলে, জিকো, রোনালদো, রোনালদিনহো, নেইমারসহ যত কিংবদন্তি, তত স্মৃতি সেই হলুদ-সবুজ ছোঁয়ায়। অথচ ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে, সেই পরিচিত রঙই যেন এক অচেনা মোড় নিল। ব্রাজিল জাতীয় দলের সম্ভাব্য নতুন অ্যাওয়ে জার্সির একটি স্কেচ ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এই বিতর্ক কেবল মাঠের খেলা নিয়েই নয়-তা ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের রাজনৈতিক অঙ্গনেও।
ডিজাইনটি সামনে আসতেই তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এমন পরিবর্তনকে ব্রাজিলীয় ফুটবলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন। কারও কারও দৃষ্টিতে এটি নিছক ‘অপ্রয়োজনীয় রঙের রাজনীতি’।
সংসদেও ছড়িয়ে পড়ে বিতর্ক। ডানপন্থী সংসদ সদস্য জে ত্রোভাও এমনকি একটি বিল উত্থাপন করেছেন, যাতে দেশের যেকোনো প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য শুধুমাত্র পতাকার চারটি রঙ-সবুজ, হলুদ, নীল ও সাদা—ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার দাবি তোলেন। তার কথায়, ‘লাল নয়, ব্রাজিল সবুজ-হলুদের দেশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সমর্থকরা তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন, ‘আমাদের পতাকা কখনোই লাল হবে না!’
বিখ্যাত ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ফুটি হেডলাইনস’ প্রথম খবরটি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় পরবর্তী বিশ্বকাপে ব্রাজিল ঐতিহ্যবাহী নীল অ্যাওয়ে জার্সির পরিবর্তে পরতে পারে একটি লাল জার্সি, যার ডিজাইনে থাকবে কালো রঙের ছোঁয়া। ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে জাতীয় দল যে লাল জার্সি পরত, এই নতুন ডিজাইনটি তারই একটি আধুনিক রূপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিলের চোখধাঁধানো ফুটবল ও হলুদের ঝলক। এখন প্রশ্ন একটাই এই ঐতিহ্য কি বদলে যাবে? না কি সমালোচনার চাপে আবার ফিরবে সেই চেনা রঙে পরিচিত ব্রাজিল? উত্তরের অপেক্ষায় গোটা ফুটবল দুনিয়া।
ভোরের আকাশ/এসআই