জার্সি ঘিরে বিতর্কে উত্তাল ব্রাজিল
ফুটবল মানেই ব্রাজিল, আর ব্রাজিল মানেই সেই চোখ ধাঁধানো হলুদ জার্সি। পেলে, জিকো, রোনালদো, রোনালদিনহো, নেইমারসহ যত কিংবদন্তি, তত স্মৃতি সেই হলুদ-সবুজ ছোঁয়ায়। অথচ ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে, সেই পরিচিত রঙই যেন এক অচেনা মোড় নিল। ব্রাজিল জাতীয় দলের সম্ভাব্য নতুন অ্যাওয়ে জার্সির একটি স্কেচ ফাঁস হওয়ার পর দেশজুড়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এই বিতর্ক কেবল মাঠের খেলা নিয়েই নয়-তা ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের রাজনৈতিক অঙ্গনেও।
ডিজাইনটি সামনে আসতেই তা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই এমন পরিবর্তনকে ব্রাজিলীয় ফুটবলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করছেন। কারও কারও দৃষ্টিতে এটি নিছক ‘অপ্রয়োজনীয় রঙের রাজনীতি’।
সংসদেও ছড়িয়ে পড়ে বিতর্ক। ডানপন্থী সংসদ সদস্য জে ত্রোভাও এমনকি একটি বিল উত্থাপন করেছেন, যাতে দেশের যেকোনো প্রতিনিধিত্বমূলক প্রতিষ্ঠানের জন্য শুধুমাত্র পতাকার চারটি রঙ-সবুজ, হলুদ, নীল ও সাদা—ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার দাবি তোলেন। তার কথায়, ‘লাল নয়, ব্রাজিল সবুজ-হলুদের দেশ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সমর্থকরা তো স্পষ্ট বলেই দিয়েছেন, ‘আমাদের পতাকা কখনোই লাল হবে না!’
বিখ্যাত ফুটবল বিষয়ক ওয়েবসাইট ‘ফুটি হেডলাইনস’ প্রথম খবরটি প্রকাশ করে, যেখানে দাবি করা হয় পরবর্তী বিশ্বকাপে ব্রাজিল ঐতিহ্যবাহী নীল অ্যাওয়ে জার্সির পরিবর্তে পরতে পারে একটি লাল জার্সি, যার ডিজাইনে থাকবে কালো রঙের ছোঁয়া। ১৯১৭ থেকে ১৯১৯ সালের মধ্যে জাতীয় দল যে লাল জার্সি পরত, এই নতুন ডিজাইনটি তারই একটি আধুনিক রূপ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিলের চোখধাঁধানো ফুটবল ও হলুদের ঝলক। এখন প্রশ্ন একটাই এই ঐতিহ্য কি বদলে যাবে? না কি সমালোচনার চাপে আবার ফিরবে সেই চেনা রঙে পরিচিত ব্রাজিল? উত্তরের অপেক্ষায় গোটা ফুটবল দুনিয়া।
ভোরের আকাশ/এসআই
সংশ্লিষ্ট
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দুপুরে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ছাড়াও আজ (৫ জুলাই) টিভিতে বেশকয়েকটি খেলা রয়েছে।ক্রিকেটদ্বিতীয় ওয়ানডেবাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কাবেলা ৩টা, টি স্পোর্টস এজবাস্টন টেস্ট–৪র্থ দিনইংল্যান্ড-ভারতবিকেল ৪টা, সনি স্পোর্টস টেন ১গ্রেনাডা টেস্ট–৩য় দিনওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ারাত ৮টা, টি স্পোর্টস ফুটবল নারী এশিয়ান কাপ বাছাইবাংলাদেশ-তুর্কমেনিস্তানসন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিট, ইউটিউব/পাইওয়ান প্লে স্পোর্টস ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপপালমেইরাস-চেলসিসন্ধ্যা ৭টা, ডিএজেডএন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ পিএসজি-বায়ার্নরাত ১০টা, ডিএজেডএন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ রিয়াল-ডর্টমুন্ডরাত ২টা, ডিএজেডএন ওয়েবসাইট ও অ্যাপ উইম্বলডন৩য় রাউন্ডবিকেল ৪টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট ১ ও ২ ভোরের আকাশ/জাআ
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ভাঙা মনোবল নিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্প প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ পারফরম্যান্সের কারণে নিজের খেলা নিয়ে সন্তুষ্ট না হলেও তিনি জানাচ্ছেন, দলের প্রয়োজনীয় অবদান রাখতে চান আগামীতেও।শনিবার (৫ জুলাই) দ্বিতীয় ম্যাচের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তানজিদ বলেন, “আমি মনে করি না আমি ভালো খেলেছি। কারণ যখন দলের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, আমি সেই সময় ঠিকঠাক খেলতে পারিনি। যদি পারতাম, তাহলে বলতে পারতাম, ‘হ্যাঁ, আমি ভালো খেলেছি।’”প্রথম ম্যাচে তানজিদ ও সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছিলেন। তবে হঠাৎ এক রান আউটে ভেঙে যায় সেই জুটি, যা ম্যাচের বড় মোড় ছিল বলে মনে করেন তানজিদ। তিনি বলেন, “ওই রান আউটটা দুর্ভাগ্যের ব্যাপার ছিল। যদি আরও ৩০-৪০ রান যোগ করতে পারতাম, ম্যাচটা সহজ হয়ে যেত।”উইকেটের আচরণ নিয়েও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন তানজিদ। তার মতে, “এ ধরনের উইকেটে সবচেয়ে প্রয়োজন যারা থিতু থাকবে, তাদের লম্বা ইনিংস খেলা খুব জরুরি। আমাদের জুটি টিকে থাকলে পরবর্তী ব্যাটারদের জন্য কাজ সহজ হত।”দলের মধ্যে প্রথম ম্যাচের ভুল নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে বলেও জানান তিনি। কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী, এই ধরনের উইকেটে বিশেষ করে হাসারাঙ্গা মতো স্পিনারের বিপক্ষে বাঁহাতি ব্যাটারদের ভালো করতে হবে বলে দলের সঙ্গে কাজ চলছে।তানজিদ যোগ করেন, “বোলিংয়ের শুরু এবং শেষের পারফরম্যান্স ভালো ছিল, ফিল্ডিংও ভাল ছিল, তবে ব্যাটিং ধস ম্যাচের ফলাফল বদলে দিয়েছে। আশা করি, পরবর্তী ম্যাচে এরকম ধস আর হবে না।”ব্যক্তিগত লক্ষ্য সম্পর্কে তানজিদ বলেন, “প্রতিটি ম্যাচেই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। আগামী ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখন লক্ষ্য হলো সিরিজে টিকে থাকতে জয় পাওয়া।”তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ম্যাচের হারের পর বাকি দুই ম্যাচ বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে উঠেছে। তরুণ ব্যাটার তানজিদ হাসান ও তামিম ইকবালের মতো খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস এবং লড়াইয়ের মানসিকতা থাকলে সিরিজে ফিরে আসার আশা জাগতে পারে টাইগার সমর্থকদের মধ্যে।ভোরের আকাশ//হ.র
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দলে আবারো জায়গা পেয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তবে ব্যর্থতার দায়ে বাদ পড়েছেন সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।নাজমুল হোসেন শান্ত দীর্ঘদিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে খারাপ পারফরম্যান্সের কারণে বছরের শুরুতেই অধিনায়কত্ব থেকে সরে এসেছিলেন। তার স্থলে নেতৃত্বে নিয়োজিত হয়েছেন লিটন দাস, যিনি আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন। নাজমুলের শেষ ১৯ ইনিংসে কোনো ফিফটি না থাকায় এবার দলে সুযোগ হয়নি তার।এছাড়া দলে নেই সৌম্য সরকার, তানভীর ইসলাম ও হাসান মাহমুদ। তাদের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন নাঈম ও সাইফউদ্দিনের পাশাপাশি চোট কাটিয়ে ফেরা মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদও। তবে তাসকিনকে সব ম্যাচ খেলানো হবে না। স্পিন বিভাগে আছেন নাসুম আহমেদ, আর পেসার হিসেবে রয়েছেন শরীফুল ইসলাম।মোহাম্মদ নাঈম দীর্ঘ বিরতির পর ২০২২ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষবার টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। এবার জাতীয় দলে ফেরার পাশাপাশি ওয়ানডে স্কোয়াডেও তিনি আছেন। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সর্বশেষ ২০২৪ সালের মে মাসে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন।নাঈম ও সাইফউদ্দিনের দলে প্রত্যাবর্তন স্পষ্ট করে দিয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনা। বিশ্বকাপের আগে এই সিরিজে তাদের পারফরম্যান্স বিশেষভাবে নজর রাখা হবে।শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী সপ্তাহে। লিটন দাসের নেতৃত্বে নতুন করে সাজানো এই দল কতটা সফল হবে তা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে আগ্রহ তুঙ্গে রয়েছে।বাংলাদেশের ১৬ সদস্যের স্কোয়াড:লিটন কুমার দাস (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম শেখ, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী, শামীম হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি হাসান, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম, তানজিম হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।দলে ফিরেছেন: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ।বাদ পড়েছেন: সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তানভির ইসলাম, হাসান মাহমুদ।ভোরের আকাশ//হ.র
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বাজেভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে আগামীকাল মাঠে নামবে টাইগাররা। তবে এই ম্যাচে দলের সঙ্গে থাকবেন না হেড কোচ ফিল সিমন্স।লন্ডনে চিকিৎসকদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত এক মেডিকেল অ্যাপয়েন্টমেন্টে অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি। তাই শুক্রবার (৪ জুলাই) শ্রীলঙ্কা ছাড়ছেন তিনি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল।তিনি বলেন, ফিল সিমন্স ব্যক্তিগত কারণে দু’দিনের জন্য যাচ্ছেন। ফেব্রুয়ারিতে তার একবার চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল, কিন্তু চ্যাম্পিয়নস ট্রফির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এবারও তিনি চেষ্টা করেছিলেন অ্যাপয়েন্টমেন্ট পিছিয়ে দিতে, কিন্তু সেটি আর পরিবর্তন সম্ভব হয়নি। সফরের আগে থেকেই তিনি বোর্ডকে বিষয়টি জানিয়ে রেখেছিলেন। জানা গেছে, আগামী ৭ জুলাই শ্রীলঙ্কায় দলের সঙ্গে পুনরায় যোগ দেবেন সিমন্স। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তিনি ডাগআউটে থাকবেন। এরপর বাংলাদেশের সামনে রয়েছে তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সিরিজ।ভোরের আকাশ/আজাসা