ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৭ এএম
১০ জুনের আগেই ঘরে ফিরছেন হামজা
হামজা চৌধুরী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক তারকা, যিনি নিজের শিকড়ের টানে এসে দাঁড়িয়েছেন লাল-সবুজের পতাকার নিচে। ইংল্যান্ডের মাটিতে বেড়ে ওঠা, ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবলে নিজেকে গড়ে তোলা এই মিডফিল্ডার যখন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপান, তখন শুধু একটি ম্যাচ খেলতে আসেননি এসেছেন স্বপ্ন জাগাতে, এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে।
ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে লড়াকু মনোভাব, বলের নিয়ন্ত্রণ, পজিশনাল সেন্স সব মিলিয়ে ফুটবল বোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থক, সবাই বুঝে গিয়েছিল এই ছেলেটা আলাদা, এই ছেলেটার মধ্যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর ছাপ লুকানো।
ম্যাচ শেষেই হামজা ফিরে গেছেন ইংল্যান্ডে, তবে রেখে গেছেন এমন এক রেশ, যেটা এখনও বাতাসে ভাসে। তাঁর বলা কথাটা দেখা হবে জুনে, আজ অনেকের মনে ধ্বনিত হচ্ছে নতুন আশায়। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হতে যাচ্ছে খুব শিগগিরই। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার সম্ভাবনা তো আছেই, তবে এরও আগে জাতীয় দলের হয়ে দেশের মাটিতে অভিষেক হয়ে যেতে পারে তাঁর। কারণ, এই ম্যাচের প্রস্তুতিতে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুন, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ সুদান বা ইথিওপিয়া। জাতীয় দল ঘোষিত হবে ৩১ মে।
এই প্রস্তুতি ম্যাচেই হামজা যদি খেলেন, তবে সেটাই হবে দেশের মাটিতে জাতীয় দলের হয়ে তাঁর প্রতীক্ষিত অভিষেক। লাল-সবুজ গ্যালারির সামনে হামজাকে দেখা, গায়ে বাংলাদেশের জার্সি, পায়ে বল এ যেন অনেক দিন ধরে ফুটবলপ্রেমী মানুষের একটা বড় স্বপ্ন। এই ম্যাচ শুধু একটি প্রীতি ম্যাচ নয়, এটি হতে পারে বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড় প্রথমবারের মতো দেশের গ্যালারির সামনে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামবেন।
শুধু ফুটবলের জন্য নয়, তরুণ প্রজন্মের জন্য হামজার আগমন এক বড় অনুপ্রেরণা। তিনি যেন বলে দিচ্ছেন বিশ্বের যেখানেই থাকো, যদি শিকড়ের ডাক আসে, তবে ফিরে এসো, নিজের দেশকে কিছু দাও।
হামজা ফিরছেন, ফিরছেন ভরসা হয়ে, আশার আলো হয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে আরেকটি নতুন অধ্যায় শুরু করার সংকেত নিয়ে।
ভোরের আকাশ/এসআই
ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১ দিন আগে
আপডেট : ১ দিন আগে
১০ জুনের আগেই ঘরে ফিরছেন হামজা
হামজা চৌধুরী ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এক তারকা, যিনি নিজের শিকড়ের টানে এসে দাঁড়িয়েছেন লাল-সবুজের পতাকার নিচে। ইংল্যান্ডের মাটিতে বেড়ে ওঠা, ইউরোপীয় ঘরানার ফুটবলে নিজেকে গড়ে তোলা এই মিডফিল্ডার যখন প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপান, তখন শুধু একটি ম্যাচ খেলতে আসেননি এসেছেন স্বপ্ন জাগাতে, এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে।
ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচে লড়াকু মনোভাব, বলের নিয়ন্ত্রণ, পজিশনাল সেন্স সব মিলিয়ে ফুটবল বোদ্ধা থেকে শুরু করে সাধারণ সমর্থক, সবাই বুঝে গিয়েছিল এই ছেলেটা আলাদা, এই ছেলেটার মধ্যে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ দলকে ঘুরে দাঁড় করানোর ছাপ লুকানো।
ম্যাচ শেষেই হামজা ফিরে গেছেন ইংল্যান্ডে, তবে রেখে গেছেন এমন এক রেশ, যেটা এখনও বাতাসে ভাসে। তাঁর বলা কথাটা দেখা হবে জুনে, আজ অনেকের মনে ধ্বনিত হচ্ছে নতুন আশায়। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ হতে যাচ্ছে খুব শিগগিরই। ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নামার সম্ভাবনা তো আছেই, তবে এরও আগে জাতীয় দলের হয়ে দেশের মাটিতে অভিষেক হয়ে যেতে পারে তাঁর। কারণ, এই ম্যাচের প্রস্তুতিতে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুন, সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ সুদান বা ইথিওপিয়া। জাতীয় দল ঘোষিত হবে ৩১ মে।
এই প্রস্তুতি ম্যাচেই হামজা যদি খেলেন, তবে সেটাই হবে দেশের মাটিতে জাতীয় দলের হয়ে তাঁর প্রতীক্ষিত অভিষেক। লাল-সবুজ গ্যালারির সামনে হামজাকে দেখা, গায়ে বাংলাদেশের জার্সি, পায়ে বল এ যেন অনেক দিন ধরে ফুটবলপ্রেমী মানুষের একটা বড় স্বপ্ন। এই ম্যাচ শুধু একটি প্রীতি ম্যাচ নয়, এটি হতে পারে বাংলাদেশের ফুটবলের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যেখানে আন্তর্জাতিক মানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড় প্রথমবারের মতো দেশের গ্যালারির সামনে জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামবেন।
শুধু ফুটবলের জন্য নয়, তরুণ প্রজন্মের জন্য হামজার আগমন এক বড় অনুপ্রেরণা। তিনি যেন বলে দিচ্ছেন বিশ্বের যেখানেই থাকো, যদি শিকড়ের ডাক আসে, তবে ফিরে এসো, নিজের দেশকে কিছু দাও।
হামজা ফিরছেন, ফিরছেন ভরসা হয়ে, আশার আলো হয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে আরেকটি নতুন অধ্যায় শুরু করার সংকেত নিয়ে।
ভোরের আকাশ/এসআই