ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ২৬ এপ্রিল ২০২৫ ১০:২৪ এএম
চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিতে মেসিদের বড় হার
পুরো ম্যাচে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন লিওনেল মেসি। একাধিকবার শট নিয়েছেন, সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, তবে গোলের দেখা পাননি। ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের রক্ষণভাগ আর জাপানি গোলরক্ষক ইওকি তাকাওকার দৃঢ়তায় বারবার আটকে গেছে ইন্টার মিয়ামির আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের পরাজয় নিয়েই কানাডা থেকে ফিরতে হয়েছে মেসিদের।
সোমবার ভ্যাঙ্কুভারের বিসি প্লেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মেসিদের স্বপ্নে বড় ধাক্কা দেন ব্রেইন হোয়াইট ও সেবাস্তিয়ান ব্রেথলটার। দুই অর্ধে একটি করে গোল করে মিয়ামিকে চাপে ফেলে দেয় স্বাগতিক দল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ফিরতি লেগে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে ইন্টার মিয়ামিকে, নয়তো ফাইনালের টিকিট মিলবে না।
এদিন কানাডার মাঠে ছিল এক উৎসবের আবহ। প্রথমবারের মতো মেসিকে ঘরের মাঠে খেলতে দেখার সুযোগে গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। তবে ফুটবলের রাজপুত্র সেই দর্শকদের আনন্দ দিতে পারলেন না। খেলা শেষে হতাশা ছিল চোখেমুখে।
দলের খেলায় ছিল স্পষ্ট ছন্দহীনতা। আক্রমণভাগে ছিলেন মেসি, সুয়ারেজ, বাসকেসরা—তবুও গোল আসেনি। উল্টো পাল্টা আক্রমণে ভ্যাঙ্কুভার বারবার বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ২৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করেন ব্রেইন হোয়াইট। দুর্দান্ত এক হেডে জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার মেসি পেয়েছেন ফ্রি কিকের সুযোগ, কিন্তু বল সববারই গন্তব্য হারিয়ে ফেলেছে। ৮৫ মিনিটে সেবাস্তিয়ান ব্রেথলটারের গোলে আরও একবার হতাশ হয় মিয়ামি শিবির। জে নেলসনের পাস ধরে নিখুঁত ফিনিশিং দেন তিনি। গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডারের কোনো কিছুই করার ছিল না। হার মেনে নিতে পারেননি মিয়ামির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোও। রেফারির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান, পান হলুদ কার্ড। সবমিলিয়ে ম্যাচ শেষে ভ্যাঙ্কুভার ছিল উচ্ছ্বসিত, আর মিয়ামি শোকে মুহ্যমান।
এখন মেসিদের সামনে কঠিনতম চ্যালেঞ্জ আগামী ১ মে, ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগে মাঠে নামবে ইন্টার মিয়ামি। ফাইনালে উঠতে হলে চাই কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জয়।
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়। এখন দেখার পালা, ঘরের মাঠে কি মেসিরা ঘটাতে পারেন প্রত্যাবর্তনের মহাকাব্য? না কি শেষ হয়ে যাবে এবারের কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে তাদের যাত্রা? ফাইনালের টিকিটের জন্য শুরু হলো শেষ লড়াই লড়াইটা এবার বাঁচা-মরার!
ভোরের আকাশ/এসআই
ক্রীড়া প্রতিবেদন
প্রকাশ : ১০ ঘন্টা আগে
আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
চ্যাম্পিয়ন্স কাপের সেমিতে মেসিদের বড় হার
পুরো ম্যাচে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন লিওনেল মেসি। একাধিকবার শট নিয়েছেন, সুযোগ সৃষ্টি করেছেন, তবে গোলের দেখা পাননি। ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের রক্ষণভাগ আর জাপানি গোলরক্ষক ইওকি তাকাওকার দৃঢ়তায় বারবার আটকে গেছে ইন্টার মিয়ামির আক্রমণ। শেষ পর্যন্ত ২-০ গোলের পরাজয় নিয়েই কানাডা থেকে ফিরতে হয়েছে মেসিদের।
সোমবার ভ্যাঙ্কুভারের বিসি প্লেস স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে মেসিদের স্বপ্নে বড় ধাক্কা দেন ব্রেইন হোয়াইট ও সেবাস্তিয়ান ব্রেথলটার। দুই অর্ধে একটি করে গোল করে মিয়ামিকে চাপে ফেলে দেয় স্বাগতিক দল। চেজ স্টেডিয়ামে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ফিরতি লেগে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে ইন্টার মিয়ামিকে, নয়তো ফাইনালের টিকিট মিলবে না।
এদিন কানাডার মাঠে ছিল এক উৎসবের আবহ। প্রথমবারের মতো মেসিকে ঘরের মাঠে খেলতে দেখার সুযোগে গ্যালারি ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। তবে ফুটবলের রাজপুত্র সেই দর্শকদের আনন্দ দিতে পারলেন না। খেলা শেষে হতাশা ছিল চোখেমুখে।
দলের খেলায় ছিল স্পষ্ট ছন্দহীনতা। আক্রমণভাগে ছিলেন মেসি, সুয়ারেজ, বাসকেসরা—তবুও গোল আসেনি। উল্টো পাল্টা আক্রমণে ভ্যাঙ্কুভার বারবার বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ২৪ মিনিটে ম্যাচের প্রথম গোল করেন ব্রেইন হোয়াইট। দুর্দান্ত এক হেডে জাল কাঁপিয়ে দেন তিনি। এরপর বেশ কয়েকবার মেসি পেয়েছেন ফ্রি কিকের সুযোগ, কিন্তু বল সববারই গন্তব্য হারিয়ে ফেলেছে। ৮৫ মিনিটে সেবাস্তিয়ান ব্রেথলটারের গোলে আরও একবার হতাশ হয় মিয়ামি শিবির। জে নেলসনের পাস ধরে নিখুঁত ফিনিশিং দেন তিনি। গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডারের কোনো কিছুই করার ছিল না। হার মেনে নিতে পারেননি মিয়ামির কোচ হাভিয়ের মাশ্চেরানোও। রেফারির সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ান, পান হলুদ কার্ড। সবমিলিয়ে ম্যাচ শেষে ভ্যাঙ্কুভার ছিল উচ্ছ্বসিত, আর মিয়ামি শোকে মুহ্যমান।
এখন মেসিদের সামনে কঠিনতম চ্যালেঞ্জ আগামী ১ মে, ফ্লোরিডার চেজ স্টেডিয়ামে ফিরতি লেগে মাঠে নামবে ইন্টার মিয়ামি। ফাইনালে উঠতে হলে চাই কমপক্ষে তিন গোলের ব্যবধানে জয়।
ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়। এখন দেখার পালা, ঘরের মাঠে কি মেসিরা ঘটাতে পারেন প্রত্যাবর্তনের মহাকাব্য? না কি শেষ হয়ে যাবে এবারের কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপে তাদের যাত্রা? ফাইনালের টিকিটের জন্য শুরু হলো শেষ লড়াই লড়াইটা এবার বাঁচা-মরার!
ভোরের আকাশ/এসআই