সংগৃহীত ছবি
ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একটি জাগুয়ার ট্রেইনার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।
বুধবার (৯ জুলাই) চুরু জেলার ভানুদা গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় দুই পাইলটই নিহত হয়েছেন।
বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আজ রাজস্থানের চুরু জেলার কাছে একটি জাগুয়ার ট্রেইনার যুদ্ধবিমান রুটিন প্রশিক্ষণ চলাকালে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে যুদ্ধবিমানে থাকা দুই পাইলট মারাত্মক আহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে দুর্ঘটনাস্থলে কোনো বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে রাজলদেশর থানার অন্তর্গত ভানোদা গ্রামের একটি মাঠে যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। আইএএফ ইতোমধ্যেই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি আদালতীয় তদন্ত কমিটি (কোর্ট অব ইনকোয়ারি) গঠন করেছে।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর একাধিক যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে গুজরাটের জামনগরে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান নাইট মিশনের সময় বিধ্বস্ত হয়, যাতে এক পাইলট নিহত হন। মার্চে হরিয়ানার পাঁচকুলায় একটি যুদ্ধবিমান সিস্টেম ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়ে। ফেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রদেশে একটি মিরাজ ২০০০ এবং গত বছরের নভেম্বরে আগ্রায় একটি মিগ-২৯ বিধ্বস্ত হয়। এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইএএফের যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, প্রযুক্তিগত মান এবং প্রশিক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলন থেকে ফেরার পথে জেদ্দায় সৌদি যুবরাজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদ মাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, বৈঠকে ইসরায়েলের নিন্দা করায় সৌদি আরবের প্রশংসা করেছেন আরাগচি। বিবিসি এ তথ্য দিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথেও বৈঠক করেছেন।ইসরায়েলের সমালোচনা করায় জাতিসংঘ প্রতিনিধির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ইসরায়েলের সমালোচনা করায় জাতিসংঘ প্রতিনিধির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সামাজিক মাধ্যম এক্স-এ সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার যুদ্ধবিরতির দুই সপ্তাহ পর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।বৈঠকে মোহাম্মেদ বিন সালমান ওই অঞ্চলে স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে যুদ্ধবিরতি অবদান রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তিনি কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য নিরসনের ওপরেও জোর দিয়েছেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক আগ্রাসন চলছেই। দখলদার বাহিনীর এ হামলায় প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে উপত্যকাটির নারী, শিশুসহ অসংখ্য ফিলিস্তিনি। এসব হামলার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কমপক্ষে ৭৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৮ জন খাদ্য সহায়তা পেতে গিয়ে প্রাণ হারান। অন্যদিকে যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ১০ বন্দিকে মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে হামাস।বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আগ্রাসন চলছে এবং বুধবারও কমপক্ষে ৭৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৮ জন গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) বিতরণ পয়েন্টে খাদ্য সহায়তা পেতে গিয়ে নিহত হন।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত সহায়তা কেন্দ্রগুলোতে নিহতের সংখ্যা ৭৭০ ছাড়িয়েছে। আর ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় প্রাণ হারানো ফিলিস্তিনির সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার ৬০০ জনে পৌঁছেছে।আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মানুষ এখন খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে গুলিতে মারা যাচ্ছে। প্রতিদিনই ত্রাণ আনতে গিয়ে প্রাণ হারাচ্ছে।গাজার দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান হাসপাতাল নাসের হাসপাতাল জানায়, তারা জ্বালানি সংকটে চরম সঙ্কটময় অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালের এক বিবৃতিতে বলা হয়, জ্বালানি প্রায় শেষ, চিকিৎসকেরা সময়ের সঙ্গে লড়ছেন। তাপ, ক্লান্তি, ক্ষুধা সত্ত্বেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় ৬০০টিরও বেশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ৩৬টি সাধারণ হাসপাতালের মধ্যে কেবল ১৮টি আংশিকভাবে চালু রয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
ন্যাটোতে প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে শত শত নতুন 'লেপার্ড-২' ট্যাংক কেনার কথা বিবেচনা করছে জার্মানির সশস্ত্র বাহিনী। জার্মান বিল্ড সংবাদপত্র এ তথ্য জানিয়েছে।সামরিক বিশ্লেষক এবং প্রাক্তন ইতালীয় অফিসার থমাস টাইনার বিল্ডকে বলেন, 'ইউক্রেনে সরবরাহ করা একটি ট্যাংকেও এবং ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী গাইডেড মিসাইলের বিরুদ্ধে সক্রিয় সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই। তাই ইউক্রেনীয়দের এই ট্যাংকগুলো ব্যবহারে খুব সতর্ক থাকতে হবে।'বিশ্লেষকের মতে, ইউক্রেনের পরিস্থিতি জার্মানি বা ন্যাটোর পরিস্থিতির সঙ্গে খুব একটা তুলনীয় নয়। তিনি বলেন, 'একটি আধুনিক ট্যাংক কোম্পান - যদি কমপক্ষে চারটি বিমান বিধ্বংসী ব্যবস্থায় আচ্ছাদিত হয়, তবুও একশটি ড্রোনের একযোগে আক্রমণ তাকে থামাতে পারবে না।'টাইনারের মতে, লেপার্ড-২ ট্যাঙ্কের ক্ষেত্রে জার্মানির 'ছোটখাটো বিষয় নিয়ে কাজ করার চেয়ে বড় পরিসরে কাজ করা উচিত'।তিনি বলেন, 'এর অর্থ হল গবেষণা, উন্নয়ন, পরীক্ষা এবং তারপর ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক ও দ্রুত ক্রয়ে বিনিয়োগ করা।'ভোরের আকাশ/জাআ
ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একটি জাগুয়ার ট্রেইনার যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।বুধবার (৯ জুলাই) চুরু জেলার ভানুদা গ্রামের কাছে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ দুর্ঘটনায় দুই পাইলটই নিহত হয়েছেন।বিমানবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আজ রাজস্থানের চুরু জেলার কাছে একটি জাগুয়ার ট্রেইনার যুদ্ধবিমান রুটিন প্রশিক্ষণ চলাকালে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে যুদ্ধবিমানে থাকা দুই পাইলট মারাত্মক আহত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। তবে দুর্ঘটনাস্থলে কোনো বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাতে জানা যায়, দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে রাজলদেশর থানার অন্তর্গত ভানোদা গ্রামের একটি মাঠে যুদ্ধবিমানটি ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। আইএএফ ইতোমধ্যেই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি আদালতীয় তদন্ত কমিটি (কোর্ট অব ইনকোয়ারি) গঠন করেছে।উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস ধরেই ভারতীয় বিমানবাহিনীর একাধিক যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে গুজরাটের জামনগরে একটি জাগুয়ার যুদ্ধবিমান নাইট মিশনের সময় বিধ্বস্ত হয়, যাতে এক পাইলট নিহত হন। মার্চে হরিয়ানার পাঁচকুলায় একটি যুদ্ধবিমান সিস্টেম ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়ে। ফেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রদেশে একটি মিরাজ ২০০০ এবং গত বছরের নভেম্বরে আগ্রায় একটি মিগ-২৯ বিধ্বস্ত হয়। এই ধারাবাহিক দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আইএএফের যুদ্ধবিমানের রক্ষণাবেক্ষণ, প্রযুক্তিগত মান এবং প্রশিক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে।ভোরের আকাশ/এসএইচ