আন্তর্জাতিন ডেস্ক
প্রকাশ : ০৫ মে ২০২৫ ০৪:৫৭ পিএম
কুখ্যাত আলকাট্রাজ কারাগার ফের চালুর নির্দেশ ট্রাম্পের
আইন, শৃঙ্খলা ও ন্যায়বিচারের প্রতীক হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়ার উপকূলের কাছে সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরের মাঝে অবস্থিত ভয়ানক আলকাট্রাজ কারাগার পুনরায় চালু ও সম্প্রসারণের জন্য তার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
রোববার (৪ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় রুশ বার্তাসংস্থা তাস।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, অতীতে, যখন আমরা আরও সিরিয়াস জাতি ছিলাম, তখন আমরা ভয়ঙ্কর অপরাধীদের বিনা দ্বিধায় আটক করতাম এবং জনসাধারণ থেকে দূরে রাখতাম। এখন আবার সেই সময় ফিরিয়ে আনার দরকার। এইসব অপরাধীর দৌরাত্ম্য আর সহ্য করা হবে না।
ট্রাম্প আরও বলেছেন, আমরা আর অপরাধীদের হাতে জিম্মি থাকব না; না কোনো দুর্বল বিচারকের হাতে, না কোনো ব্যর্থ আইন ব্যবস্থার হাতে। যারা অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে এবং অপরাধে লিপ্ত হয়েছে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা আমাদের দায়িত্ব। নতুন করে চালু হওয়া আলকাট্রাজ হবে আইন, শৃঙ্খলা ও ন্যায়ের প্রতীক। আলকাট্রাজ পুনর্র্নিমাণ করুন এবং খুলে দিন! বহুদিন ধরে আমেরিকা সহিংস ও ধারাবাহিক অপরাধীদের দ্বারা জর্জরিত। এরা সমাজের জঞ্জাল, যারা সমাজে কেবল দুঃখ ও দুর্ভোগই বয়ে আনে।
প্রসঙ্গত, সান ফ্রান্সিসকো উপসাগরে অবস্থিত আলকাট্রাজ কারাগারটি ৬৩ বছর ধরে বন্ধ ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজনসের ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, ভঙ্গুর অবকাঠামো ও উচ্চব্যয়ের কারণে ১৯৬৩ সালে কারাগারটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। দ্বীপে অবস্থিত হওয়ার কারণে এটি পরিচালনার খরচ ছিল অন্য যেকোনও ফেডারেল কারাগারের তুলনায় প্রায় তিনগুণ। এছাড়া দ্বীপের অবস্থান, তীব্র স্রোত এবং বরফ শীতল পানির কারণে আলকাট্রাজকে আমেরিকার সবচেয়ে নিরাপদ কারাগার হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবে এ কারাগার থেকে কোনও বন্দির পালানোর রেকর্ডও নেই। এফবিআইয়ের তথ্যমতে, কারাগারটি চালু থাকাকালীন ৩৬ জন আসামি অন্তত ১৪ বার পালানোর চেষ্টা করেও সফল হননি। সবাই কর্তৃপক্ষের হাতে ধরা পড়েছেন। এটি বর্তমানে সান ফ্রান্সিসকোর অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ।
অবশ্য ট্রাম্পের ঘোষণার পর থেকেই নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেছেন সাবেক হাউস স্পিকার ও ক্যালিফোর্নিয়ার ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতা ন্যান্সি পেলোসিও।
ভোরের আকাশ/এসআই