রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক বাঘাইহাট সড়কের নন্দারাম, চাইল্ল্যাতলী ও চম্পক নগর এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে পরে খাগড়াছড়ির সঙ্গে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেকে আটকা পড়েছেন চার শতাধিক পর্যটক।বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) ভোর ৪টার দিকে চম্পাতলী এবং নন্দারাম নামক এলাকায় অতিবৃষ্টির কারণে এ ঘটনা ঘটে। বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে সাজেকে ৪২৫ জন পর্যটক আটকা পড়েছেন।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাতে ভারি বর্ষণ হয়েছে। এতে সাজেক-বাঘাইহাট সড়কের নন্দারাম-চম্পাতলী এলাকায় পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কাজ শুরু করেছে। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় মাটি সরানোর কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।এ বিষয়ে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরিন আক্তার জানান, গত রাতে ১১টা থেকে বাঘাইছড়িতে ভারী বর্ষণ হয়েছে। এতে সাজেক সড়কের অন্তত তিনটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। ফলে সাজেকের সঙ্গে বাঘাইছড়ি ও খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সাজেকে ৪২৫ জন পর্যটক আটকা পড়েছেন।তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে দিঘীনালা ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী ও বাঘাছড়ি উপজেলা প্রশাসন থেকে সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে তারা ম্যানুয়ালি মাটি সরাচ্ছিলেন। কিন্তু বড় বড় পাথর সারানো সম্ভব হচ্ছিল না। তাই উদয়পুর সীমান্ত সড়ক এলাকা থেকে পেলোড়ার (বুল ড্রোজার) আনা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
২৪ জুলাই ২০২৫ ০১:৪১ পিএম
পাঁচ বছর পর চীনা পর্যটকদের জন্য ভারতের ভিসা চালু
চলতি বছরের ২৪ জুলাই থেকে চীনা নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করবে ভারত।বুধবার চীনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস এ কথা জানিয়েছে।পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উভয় দেশ তাদের তিক্ত সম্পর্ক মেরামতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন।২০২০ সালে বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তে সামরিক সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও তীব্র হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারত চীনা বিনিয়োগের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে, শত শত জনপ্রিয় চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করে এবং যাত্রীদের রুট বন্ধ করে দেয়।কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে চীন প্রায় একই সময়ে ভারতীয় নাগরিক এবং অন্যান্য বিদেশিদের ভিসা স্থগিত করে, কিন্তু ২০২২ সালে শিক্ষার্থী এবং ব্যবসায়িক ভ্রমণকারীদের জন্য ভিসা প্রদান পুনরায় শুরু করার সময় এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়।ভারতীয় নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা এই বছরের মার্চ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল। উভয় দেশ সরাসরি বিমান পরিষেবা পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়েছিল।সম্পর্ক ধীরে ধীরে উন্নত হয়েছে, গত বছর বেশ কয়েকটি উচ্চ-স্তরের বৈঠক হয়েছে। গত অক্টোবরে রাশিয়ায় চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনাও হয়েছে।চীনা নাগরিকদের জন্য পর্যটন ভিসা প্রদান পুনরায় শুরুর পর চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুও জিয়াকুন বুধবার (২৩ জুলাই) বলেছেন, বেইজিং এই ইতিবাচক পদক্ষেপটি লক্ষ্য করেছে।তিনি বলেন, 'চীন ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ও পরামর্শ বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মধ্যে ব্যক্তিগত আদান-প্রদানের স্তর ক্রমাগত উন্নত করতে প্রস্তুত।'ভারত ও চীনের ৩৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। ১৯৫০ সাল থেকে সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক - পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে দুই দেশ একটি সংক্ষিপ্ত, কিন্তু নৃশংস সীমান্ত যুদ্ধে জড়ায়।চলতি মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, উভয় দেশকে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য সীমান্ত বিরোধ নিরসন করতে হবে, সৈন্য প্রত্যাহার করতে হবে।ভোরের আকাশ/জাআ
২৩ জুলাই ২০২৫ ০৪:১১ পিএম
সেন্টমার্টিনে যেতে পর্যটকদের দিতে হবে পরিবেশ সংরক্ষণ ফি
দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বড় পরিসরের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় পর্যটকদের কাছ থেকে ‘পরিবেশ সংরক্ষণ ফি’ আদায় এবং স্থানীয়দের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।শনিবার (১২ জুলাই) পরিবেশ অধিদপ্তরে সেন্ট মার্টিনের ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব কথা জানানো হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমাদের অনেকগুলো দ্বীপ আছে। কিন্তু সেন্ট মার্টিনের মতো প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন দ্বীপ একটাই। এ দ্বীপের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অংশ হিসেবে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। আগস্ট মাস থেকে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।তিনি বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পর্যটকদের কাছ থেকে পরিবেশ সংরক্ষণ ফি সংগ্রহ করবে। আদায়কৃত অর্থ দিয়ে দ্বীপের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণ করা হবে বলে জানান পরিবেশ উপদেষ্টা। তবে পর্যটকদের ওপর কত টাকা ফি ধার্য করা হবে, সেটা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।তিনি আরও বলেন, সেন্টমার্টিনে প্রাথমিকভাবে ৫০০ পরিবারকে নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ির আঙিনায় হাঁস-মুরগি পালন, চিপস তৈরি ও কৃষিবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সেন্ট মার্টিনে দুজন কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময়কালে মৎস্য অধিদপ্তর সেন্ট মার্টিনের জেলেদের জন্য সহায়তার পরিমাণ বাড়াবে বলে জানান তিনি।সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ সচিব ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং টেকনাফের ইউএনও অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
১৩ জুলাই ২০২৫ ০৯:৪৯ এএম
ঈদের ছুটিতে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের ভিড়
ঈদুল আজহার ছুটিকে ঘিরে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল।চায়ের রাজধানীখ্যাত এই শহরে প্রতিদিনই আসছেন শত শত পর্যটক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, চা-বাগান, বধ্যভূমি ৭১,পাহাড়ের টানে দেশ-বিদেশের ভ্রমণপ্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন এখানে।স্থানীয় হোটেল মালিকদের দেওয়া তথ্যমতে, ঈদের ছুটির শুরু থেকেই শহরের প্রায় সব হোটেল ও রিসোর্টে ৯০ শতাংশের বেশি বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।অনেকে অগ্রীম বুকিং নিশ্চিত না করায় থাকতে পারছেন না কাঙ্খিত জায়গায়। পর্যটক মো. আরিফুল বলেন, ‘প্রতিবার ঈদের ছুটিতে কোথাও ঘুরতে বের হই। এবার পরিবারসহ শ্রীমঙ্গলে এসেছি। চা-বাগানের সবুজ দৃশ্য, পাখির কিচিরমিচির আর বনের শীতল বাতাস মন ভরিয়ে দিচ্ছে।’পর্যটক সুমিত্রা দেব বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে আমি পরিবার সহ এসেছি শ্রীমঙ্গলে। অনলাইনে শ্রীমঙ্গলের অনেক ভিডিও দেখে না এসে আর পারলাম না, তবে অতিরিক্ত গরমের কারণে বাচ্চাদের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।শ্রীমঙ্গল লেমন গার্ডেন রির্সোটের নির্বাহী পরিচালক, এল এন.এম.কে. এস.সুলতান বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি পর্যটক শ্রীমঙ্গলে এসেছেন। আমাদের এখানে রুম বুকিং ছাড়া ও টিকেট ক্রয় করে পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারেন। এবারের মত পর্যটক শ্রীমঙ্গল প্রবেশ করলে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ পর্যটক কেন্দ্র হবে শ্রীমঙ্গল।ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ জোনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাতে কেউ কোনো সমস্যায় না পড়েন।লাউয়াছড়া, মাধবপুর লেক, বধ্যভূমি, দার্জিলিং টিলাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে আমাদের টহল ব্যবস্থা সার্বক্ষণিকভাবে চলমান রয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
১২ জুন ২০২৫ ০২:২১ পিএম
কক্সবাজার সমুদ্রে নিখোঁজ পর্যটকের লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজের আট ঘণ্টা পর ভেসে এলো পর্যটকের মরদেহ। রোববার (৮ জুন) মধ্যরাত সোয়া ১২ টায় সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের উত্তর পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) নিত্যানন্দ দাস। মৃত উদ্ধার রাজীব আহম্মদ (৩৫) চট্টগ্রাম শহরের ডিসি রোডের বাসিন্দা নজির আহম্মদের ছেলে।নিত্যানন্দ বলেন, রোববার সকালে চট্টগ্রাম থেকে রাজীব আহম্মদ সহ ৫ বন্ধু মিলে ঈদ উপলক্ষে কক্সবাজার বেড়াতে আসেন। বিকাল ৫ টার দিকে তারা সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে যান। পরে লাবণী পয়েন্টের একটু দক্ষিণে সাগরে বন্ধুরা মিলে গোসলে নামেন। এক পর্যায়ে স্রোতের টানে তাদের মধ্যে ২ জন ভেসে যেতে থাকে। এসময় অন্য বন্ধুদের শোর চিৎকার শুনে লাইফ গার্ড কর্মিরা একজনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও অপরজন ভেসে যায়।নিত্যানন্দ আরও বলেন, উদ্ধার তৎপরতার এক পর্যায়ে রোববার মধ্যরাত সোয়া ১২ টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্টের উত্তর দিকের এলাকায় জোয়ারের সময় একটি মৃতদেহ ভেসে আসে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবরটি অবহিত হওয়ার পর লাইফ গার্ড কর্মিরা মৃতদেহটি উদ্ধার করে। মৃতদেহটি কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ জুন ২০২৫ ১২:১৭ পিএম
সুন্দরবনে প্রবেশে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনে আগামী তিন মাস পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বন বিভাগ। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।শনিবার (৩১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এজেডএম হাছানুর রহমান।জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই সময় সুন্দরবনে ইকো ট্যুরিজম, মাছ ও কাঁকড়া শিকার এবং মধু আহরণসহ সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকবে।বন বিভাগের তথ্য মতে, প্রতি বছর এই তিন মাস নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে। তবে এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েন সুন্দরবন ঘেঁষা অঞ্চলের হাজারো জেলে, বোটচালক ও বনজীবী পরিবার। কারণ, জীবিকা বন্ধ থাকলেও সরকারি সহায়তা চাহিদার তুলনায় অনেক কম।বনবিভাগের সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী হাবিবুল ইসলাম বলেন, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই নিষেধাজ্ঞা জরুরি। ইতোমধ্যে পাস প্রদান বন্ধ করা হয়েছে এবং বনে অবস্থানরতদের ৩১ মের মধ্যে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।তবে স্থানীয়দের দাবি, নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের পাশাপাশি প্রকৃত জেলেদের জন্য যথাযথ ও পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় বন রক্ষার এই প্রয়াশ বনজীবীদের জন্য হয়ে উঠবে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ভোগ।ভোরের আকাশ/এসএইচ