যুদ্ধবিরতির পরও গাজায় ঢুকতে পারছে না ত্রাণ, জাতিসংঘের অভিযোগ
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল ত্রাণ আটকে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটি জানিয়েছে, ১০ অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল গাজায় ত্রাণ পাঠানোর ১০৭টি আবেদন বাতিল করেছে।এসবের মধ্যে কম্বল, শীতের পোশাক এবং পানি ও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সরঞ্জামও ছিল। ইসরায়েলি অনুমতি না পাওয়ার কারণে এগুলো এখনো আটকে আছে। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মুখপাত্র ফারহান হক বলেন, আমাদের অংশীদার সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ১০ অক্টোবরের যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কম্বল, শীতের পোশাক এবং পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যসেবার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিসহ ত্রাণ প্রবেশের মোট ১০৭টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।তিনি জানান, প্রত্যাখ্যাত আবেদনগুলোর প্রায় ৯০ শতাংশই ছিল ৩৩০টিরও বেশি স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে। এর অর্ধেকেরও বেশি আবেদন ইসরায়েল এই যুক্তিতে বাতিল করেছে যে, গাজায় ত্রাণ পাঠানোর জন্য সংস্থাগুলোর অনুমতি নেই।জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তর (ওসিএইচএ)-এর তথ্য উদ্ধৃত করে ফারহান হক আরও জানান, ইসরায়েলি সেনারা এখনো মোতায়েন থাকা এলাকায়, বিশেষ করে পূর্ব খান ইউনিস, পূর্ব গাজা সিটি ও রাফাহে প্রতিদিনই আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে।তিনি বলেন, তথাকথিত “ইয়েলো লাইন” সংলগ্ন এলাকায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, এতে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই সামরিক কর্মকাণ্ড বেসামরিক লোকজনসহ ত্রাণকর্মীদের জীবন ঝুঁকির মুখে ফেলছে।তিনি ইসরায়েলি সেনাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, সামরিক অভিযানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে বেসামরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের দায়িত্ব।ভোরের আকাশ/তা.কা
০৭ নভেম্বর ২০২৫ ১০:৩৬ এএম
গাজার সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে আরও ৫৩ জনকে হত্যা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত একদিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।একইসঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অন্তত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে ‘শেষ সুযোগ’ দিয়ে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল, না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্সে লিখেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে।আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় গাজা সিটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ডজনের পর ডজন মানুষ নিহত হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে আবাসিক ভবন ও স্কুল। হাজারো মানুষ বাধ্য হয়ে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে, তবে পালানোর পথেও হামলার মুখে পড়ছেন তারা।আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আল-রাশিদ সড়ক দিয়ে ইসরায়েলি সেনারা মানুষকে শহর ছাড়তে বাধ্য করছে, আবার উপকূল ধরে দক্ষিণমুখী হওয়ার পথেও হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ট্যাংক দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে চরম আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা।তিনি বলেন, “মানুষ গাজা সিটি ছাড়ছে না মূলত ভয় আর ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ঙ্কর তৎপরতার কারণে।”চিকিৎসা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। চলমান দুর্ভিক্ষে খাদ্য সংগ্রহে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার ৬০০, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ হাজার।আল জাজিরাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ২২৫ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৮ জন। আর এ বছরের মার্চে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে নিহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৫৭ জন।জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া মানুষকে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে আখ্যা দেওয়া মানে হলো পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যারা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, তাদের গণহারে হত্যা করা হতে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৩ অক্টোবর ২০২৫ ০১:২২ এএম
গাজার সবাইকে ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে আরও ৫৩ জনকে হত্যা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলা আরও তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত একদিনে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৩ জন নিহত হয়েছেন।একইসঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে শেষবারের মতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। এমনকি গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার ভোর থেকে অন্তত ৫৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। একই সঙ্গে গাজা সিটিতে অবস্থানরত লাখো মানুষকে শহর ছাড়তে ‘শেষ সুযোগ’ দিয়ে হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল, না হলে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক শক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল ক্যাটজ এক্সে লিখেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া সবাইকে “সন্ত্রাসী কিংবা সন্ত্রাসীদের সমর্থক” হিসেবে বিবেচনা করা হবে।আল জাজিরা বলছে, ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলায় গাজা সিটি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ডজনের পর ডজন মানুষ নিহত হচ্ছে, ভেঙে পড়ছে আবাসিক ভবন ও স্কুল। হাজারো মানুষ বাধ্য হয়ে দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে, তবে পালানোর পথেও হামলার মুখে পড়ছেন তারা।আল জাজিরার সাংবাদিক হানি মাহমুদ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আল-রাশিদ সড়ক দিয়ে ইসরায়েলি সেনারা মানুষকে শহর ছাড়তে বাধ্য করছে, আবার উপকূল ধরে দক্ষিণমুখী হওয়ার পথেও হেলিকপ্টার, ড্রোন ও ট্যাংক দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে চরম আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা।তিনি বলেন, “মানুষ গাজা সিটি ছাড়ছে না মূলত ভয় আর ইসরায়েলি সেনাদের ভয়ঙ্কর তৎপরতার কারণে।”চিকিৎসা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন আরও ১৩ জন। চলমান দুর্ভিক্ষে খাদ্য সংগ্রহে গিয়ে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা এখন প্রায় ২ হাজার ৬০০, আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৯ হাজার।আল জাজিরাকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের এই আগ্রাসনে গাজায় মোট প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ২২৫ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৮ জন। আর এ বছরের মার্চে ইসরায়েল একতরফাভাবে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করার পর থেকে নিহত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩৫৭ জন।জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেছেন, গাজা সিটিতে থেকে যাওয়া মানুষকে সন্ত্রাসী বা সন্ত্রাসীদের সমর্থক হিসেবে আখ্যা দেওয়া মানে হলো পরিকল্পিত গণহত্যার ইঙ্গিত। এতে নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও যারা শারীরিকভাবে চলাফেরা করতে অক্ষম, তাদের গণহারে হত্যা করা হতে পারে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৩ অক্টোবর ২০২৫ ০১:২২ এএম
ফ্লোটিলা সদস্যদের আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা
গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক আটক করার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।এই ঘটনাকে ঢাকা আন্তর্জাতিক আইনের ঘোর লঙ্ঘন এবং ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ন্যক্কারজনক উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লোটিলা আটক এবং কর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ইসরায়েল এমন একটি সময়ে চরম অমানবিকতা দেখালো, যখন গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলছে। বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে সকল আটক মানবাধিকারকর্মী ও শান্তিকামী কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। একইসঙ্গে, তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে- গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে বেআইনি দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন কঠোরভাবে মেনে চলা। গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করা।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মানবিক সহায়তা বহনকারী এই ফ্লোটিলা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশ্ববাসীর সংহতির প্রতীক। যেখানে সাধারণ মানুষ জীবন, মর্যাদা ও জীবিকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ ফিলিস্তিনি জনগণের এই ভয়াবহ দুর্দশা ও অব্যাহত কষ্টের সময়ে তাদের পাশে অবিচল সংহতি প্রকাশ করছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৩ অক্টোবর ২০২৫ ০১:০২ এএম
ফ্লোটিলা সদস্যদের আটকের ঘটনায় বাংলাদেশের নিন্দা
গাজাবাসীর জন্য মানবিক সহায়তা বহনকারী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক আটক করার ঘটনায় গভীর নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।এই ঘটনাকে ঢাকা আন্তর্জাতিক আইনের ঘোর লঙ্ঘন এবং ক্ষুধাকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের ন্যক্কারজনক উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছে।শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই নিন্দা জানানো হয়।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফ্লোটিলা আটক এবং কর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে ইসরায়েল এমন একটি সময়ে চরম অমানবিকতা দেখালো, যখন গাজায় মানবিক বিপর্যয় চলছে। বাংলাদেশ সরকার অবিলম্বে সকল আটক মানবাধিকারকর্মী ও শান্তিকামী কর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেছে। একইসঙ্গে, তাদের নিরাপত্তা ও সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য জোর আহ্বান জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতি সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকটি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে রয়েছে- গাজা ও পশ্চিম তীর থেকে বেআইনি দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন কঠোরভাবে মেনে চলা। গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবিক অবরোধ অবিলম্বে বন্ধ করা।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মানবিক সহায়তা বহনকারী এই ফ্লোটিলা ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি বিশ্ববাসীর সংহতির প্রতীক। যেখানে সাধারণ মানুষ জীবন, মর্যাদা ও জীবিকার মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, সেখানে ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় সহায়তা পৌঁছাতে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ ফিলিস্তিনি জনগণের এই ভয়াবহ দুর্দশা ও অব্যাহত কষ্টের সময়ে তাদের পাশে অবিচল সংহতি প্রকাশ করছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
০৩ অক্টোবর ২০২৫ ০১:০২ এএম
ফ্লোটিলা থেকে আটক ২২৩ জনকে ইউরোপে পাঠাবে ইসরায়েল
গাজায় ত্রাণ সাহায্য নিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ আটক করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এই অভিযানে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ বিভিন্ন দেশের অ্যাক্টিভিস্টদের আটক করা হয়েছে।আটককৃত ব্যক্তিদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নৌবহর থেকে আটক হওয়া স্বেচ্ছাসেবীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন। নৌবাহিনীর কমান্ডোরা সমুদ্রে আটক করার পর বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। আশা করা হচ্ছে, আটক ব্যক্তিরা প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যে আশোদ বন্দরে পৌঁছাবেন। এরপর তাদেরকে ইসরায়েল থেকে ইউরোপে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ওপর ভয়াবহ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা হিসেবে গঠিত এই বহরের ৪৪টি নৌযানের মধ্যে অন্তত ৩১টি গতরাত থেকে ইসরায়েলি বাহিনী আটক দেয়। এই ঘটনাকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠলেও ইসরায়েল তাতে কর্ণপাত করছে না।ঘটনার আগে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজে এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ফ্লোটিলাটিকে বাধাহীনভাবে গাজায় যেতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর মতে, ফ্লোটিলার সরবরাহকৃত সহায়তা মানবিক আইনের আওতায় বৈধ। কিন্তু ইসরায়েল দাবি করছে, স্বেচ্ছাসেবীরা 'আইনসম্মত নৌ অবরোধ ভাঙার চেষ্টা' করছে। যদিও আন্তর্জাতিক আইনের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি আন্তর্জাতিক আইনে সুরক্ষিত।আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন স্পেনের ৩০ জন, ইতালির ২২ জন, তুরস্কের ২১ জন এবং মালয়েশিয়ার ১২ জন। অংশগ্রহণকারীরা জানাচ্ছেন, গ্রেপ্তার অভিযান চললেও ফ্লোটিলার মিশন থেমে নেই; এখনো বেশ কিছু নৌযান ইসরায়েলি বাধা উপেক্ষা করে গাজার উপকূলে পৌঁছার চেষ্টা করছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
০২ অক্টোবর ২০২৫ ০৭:৩৭ এএম
গাজার অভিমুখে ফ্লোটিলার ৩০ নৌযান, ইসরায়েলের হাতে আটক ১৩টি
ইসরায়েলের হস্তক্ষেপ ও ধরপাকড়ের পরও ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার’ ত্রাণবাহী ৩০টি নৌযান। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার রাতে গাজা থেকে ১২৯ কিলোমিটার দূরে ভূমধ্যসাগরে থাকা অবস্থায় ফ্লোটিলায় বাধা দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের অন্তত আটটি নৌকা থামিয়ে দেওয়া হয়। সেগুলো হলো দেইর ইয়াসিন, হিউগা, স্পেক্টার, আদারা, আলমা, সিরিয়াস, আরোরা ও গ্রান্ডি ব্লু। তবে প্রতিবেদনে ১৩টি নৌযান থামিয়ে দেওয়ার তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। নৌযানগুলো থেকে বেশ কয়েকজন অধিকারকর্মীকে আটক করেন ইসরায়েলি সেনারা। তাদের মধ্যে সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেগুলোর আরোহীদের ইসরায়েলের একটি বন্দরে নেওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তার বন্ধুরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।’গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ নিয়ে যাওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। এই নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক নৌযান। এই বহরে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক।এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এতে বিগত প্রায় দুই বছরে সেখানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। হত্যাযজ্ঞের পাশাপাশি গাজা অবরোধ করে উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্যসংকট সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে অনাহার- অর্ধাহারে থাকতে হচ্ছে গাজার বাসিন্দাদের।গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান এই বহরে যুক্ত হয়। এ ছাড়া গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকে পরবর্তী সময়ে আরও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যুক্ত হয়। বর্তমানে বহরটিতে ৪০টির বেশি নৌযান রয়েছে।এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে শুরু থেকেই দাবি করে আসছে ইসরায়েল। তবে এর পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা। যাত্রাপথে কোনো বাধা না পেলে নৌবহরটির স্থানীয় সময় আজ সকালে পৌঁছানোর কথা ছিল গাজায়।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ অক্টোবর ২০২৫ ১২:৫৯ এএম
ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৬৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। অবরুদ্ধ নগরীর স্কুল, ঘরবাড়ি ও শরণার্থী শিবির রূপ নিয়েছে ধ্বংসস্তূপে। হাজারো মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের দিকে পালিয়ে গিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।প্রতিবেদনে জানা গেছে, গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ থামার কোনো লক্ষণ নেই। বুধবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদিকে হামাস যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।বুধবার গাজার জায়তুন এলাকার আল-ফালাহ স্কুলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। যুদ্ধের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়া ওই স্কুলে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ ছিলেন। হামলার পরপরই ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু উদ্ধারকাজ শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটি হামলা হয় এবং এতে তারা গুরুতর আহত হন।আহতদের মধ্যে মুন্তাসির আল-দাহশান নামের এক কর্মী পরে মারা যান। আল-আহলি আরব হাসপাতাল জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন।একই দিনে দারাজ মহল্লার একটি বাড়িতে হামলায় সাতজনের মৃত্যু হয়। জায়তুনের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে আরেক হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ নিহত ৬৫ জনের মধ্যে ৪৭ জনই গাজা সিটিকে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে সূত্রগুলো।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০১ অক্টোবর ২০২৫ ১১:০২ পিএম
গাজার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চাইছেন ট্রাম্প!
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুদ্ধবিরতির পর গাজা উপত্যকায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হবেন ট্রাম্প।এ অন্তর্বর্তী সরকারে অন্য বৈশ্বিক নেতারাও থাকবেন। যার মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের নাম রয়েছে।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প এই তথ্য জানান বলে বলে প্রতিবেদনে দাবি করেছে ইসরায়েলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০ দফা প্রস্তাব প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে সমর্থন জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এর মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধ বন্ধে রাজি হয়েছে ইসরায়েল।তবে গাজাভিত্তিক স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখনো প্রস্তাবের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি শুনতে পাচ্ছেন হামাসও এতে রাজি হবে।আর মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, হামাস এই যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ইসরায়েলি জীবিত মৃত সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হবে। এরপরই হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি ছেড়ে দিতে হবে। এরপর গাজায় গঠিত হবে একটি সরকার বা প্রশাসন। আর এ প্রশাসনের প্রধান হবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজে।আরব ও ইসরায়েলিদের অনুরোধেই তিনি এ দায়িত্ব নিচ্ছেন দাবি করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নিয়ে তৈরি এ অন্তর্বর্তী সরকারের নাম হবে ‘দ্য বোর্ড অব পিস’ বা শান্তি প্রশাসন। যেটির প্রধানের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। এই সরকারের দায়িত্ব থাকবে গাজা ও হামাসকে পুরোপুরি নিরস্ত্রীকরণ করা।গাজার নতুন অন্তর্বর্তী সরকার বিশ্বব্যাংকের সাথে কাজ করবে। এ ছাড়া, তারা ফিলিস্তিনিদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের বাছাই করে পরবর্তীতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের নেতৃত্বাধীন একটি সরকার গঠন করবেন। সঙ্গে গাজায় একটি সুশঙ্খল পুলিশ বাহিনী গঠন করে তাদের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ব্রিটিশ সেনাদের ইরাকে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন টনি ব্লেয়ার। এ কারণে তাকে ইরাকের কসাই হিসেবেও অনেকে অভিহিত করে থাকেন।ভোরের আকাশ/তা.কা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:১৯ এএম
গাজায় আরও ৭৯ জন নিহত, মৃত্যু ছাড়াল ৬৬ হাজার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে আরও ৭৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফলে এই উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৬ হাজার ৫ জনে পৌঁছেছে।রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজায় প্রায় দু’বছর ধরে চলা ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৮ হাজার ১৬২ জন ফিলিস্তিনি।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৯টি মৃতদেহ হাসপাতালে আনা হয়েছে, যার মধ্যে দুটি ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন ৩৭৯ জন। আহত ও নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ তাদের অনেকেই ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও লোকবলের অভাবে তাদেরকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সহায়তা নিতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত ও আরও ৬৬ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২৭ মে থেকে এখন পর্যন্ত সাহায্য সংগ্রহের চেষ্টায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল ২ হাজার ৫৬৬ এবং আহতের সংখ্যা ১৮ হাজার ৭৬৯ জনে।এর আগে, গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও হয়েছে ইসরায়েল। তবুও থেমে নেই তাদের বর্বরতা। এ নিয়ে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় বইছে।ভোরের আকাশ/তা.কা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:০০ এএম
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১, যুদ্ধবিরতি নিয়ে ধোঁয়াশা
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বর্বরতা চালিয়ে একদিনে আরও ৯১ জনকে হত্যা করেছে দখলদার ইসরায়েল। গতকাল শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা অ্যারাবিক। নিহত এই ৯১ জনের মধ্যে ৪৮ জনই গাজা সিটির বাসিন্দা। যারমধ্যে ছয়জন ত্রাণ নেওয়ার সময় নিহত হন।দখলদার ইসরায়েল মধ্য গাজার সারায়া এলাকায় বেসামরিক মানুষের ওপর বোমাবর্ষণ করেছে করেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।প্রতিদিন প্রায় ১০০ মানুষ নিহত হলেও ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ হুমকি দিয়েছেন, সব লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত গাজায় তারা যুদ্ধ থামাবেন না। এছাড়া তিনি গাজায় বর্বরতা বাড়ানোর হুমকিও দিয়েছেন।ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার যুদ্ধ বন্ধে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ৮ মুসলিম দেশের নেতারা। ওই সময় ট্রাম্প তাদের কাছে ২১ দফার প্রস্তাব পেশ করেন। বৈঠক শেষে একাধিক মুসলিম নেতা জানান, ট্রাম্পের সঙ্গে তাদের ভালো আলোচনা হয়েছে।গত কয়েকদিন ধরে ২১ দফার কথা শোনা গেলেও এগুলো স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। গতকাল ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল দফাগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করেছে। যা হুবহু তুলে ধরা হলো—১. গাজা হবে চরমপন্থা-মুক্ত, সন্ত্রাস-মুক্ত একটি অঞ্চল যা তার প্রতিবেশীদের জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না।২. গাজার মানুষের কল্যাণের জন্য গাজা পুনর্গঠন করা হবে।৩. উভয় পক্ষ এই ২১ দফায় সম্মত হলে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ শেষ হবে। ইসরায়েলি বাহিনী সব অভিযান বন্ধ করে ধীরে ধীরে গাজা উপত্যকা থেকে সরে যাবে।৪. ইসরায়েল প্রকাশ্যে চুক্তিটি মানার ঘোষণা দিলে, ওই সময় থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সব জীবিত ও মৃত জিম্মিকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।৫. জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার পর ইসরায়েল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েকশো ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেবে। সেই সাথে যুদ্ধ শুরু থেকে আটক ১ হাজারের বেশি গাজাবাসী এবং কয়েকশো ফিলিস্তিনির মৃতদেহও হস্তান্তর করবে তারা।৬. জিম্মিদের ফিরিয়ে দেওয়ার পর, হামাসের যে যোদ্ধারা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন, তাদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। আর যেসব যোদ্ধা উপত্যকা ছাড়তে চাইবেন তাদের অন্যদেশে নিরাপদে যেতে দেওয়া হবে। ৭. এই চুক্তি হওয়ার পর গাজায় ত্রাণ সাহায্য বাড়ানো হবে। প্রতিদিন অন্তত ৬০০ ট্রাক ত্রাণ গাজায় ঢুকবে। এর পাশাপাশি জরুরি অবকাঠামো পুনর্বাসন এবং ধ্বংসস্তূপ সরানোর সরঞ্জামও প্রবেশ করবে।৮. জাতিসংঘ, রেড ক্রিসেন্ট এবং ইসরায়েল বা হামাসের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ করা হবে। যেখানে কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ থাকবে না।৯. গাজার শাসনভার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অন্তর্বর্তীকালীন ও অস্থায়ী সরকারের হাতে থাকবে। যারা গাজার সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন সেবা প্রদানের দায়িত্বে থাকবেন। এই কমিটিকে একটি নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থা তত্ত্বাবধান করবে।নতুন আন্তর্জাতিক সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র, আরব ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সমন্বয়ে।এই সংস্থাটি মাহমুদ আব্বাসের ফিলিস্তিন অথরিটি (পিএ) সংস্কার কর্মসূচি শেষ না হওয়া পর্যন্ত গাজার পুনর্গঠনে অর্থায়নের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করবে।১০. মধ্যপ্রাচ্যের আধুনিক শহর নির্মাণে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এতে গাজায় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বিদ্যমান পরিকল্পনাগুলো বিবেচনা করা হবে।১১. অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গাজায় কম শুল্ক ও সহজ প্রবেশাধিকারের একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে।১২. কাউকে গাজা ছাড়তে বাধ্য করা হবে না। তবে যারা চলে যেতে চাইবেন তাদের ফিরে আসার অনুমতি থাকবে। উপরন্তু, গাজাবাসীকে উপত্যকায় থাকতে উৎসাহিত করা হবে এবং সেখানে একটি উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার সুযোগ দেওয়া হবে।১৩. গাজার শাসনে হামাসের কোনো ভূমিকাই থাকবে না। হামাসের তৈরি সুড়ঙ্গসহ যেকোনো ধরনের সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। এছাড়া যেসব অবকাঠামো এখনো আছে সেগুলো ধ্বংস করতে হবে। গাজার নতুন নেতারা তাদের প্রতিবেশী দেশেগুলোর সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হবেন।১৪. আঞ্চলিক অংশীদারদের মাধ্যমে একটি নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেওয়া হবে। যাতে হামাস ও গাজার অন্যান্য দলগুলো তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলে এবং গাজা ইসরায়েল বা তার নিজস্ব জনগণের জন্য হুমকি সৃষ্টি করা বন্ধ করে।১৫. উপত্যকার নিরাপত্তা তদারকির জন্য যুক্তরাষ্ট্র, আরব দেশ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে একটি অস্থায়ী আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করা হবে। এ বাহিনীকে অবিলম্বে গাজায় মোতায়েন করা হবে।নতুন আন্তর্জাতিক বাহিনীটি নতুন ফিলিস্তিনি পুলিশ বাহিনী সৃষ্টি ও তাদের প্রশিক্ষণ দেবে। যা দীর্ঘমেয়াদী অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা হিসেবে কাজ করবে।১৬. ইসরায়েল গাজা দখল বা অধিগ্রহণ করবে না। এবং নতুন নিরাপত্তা বাহিনী গাজায় স্থিতিশীলতা তৈরি করার পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ধীরে ধীরে গাজা থেকে চলে যাবে।১৭. হামাস এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান বা এটি গ্রহণে বিলম্ব করলে— উপরে উল্লিখিত দফাগুলো হামাসের নিয়ন্ত্রণহীন এলাকাগুলোতে প্রয়োগ করা হবে।১৮. ইসরায়েল কাতারে ভবিষ্যতে হামলা করবে না।১৯. গাজার জনগোষ্ঠীকে কথিত চরমপন্থা থেকে দূরে সরানোর জন্য একটি প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। এর মধ্যে ইসরায়েল ও গাজার মানুষের জীবন পরিবর্তনের লক্ষ্যে আন্তঃধর্মীয় সংলাপও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।২০. গাজার পুনর্গঠন আলোর মুখ দেখলে, ফিলিস্তিনি অথরিটির সংস্কার পোগ্রাম শেষ হলে ফিলিস্তিনকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেওয়ার পথ সুগম করা হবে।২১. শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের লক্ষ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করবে যুক্তরাষ্ট্র।আগামী সোমবার ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৈঠক হবে। ওই সময় জানা যাবে, এ চুক্তিটি ইসরায়েল মানবে কি না। গতকাল নেতানিয়াহু জাতিসংঘের ভাষণে জানান, গাজায় তারা হামলা অব্যাহত রাখবেন। অপরদিকে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন তারা হয়ত যুদ্ধবিরতিচুক্তির দ্বারপ্রান্তে আছেন।ভোরের আকাশ/তা.কা