বাউফলে শাহ-আলম নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি গোবিন্দ ঘরামিকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বুধবার (১ অক্টোবর) রাতে গাজীপুরের বাসন থানা এলাকা থেকে বাউফল থানা এসআই মাসুদ খলিফার নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।বাউফল থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ২৩ মার্চ বাউফলের কায়না গ্রামে নিহত শাহ-আলমের ছাগল একই এলাকার গোবিন্দ ঘরামির জমির ঘাস খেলে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে দুই পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গুরুতর আহত হন শাহ-আলম। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।এ ঘটনায় প্রথমে হামলার মামলা হলেও পরবর্তীতে তা হত্যা মামলায় রূপ নেয়। ঘটনার পর থেকে মামলার আসামিরা পলাতক ছিলেন।এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদ খলিফা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে পলাতক থাকা প্রধান আসামিকে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, "গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।"ভোরের আকাশ/এসএইচ
০২ অক্টোবর ২০২৫ ০২:৪৪ এএম
বাউফলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি
পটুয়াখালীর বাউফলের পোনাহুড়া ইসলামীয়া নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অযোগ্যতার অভিযোগ এনে পদত্যাগ এবং অবৈধ গভর্নি বডি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন মাদ্রাসার অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নে পোনাহুড়া ইসলামীয়া নেছারিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সামনে ওই মাদ্রসার সাবেক অধ্যক্ষ মাও. আবদুল বারীর সভাপতিত্বে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সদস্য মো. মাহবুবর রহমান বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সাহাবুদ্দিন আল মামুন স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে ১৬ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে অধ্যক্ষ হয়েছেন। অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসায় দুর্নীতির আখড়া গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি তিনি (অধ্যক্ষ) কাউকে না জানিয়ে গোপনে অগণতান্ত্রিকভাবে মাদ্রাসার গভনিং বডির কমিটি করেছেন। ওই কমিটিতে আমাকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য করা হয়েছে। যা আমি নিজেই জানি না। তার অবৈধ কমিটি থেকে আমি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। একই সাথে মাদ্রাসার উন্নয়নের স্বার্থে তার মত অদক্ষ দুর্নীতিবাজ অধক্ষ্যের পদত্যাগ ও কমিটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।মাদ্রাসার গভনিং বডির সাবেক সহ-সভাপতি ফোরকান মোল্লা বলেন, পোনাহুড়া মাদ্রাসার একটি ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা ছিল। শিক্ষার মানে দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান। তবে ঘুস দিয়ে সাহাবুদ্দিন অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে তার অব্যবস্থাপনার কারণে মাদ্রাসার শিক্ষার মানের অবনতি হচ্ছে। সে একজন দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ, সে থাকলে মাদ্রাসার উন্নয়ন সম্ভব না। তাই আর পদত্যাগ দাবি করছি।মাদ্রাসার দাতা সদস্য আসলামুর রহমান বলেন, অধ্যক্ষ নিজে একজন দুর্নীতিবাজ। সে ছাত্রদের কাছ থেকে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। নিয়মিত ক্লাস হয় না। শিক্ষার মান নষ্ট হয়ে গেছে। যার প্রমাণ দাখিল পরীক্ষার ফলাফল। এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ গোপনে গভনিং বডির কমিটি করেছেন। যাকে সভাপতি করেছেন একজন অযোগ্য মানুষ। তার দ্বারা মাদ্রাসার উন্নতি সম্ভব নয়। আমরা এই অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও কমিটি বাতিল দাবি করছি।মানববন্ধনের সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল বারী বলেন, এই মাদ্রাসার দেশের সুনামধন্য মাদ্রাসা। কিন্তু সাহাবুদ্দিন সাবেক ঘুস দিয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে মাদ্রাসা অবনতির দিকে যাচ্ছে। এখানে আলিম পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল, সেটাও আজ নেই। ভালো ফলাফল হত। এখন ফেল আর ফেল। অধ্যক্ষের দুর্নীতি আর অনিয়মের কারণে এমন করুণ পরিনতি হয়েছে। এখন অবৈধভাবে যে কমিটি করা হয়েছে তাতে মাদ্রাসার অস্তিত্ব থাকবে না। এই মাদ্রাসার আমাদের সম্পদ, যে কারণে আমরা এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে এসেছি। আমরা চাই অধ্যক্ষের পদত্যাগ ও কমিটি বাতিল। নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিয়ে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করে মাদ্রাসার সুনাম ফিরিয়ে আনা হোক।এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. সাহাবুদ্দিন আল মামুন বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একটি মহল এসব করতেছে।ভোরের আকাশ/জাআ