চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে এক মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে হাইওয়ে পুলিশ। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালের দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের চারিয়া মাদ্রাসার সামনে চট্টগ্রাম নাজিরহাট আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালের দিকে উল্লেখিত স্থানে এক মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নাইনে ফোন দেয়। পরে নাজিরহাট হাইওয়ে থানা পুলিশ উক্ত স্থানে থেকে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। স্থানীয়রা জানান, অজ্ঞাত ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। খুব ভোরে রাস্তা পার হতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।নাজিরহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাবুদ্দিন অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখনো পর্যন্ত উদ্ধার করা লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি, পরিচয় শনাক্তে পুলিশ চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:৪২ পিএম
নওগাঁ শহরের লিটন ব্রিজের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁ শহরের লিটন ব্রিজের নিচ থেকে অজ্ঞাত একব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এসময় নিহতের পরনে পুরনো লুঙ্গি ও গায়ে জ্যাকেট ছিল।স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, নওগাঁ শহরের লিটন ব্রীজের নিচ থেকে দূর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে স্থানীয় দোকানীরা ব্রীজের নিচে একটি মরেদহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে নিহত ব্যক্তিকে এর আগে কেউ এলাকায় দেখেনি।নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরে আলম সিদ্দিকী বলে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তি মানষিক ভারসাম্যহীন হতে পারে। কয়েকদিন আগে মারা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। নাম ও পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
কক্সবাজার শহরের একটি বিউটি পার্লার থেকে নাদিয়া ইসলাম ঝিমি (২৫) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের বৌদ্ধ মন্দির সড়কের ঝিমি’স মেকওভার এন্ড বিউটি সেলুন থেকে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার সদর থানার ওসি ইলিয়াছ খান। নিহত নাদিয়া ইসলাম ঝিমি কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার জাফর আলমের মেয়ে। তিনি শহরের বার্মিজ মার্কেট এলাকায় ঝিমি মেকওভারসহ দুই বিউটি পার্লারের মালিক ছিলেন।একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নাদিয়ার স্বামী মোহাম্মদ ইয়াসিনের বাড়ি শহরের টেকপাড়া এলাকার কামাল ম্যানশনে। প্রায় বছরখানেক আগে স্বামীর গোপনে দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানতে পারেন নাদিয়া। পরে অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি।নাদিয়ার বাবা জাফর আলম বলেন, গতকাল রোববার বিকাল ৩টার দিকে নাদিয়া পার্লারে কাজের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। প্রতিদিন রাতে কাজ শেষ করে বাসায় ফিরলেও রবিবার ফেরেনি। মাঝে মাঝে কাজের চাপ থাকলে রাতে বাসায় ফিরত না। রবিবার রাত ১১টার দিকেও বাসার লোকজনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছিল, ওই সময় কাজ থাকায় পার্লারে অবস্থান করছিল বলেও জানায় নাদিয়া।তিনি আরও জানান, সোমবার সকালেও নাদিয়া বাসায় না ফেরায় বাবা-মাসহ পরিবারের সদস্যরা একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো সাড়া না পাওয়ায় খোঁজ নিতে মেয়ের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যান। এ সময় ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় ডাকাডাকি করেন। তাতেও কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিয়ে নাদিয়াকে সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে ঘটনাটি পুলিশকে অবহিত করা হয়।ওসি ইলিয়াছ খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পার্লারের দরজা ভেঙে ঝুলন্ত অবস্থায় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সোমবার বিকালে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:০৩ পিএম
ময়মনসিংহে বাবা-মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে ঘর থেকে বাবা-মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ নভেম্বর) ভোর সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার ভূবনকুড়া ইউনিয়নের আমিরখাকুড়া গ্রাম থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।নিহতরা হলেন- মো. রতন মিয়া (৩০) ও তার মেয়ে নরিয়া আক্তার (৭)। রতন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।হালুয়াঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, ভোর চারটার দিকে খবর পেয়ে আমিরখাকুড়া গ্রামে রতন মিয়ার বাড়িতে যায় পুলিশ। এসময় খাটের ওপর গলাকাটা অবস্থায় রতনের ও মেঝেতে তার মেয়ে নরিয়ার মরদেহ পড়ে ছিল। পাশ থেকে একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।পুলিশ সুপার আরও বলেন, নিহত রতনের স্ত্রীকে গলাও কাটা অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যাকাণ্ড নাকি পারিবারিক বিরোধের জেরে নিজেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন- তার তদন্ত চলছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/তা.কা
১২ নভেম্বর ২০২৫ ০১:২৯ পিএম
জীবননগরে সাড়ে ৫ মাস পর কবর থেকে যুবকের মরদেহ উত্তোলন
চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যার ঘটনায় দীর্ঘ সাড়ে ৫ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হলো জীবননগর উপজেলার সেনেরহুদা গ্রামের গাফফার আলী আকাশের লাশ।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সামিউল আজম ও পিবিআইয়ের ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামানের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে লাশ উত্তোলন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।উল্লেখ্য, গত ২১ মে বিকালে অফিস শেষে চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে খুলনাগামী ডাউন ৭১৬ কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের ঙ কোচে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মচারী সেনেরহুদা গ্রামের গাফফার আলী ওরফে আকাশ। দর্শনা হল্ট স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে সড়ক পথে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু জয়রামপুর রেলস্টেশনেের অদূরে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। রেললাইনের পাশে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা তার পকেটে থাকা ছবি ও এনআইডি কার্ডের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন। প্রথমে সবাই ধারণা করেছিল আকাশ হয়তো ট্রেন থেকে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাকে কেউ ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করবে এমন চিন্তা নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী ধারণায় করেনি৷ কারণ, আকাশ ওই ধরনের ছেলে না৷ অত্যন্ত, নম্র, ভদ্র ও শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিলেন তিনি। পরিবারের পক্ষ থেকে কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় ওই রাতেই তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে রেলওয়ে পুলিশ। পরেরদিন সকালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই জানাজা শেষে তাকে সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা কবরস্থানে দাফন করা হয়।কিন্তু পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক ঘটনা। ট্রেনে থাকা বেশ কয়েকজন যাত্রীর মারফতে জানা যায়, অসাবধানতাবশত নয়, তাকে ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। একথা শোনার পর নিহতের পিতা জিন্নাত আলী বাদী হয়ে গত ২৬ মে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা আমলি আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।মামলায়, ওইদিন ডাউন কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনে দায়িত্বরত জুনিয়র টিটিই লালন চক্রবর্তী (৪২), জিআরপির এসআই পারভেজ (৩৬), কনস্টেবল। কাদের (৪০) এবং অ্যাটেন্টডেন্ট মিলন (৩৭) ও সোহাগ মিয়াসহ আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। ট্রেনে বিনা টিকিটের যাত্রীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন এবং টাকা না দিতে চাইলে তাদের সাথে খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করার কারণে সৃষ্ট বাগবিতণ্ডার জেরে নাম উল্লিখিত আসামিসহ আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মিলে আকাশকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করেন বাদী জিন্নাত আলী।ভোরের আকাশ/মো.আ.
যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। এই হামলায় প্রাণহানির খবরও এসেছে। এ অবস্থায় পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি ও ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে ইসরায়েল।মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে পাঁচ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় মুক্ত হওয়া এসব বন্দিকে পরে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এলাকার আল-আকসা হাসপাতালে নেওয়া হয়।মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মতে, এখনো হাজার হাজার ফিলিস্তিনি ইসরায়েলে আটক রয়েছেন, যাদের অনেককেই কোনো অভিযোগ ছাড়াই তথাকথিত প্রশাসনিক আদেশে আটক রাখা হয়েছে।এর আগে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটির (আইসিআরসি) মাধ্যমে ইসরায়েল তাদের ৪৫ জন ফিলিস্তিনির মরদেহ হস্তান্তর করেছে। এতে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় ফেরত পাওয়া মোট মরদেহের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭০।মন্ত্রণালয় জানায়, এখন পর্যন্ত ৭৮টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। অনুমোদিত চিকিৎসা পদ্ধতি ও প্রোটোকল অনুযায়ী বাকি মরদেহগুলোর পরীক্ষার কাজ চলছে, এরপর সেগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।এর আগে কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ফেরত পাওয়া অনেক মরদেহে নির্যাতনের চিহ্ন, হাত বাঁধা, চোখে কাপড় বাঁধা ও মুখ বিকৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো কোনো শনাক্তকরণ ট্যাগ ছাড়াই ফেরত দেওয়া হয়।এদিকে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল গাজায় প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের এক সূত্র আল জাজিরাকে জানায়, সোমবার দক্ষিণ গাজার রাফাহর উত্তরে ইসরায়েলি হামলায় তিন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, কিছু ব্যক্তি “ইয়েলো লাইন” ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা অতিক্রম করায় তারা দক্ষিণ গাজায় হামলা চালিয়েছে। এই লাইন অতিক্রম করাকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল।তবে এ ঘটনা স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি এবং একই ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন কি না, সেটিও স্পষ্ট নয়। এছাড়া গাজা সিটির পূর্বাংশে ইসরায়েলি গুলিতে এক শিশুসহ তিনজন আহত হয়েছেন বলে আল-আহলি আরব হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে।আল জাজিরার সাংবাদিক তারেক আবু আজজুম জানান, ইসরায়েল কোয়াডকপ্টার ড্রোন ব্যবহার করে আংশিক ধসে পড়া ভবনগুলোর ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করছে। স্থানীয় প্রশাসনের ভাষায়, 'এগুলো যুদ্ধবিরতির সরাসরি লঙ্ঘন।'গাজার সরকারি গণমাধ্যম কার্যালয় জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ১২৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, এসব হামলা অব্যাহত থাকলে পূর্ণমাত্রার সংঘাত আবার শুরু হতে পারে। ভোরের আকাশ/তা.কা
০৪ নভেম্বর ২০২৫ ০৮:৪৯ এএম
খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা বহাল, সংঘর্ষে নিহতদের মরদেহ হস্তান্তর
খাগড়াছড়িতে এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের ঘটনায় সৃষ্ট উত্তেজনা ও সহিংসতার প্রেক্ষিতে জেলাজুড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চতুর্থ দিনের মতো চলমান রয়েছে। তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে গতকাল খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ শিথিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ওই সড়কে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ কার্যত অচল রয়েছে।এদিকে, রোববার গুইমারায় সহিংসতায় নিহত তিন পাহাড়ির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই তাদের দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন কাজ করছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় এখনো ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, অবস্থা স্বাভাবিক হলে নির্দেশনা তুলে নেওয়া হবে।একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আন্দোলনকারী জুম্ম ছাত্র-জনতার ছয় প্রতিনিধি। বৈঠকে তারা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারসহ আট দফা দাবি পেশ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার জেরে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ অনেকে আহত হন। সহিংসতায় গুইমারার রামসু বাজারসহ বহু ঘরবাড়ি ও অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/তা.কা
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩০ এএম
খুলনায় ২৪ ঘণ্টায় ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার
খুলনায় যেন লাশের মিছিল থামছেই না। গত ২৪ ঘণ্টায় মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) থেকে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে খুলনা রেল স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে প্রিন্স নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর হাবিলদার ওহিদ খান জানান, স্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে যে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তিনি স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেলের কর্মচারী ছিলেন।এর আগে সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রূপসার জাবুসার চৌরাস্তা মোড়ের কাছে আইডিয়াল কোম্পানির পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির হাত -পা বাঁধা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।রূপসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, ট্রিপল নাইন থেকে ফোন পেয়ে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (পুরুষ) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে তিন থেকে পাঁচ দিন ধরে মৃত ব্যক্তি পানিতে ছিল। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশ থেকে পুলিশ এ অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। মৃতের বয়স আনুমানিক ৮০ বছর।খানজাহান আলী সেতুর দিকে যাওয়ার পথে সড়কের পাশে ওই বৃদ্ধ পড়েছিলেন। স্থানীয়রা মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। কোনো যানবাহন তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।এদিকে খুলনার রূপসা উপজেলার রাজাপুর এলাকায় তনুমা ঘোরামী (২৭) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে রূপসার রাজাপুর এলাকার দিপক মন্ডলের (৩৫) স্ত্রী।নগরীর কালিবাড়ি ঘাট থেকে স্থানীয়রা তনুমা ঘোরামী নামে অসুস্থ এক নারীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।বটিয়াঘাটায় নিজ বাড়ির পুকুরে পড়ে মারা যাওয়া জোসনা কুন্ডু নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার রাতে কাজ শেষে বাড়িতে প্রবেশের সময় তিনি পুকুরে পড়ে মারা যান। মৃত জোসনা কুন্ডু উপজেলার কুন্ডুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইন্দ্রজিত কুন্ডুর স্ত্রী।বটিয়াঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রহিম বলেন, জোসনা কুন্ডু শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। রোববার রাত ৮টার দিকে তিনি বাড়ির সামনে একটি পুকুরে থালাবাটি পরিষ্কার করছিলেন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিল না। অসুস্থতার কারণে পুকুরে পড়ে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পাননি। শেষে পুকুরে তার ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০২:৪৭ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুর থেকে হাত-পা বাঁধা যুবকের লাশ উদ্ধার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় একটি পুকুর থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খাঁটিহাতা এলাকার বোরহান হুজুরের মাদ্রাসার পাশের একটি পুকুর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম জানান, বিকেলে স্থানীয়রা পুকুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য উন্মোচিত হবে। নিহতের পরিচয় শনাক্তের জন্য তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহের প্রস্তুতি চলছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঋতু আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে হাজীগঞ্জ এলাকার ইমামউদ্দিনের বাড়ির নিচতলার ভাড়াবাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নিহতের স্বামী মাসুম মিয়া তার শ্বশুরকে ফোন দিয়ে জানান, ঋতু আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই মাস আগে ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন দম্পতি। প্রায় তিন বছর আগে প্রেমের সূত্র ধরে তাদের বিয়ে হয়। তবে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই কলহ লেগে থাকত বলে জানা গেছে।নিহতের বাবা মো. কাশেম মিয়ার অভিযোগ, তার মেয়েকে হত্যা করে স্বামী পালিয়ে গেছে। তিনি আরও জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন ঘরের বাইরে তালা দেওয়া ছিল।ফতুল্লা থানার এসআই সঞ্জীব জোয়াদ্দার জানান, “লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।”ভোরের আকাশ/মো.আ.