ছবি : সংগৃহীত
রাজধানীতে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হয়ে আসেন। আতঙ্কের মধ্যেই দুই হলের উঁচু তলা থেকে লাফিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আহত শিক্ষার্থীর পা ভেঙে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
মুহসীন হলের আহত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজীর আহমেদ। অন্যজন একই শিক্ষাবর্ষের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। দুজনই নিচে লাফ দেওয়ার সময় আঘাত পান। এদিকে স্যার এ এফ রহমান হলের একটি কক্ষেও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।
ভূমিকম্পের সময় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে নিচে নেমে আসে। বহু ভবনে কম্পন অনুভূত হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অনেকেই বাসা-বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ৫ দশমিক ৭ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদপ্তর।
ভোরের আকাশ/মো.আ.
সংশ্লিষ্ট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ৩ নেতাকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। শনিবার (২২ নভেম্বর) রাতে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ শোকজ করা হয়।অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদ মোহাম্মদ রেদোয়ান, জামাদিউল আউয়াল সুজাত ও সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফাহিম।চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন স্থায়ী সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, এই মর্মে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হলো।উল্লেখ্য, গত ১৯ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুনম্বর গেইট সংলগ্ন একটি হোটেলের সামনে চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২০-২১ সেশনের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে শোকজ করা ওই তিন ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
রাজধানীতে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে অনুভূত শক্তিশালী ভূমিকম্পে আতঙ্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল এবং মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হয়ে আসেন। আতঙ্কের মধ্যেই দুই হলের উঁচু তলা থেকে লাফিয়ে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের আহত শিক্ষার্থীর পা ভেঙে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।মুহসীন হলের আহত দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানজীর আহমেদ। অন্যজন একই শিক্ষাবর্ষের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী। দুজনই নিচে লাফ দেওয়ার সময় আঘাত পান। এদিকে স্যার এ এফ রহমান হলের একটি কক্ষেও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে।ভূমিকম্পের সময় বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা দৌড়ে নিচে নেমে আসে। বহু ভবনে কম্পন অনুভূত হওয়ায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, অনেকেই বাসা-বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন।প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত হওয়া ভূমিকম্পটির মাত্রা ৫ দশমিক ৭ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহওয়া অধিদপ্তর। ভোরের আকাশ/মো.আ.
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে “Workshop on Professional Development of Officers” শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ সেমিনার কক্ষে আয়োজিত এই কর্মশালা পরিচালনা করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাস্যুরেন্স সেল (IQAC), পবিপ্রবি। দিনব্যাপী এ কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় রেজিস্ট্রেশন শেষে ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় উদ্বোধনী সেশন। উদ্বোধনী সেশনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক (ইটিএল) অধ্যাপক ড. মো : আব্দুল মাসুদ।কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো: আব্দুল লতিফ এবং সভাপতিত্ব করেন আইকিউএসি পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানী।অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন নির্ভর করে দক্ষ, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার ওপর। পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের শুধু নিয়মকানুন জানা যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন আধুনিক প্রশাসনিক দক্ষতা, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা, নথীর গোপনীয়তা, দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি এবং কম্পিউটারের দক্ষতা বাড়ানো দরকার। আজকের এই কর্মশালা সেই পরিবর্তনেরই অংশ। এ ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বাড়াবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।তিনি আরও বলেন,“পবিপ্রবিকে একটি বিশ্বমানের গবেষণা ও জ্ঞানচর্চার প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমাদের প্রত্যেক কর্মকর্তা যদি তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে পালন করেন তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন আরো বেগবান হবে।” উপাচার্য কর্মশালার সফলতা কামনা করেন এবং আইকিউএসি-কে এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।অতিথিদের বক্তব্য শেষে ১০টা ১৫ মিনিটে কর্মশালার মূল পর্ব শুরু হয়। সেশন মডারেটর ছিলেন আইকিউএসি-এর অতিরিক্ত পরিচালক (কিউএ) অধ্যাপক ড. নূর নবী। ১০টা ১৫ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি-এর ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো: নুরুল ইসলাম সিদ্দিক। তিনি “Meaningful Career at University” এবং “Working Effectively with Faculties” বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত “Office Management” বিষয়ক আলোচনা করেন পবিপ্রবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মো:আমিনুল ইসলাম টিটো। বিকাল ২টা ৩০ মিনিট থেকে “Professional Ethics” বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন আই-কিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক ও সিএসই অনুষদের অধ্যাপক ড. মো: আব্দুল মাসুদ।বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে পুনরায় বক্তব্য রাখেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো: নুরুল ইসলাম সিদ্দিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমকে আধুনিক, সময়োপযোগী ও দক্ষতাভিত্তিক করার লক্ষ্যে আয়োজিত এই কর্মশালাকে সফল বলে অভিহিত করেছেন অংশগ্রহণকারীরা। তারা মনে করেন, কর্মশালার আলোচনাগুলো পেশাগত দায়িত্ব পালনে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মপরিকল্পনা তৈরিতে সহায়ক হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
'সৌদি আরবে নিরাপদ অভিবাসন ও উচ্চ শিক্ষায় জাপান গমন’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা শনিবার (১৫ নভেম্বর ) বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।খুলনা জেলা প্রশাসন ও খুলনা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম।উপাচার্য বলেন, জনসংখ্যা সমাজের বোঝা নয়; জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে হবে, তাহলেই দেশ এগিয়ে যাবে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হলেও বহু রাষ্ট্রের তুলনায় উন্নত অবস্থানে রয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে লো-স্কিলড রেমিট্যান্স যোদ্ধারা দেশের উন্নয়নে সরাসরি ভূমিকা রাখছেন।স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য। বিদেশ যেতে আগ্রহীদের ভাষা শিক্ষা, কারিগরি দক্ষতা অর্জন এবং সঠিক প্রস্তুতির বিষয়ে শিক্ষকরা গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দিতে পারেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।উপাচার্য জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি ভাষা শিক্ষার জন্য মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার রয়েছে, যা ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের প্রক্রিয়াধীন। এর মাধ্যমে শুধু খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, বাইরের শিক্ষার্থীরাও বিদেশি ভাষা শেখার সুযোগ পাবে। বিদেশগামীদের ভাষা শিক্ষা ও নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে জনশক্তি ব্যুরোর চলমান কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি ধন্যবাদ জানান।মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আশরাফ হোসেন। তিনি বিদেশগমন-প্রত্যাশীদের কারিগরি দক্ষতা, বিদেশি ভাষা শিক্ষা এবং নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা টিটিসির অধ্যক্ষ মো. জিয়াউর রহমান। তিনি টিটিসির আওতায় পরিচালিত বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্স, সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রম ও প্রতিষ্ঠানটির পথচলার নানা দিক তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন খুলনা টিটিসির ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার) উম্মে হাবিবা ইসলাম।মতবিনিময় সভায় খুলনা অঞ্চলের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষক প্রতিনিধি, খুলনা টিটিসির কর্মকর্তা ও প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.