শিবচরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ
মাদারীপুরের শিবচরে শিক্ষার্থীদের মাঝে ফলদ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসের আয়োজনে উপজেলার মাদবরেরচর রহিম উদ্দিন মাদবর উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই চারা বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের খরিপ-২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষার্থীর প্রত্যেককে ১টি করে কাঁঠাল, বেল, নিম ও জাম গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
মাদবরেরচর রহিম উদ্দিন মাদবর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মোতালেব শিকদারের সভাপতিত্বে চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাদবরেরচর ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: সোহাগ মিয়া, সহকারী প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন, সহকারী শিক্ষক মো: রফিকুল ইসলামসহ শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা।
গাছের চারা পেয়ে বেশ উচ্ছ্বাসিত শিশু শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহিম, সাকিল রিয়া, ফাহমিদা, তারিন ও স্মৃতি বলেন, গাছের চারা পেয়ে আমরা খুব খুশি। বাড়িতে গিয়ে চারাগুলো লাগাব। এতে করে আমরা ছায়া ও অক্সিজেন পাব। ফল হলে সেগুলো আমরা খেতে পারব।
অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ এবং সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ফলদ ও ঔষধি বৃক্ষের উপকারিতা তুলে ধরেন মাদবরেরচর ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো: সোহাগ মিয়া।
অংশগ্রহণকারীরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান এবং আরও বড় পরিসরে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
মানবিকতা, দায়িত্ববোধ আর দেশের প্রতি ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণ ছিলেন পুলিশের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার (এসি) শহীদ রবিউল করিম কামরুল। গুলশানের হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারালেও তিনি বেঁচে আছেন তার কাজের মধ্য দিয়ে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান ‘ব্লুমস’ তার সেই মানবিক স্বপ্নের প্রতীক।মঙ্গলবার (১ জুলাই) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানিকগঞ্জে পালিত হলো তার নবম শাহাদত বার্ষিকী।সকালে শহীদ রবিউলের হাতে গড়া নজরুল বিদ্যাসিঁড়ি স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে একটি শোকর্যালি বের করা হয়। র্যালিটি শহরের কাটিগ্রাম কবরস্থানে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে শহীদ রবিউলের সমাধিতে তার পরিবার ও ব্লুমসের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।পরে ব্লুমস প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোচনা সভায় শহীদ রবিউলের আত্মত্যাগ ও মানবিক কর্মকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন বক্তারা।সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্লুমসের সভাপতি জি আর শওকত আলী এবং সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। এতে বক্তব্য দেন শহীদের স্ত্রী উম্মে সালমা, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, শহীদ রবিউলের ছোট ভাই শামসুজ্জামান শামস, সাংবাদিক আব্দুল মোমিন, হুমায়ুন কবির, নিসচার ধামরাই শাখার সভাপতি মো. নাহিদ মিয়া এবং স্থানীয় সমাজকর্মী শরিফুল ইসলাম নীরু।শহীদ রবিউলের সহধর্মিণী উম্মে সালমা বলেন, “রবিউল শুধুই একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন না। তিনি একজন মানবিক মানুষ ছিলেন। সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন বলেই ব্লুমস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”বক্তারা বলেন, শহীদ রবিউলের আত্মত্যাগ কেবল দেশরক্ষার জন্যই নয়, তার সমাজ সচেতনতা, বিশেষ শিশুদের জন্য ভালোবাসা ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাহসিকতাও অনুপ্রেরণার।উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন এএসপি রবিউল করিম। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রামের সন্তান। তার হাতে গড়া ‘ব্লুমস’ বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য একটি আদর্শ বিদ্যাপিঠে পরিণত হয়েছে।বক্তারা শহীদ রবিউলের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/আজাসা
বাগেরহাট-চিতলমারী-টুঙ্গিপাড়া-ঢাকা মহাসড়কসহ অন্যান্য সড়কে ঝুঁকিপূর্ণভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার বাঁশ কেনাবেচা হচ্ছে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও যাত্রীদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। এ ছাড়া সড়কজুড়ে বাঁশ ওঠানো-নামানোয় যানজট হচ্ছে। ফলে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অফিসগামীদের যাতায়াত বিঘ্নিত হচ্ছে।মঙ্গলবার উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের দুর্গাপুর, ব্রহ্মগাতী ও সন্তোষপুর ইউনিয়নের দড়িউমাজুড়ি এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সড়ক ও তার আশপাশে অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা তাঁদের বাঁশ ছোট-বড় যানবাহনে ওঠানো-নামানোর কাজ করছেন। এতে সড়কে তৈরি হয়েছে যানজট।জানা যায়, চিতলমারীর সন্তোষপুর ও চরবানিয়ারী ইউনিয়নের সড়কের পাশে উপজেলায় রয়েছে প্রধান বাঁশের আড়তগুলো। চিতলমারী-খাসেরহাট-কালীগঞ্জ সড়কের দড়িউমাজুড়ি গ্রামের রাস্তায় রয়েছে অসংখ্য বাঁশের পসরা।এ ছাড়া খাসেরহাট, নালুয়া, কালীগঞ্জ বাজারেও বাঁশের আড়ত রয়েছে। আড়তগুলো থেকে ভ্যান, নছিমনে করে বাঁশ আনা-নেওয়ার সময় নানা দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায় ১০ কিলোমিটার পেরিয়ে উপজেলা দোলুয়াগুনি গ্রাম থেকে দুর্গাপুর গ্রামে বাঁশ কিনতে এসেছেন চাষি শংকর মণ্ডল ও উত্তম বালা। তাঁরা জানান, তাঁদের বাড়ির কাছে নালুয়া এলাকার আড়ত থেকে বাঁশ কিনতে গেলে অতিরিক্ত খাজনা দিতে হয়।তাই যাতায়াতের ঝুঁকি থাকলেও এখান থেকে ভালো দরে বাঁশ কিনেছেন। এখানে সব খাজনা আড়তদারের।এ বিষয়ে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস পাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।ভোরের আকাশ/আজাসা
টঙ্গীতে বাড়ি দখলে নিতে গিয়ে গাজীপুর মহানগর যুবলীগের নেতা মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল গ্রেপ্তার করে পুলিশ।তাঁর বিরুদ্ধে গাজীপুর ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার দুপুরে টঙ্গীর আরিচপুরে জমি ও বসতবাড়ি দখল করতে যান রুবেল ও তাঁর সমর্থকেরা। এ সময় সংঘর্ষ বাঁধে। তখন রুবেলকে একটি কক্ষে আটক ও তাঁর সমর্থকদের মারধর করা হচ্ছে—এমন তথ্য জানিয়ে জাতীয় জরুরি পরিষেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল জমি ও বাড়ি দখলের ঘটনাটির দায় স্বীকার করেন।এদিকে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত তিনজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।টঙ্গী পূর্ব থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম বলেন, গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় করা মামলায় তাঁকে (রুবেল) গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে বিকেল ৫ টার দিকে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তাঁকে হস্তান্তর করা হয়েছে।মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার অশোক কুমার পাল জানান, রুবেলকে আগামীকাল আদালতে পাঠানো হবে।ভোরের আকাশ/আজাসা
পিরোজপুর জেলা যুবদেলর নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে আনন্দ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১ জুলাই ) বিকালে নাজিরপুর উপজেলা যুবদলের উদ্যোগে এ আনন্দ মিছিল ও মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় কয়েক হাজার নেতাকর্মী ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড এবং বাদ্য বাজনাসহ অংশ নেয়।উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবদলের সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ লিলনের নেতৃত্ব এই আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত। আনন্দ মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের গেটে শেষ হয়।উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম রেজাউল করিম সভাপতিত্বে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মাজেদুল কবীর রাসেলের পরিচালনায় পথ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা যুবদলের আহবায়ক সরদার কামরুজ্জামান তুসার, যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ সরদার, সালমান জাকির, জুবায়ের হোসেন অনিক, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ লিলন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি মিজানুর রহমান শরীফ।উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ৫১ সদস্য বিশিষ্ট জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষনা করা হয়। যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।এতে কামরুজ্জামান তুষার আহ্বায়ক এবং এমদাদুল হক মাসুদকে সদস্য সচিব করা হয়। এ কমিটিতে দায়িত্ব দেওয়া হয়।ভোরের আকাশ/আজাসা