ছবি: ভোরের আকাশ
টাঙ্গাইলের মধুপুরে গোয়ালভিটা ইয়াং স্টার ক্লাব এর উদ্যোগে ফাইনাল ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে গোয়ালভিটা স্কুল মাঠে উপজেলার আলোকদিয়া ইউনিয়ন যুব দলের উদ্যােগে ফাইনাল খেলা আয়োজন করা হয়।
এ সময় খেলার মাঠের চার পাশে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে বৈকালিক মনোরম পরিবেশে খেলা দেখার জন্য উপচে পরা মানুষের আগমন যেন এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
মধুপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক হযরত আলী শেখ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব ফকির মাহবুব আনাম স্বপন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধুপুর উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন, আলোকলিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি রেজাউল করিম বাবুল, আলোদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক চাঁন মাহমুদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল হক, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব শামীম হোসেন, উপজেলা কৃষক দলের সাধারণত সম্পাদক আবু সাইদ, পৌর ছাত্র দলের আহ্বায়ক সঞ্চয় সিংহ পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব সাবিবর হাসান প্রমুখ।
ফাইনাল ফুটবল ম্যাচে আকাশী একাদশ, টিকরী একাদশকে ১ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। এ সময় উভয় দলকে ম্যাডেল ও ক্রেস্ট তুলে দেয়া হয়।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ১১ রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকালের দিকে তাদের আটক করা হয়।আটককৃতরা হলেন, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের রবিউল ইসলাম(২৪), রাজিয়া বেগম (২১), আড়াই বছরের শিশু নুর সাহিদা, শফিউল্লাহ(১৮), নুরনবী(১৫), বালুখালি ক্যাম্পের আমিনা বেগম (৩৫), আব্দুল আজিজ(১৫), রিফা খাতুন(৯), আবু(৭), সাফা(৬), কলাতলীর ইমান আলী @ ইসমাইল আজাদ(৪৮)।জানা গেছে, শুক্রবার সকালের দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট-কচাকাটাগামী রাস্তার মধ্যে তারা ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এ সময় সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল তাদের আটক করে।সূত্র জানায়, প্রায় আট বছর আগে তারা কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালি এবং কুতুপালং ক্যাম্প থেকে কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন। তারা ভারতের হায়দ্রাবাদের কাঞ্চনবাগ এলাকায় ছিলেন। তাদের পরিবারের অন্য সদস্যরা এখনো কক্সবাজারের ওই ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল হেলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবি ১১ জনকে থানায় নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ভোরের আকাশ/মো.আ.
আর মাত্র চার মাস পরই হতে যাচ্ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন ঘিরে দেশজুড়ে চলছে নির্বাচনী ঢামাডোল। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠাতব্য বহুল প্রতীক্ষিত ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থী যাচাই-বাছাইয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি। প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে ভোটের মাঠে জোটসহ তিনশ আসনের নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে বড় ধরনের চমক রয়েছে দলটির।তরুণ ভোটার আকর্ষণে অনেক আসনেই প্রাধান্য পাচ্ছে তরুণ প্রার্থী। তরুণদের এগিয়ে নিতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থীরা তারেক রহমানের বিশেষ নজর পেতে যোগাযোগ করছেন। তুলে ধরছেন বিগত দিনের রাজনৈতিক কর্মযজ্ঞ। এই দৌড়ে এগিয়ে আছেন সাবেক ছাত্রদল নেতা ইঞ্জিঃ আবু সাঈদ জনী। সংসদীয় আসন ২৭ কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেতে কাজ করছেন তরুণ নেতা আবু সাঈদ জনী।টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক ছাত্রনেতা ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পুরো সময়ে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষা জীবন শেষে ঢাকার রাজপথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-জেটেব এর ব্যানারে প্রায় ১ যুগের বেশী সময় আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।এমনকি জেটেব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি’র কাউন্সিলে দ্বিত্বীয় বারের মত সিনিয়র সহ সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকার কারণে কয়েকবার জেল জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হন। ২০১৪-এর পরবর্তী সময়ে হরতাল অবরোধে ছাত্রনেতা জনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে হরতাল অবরোধ পালিত হয়েছিল। সেই সময়ে যারা কারাগারে ছিলো তাদেরকে কারাগারে ও তাদের পরিবারকে অর্থনৈতিক সহায়তা করেছিলেন তিনি।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৭ কুড়িগ্রাম ৩ (উলিপুর) আসনের প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ড ও গ্রামের মানুষের জন্য কাজ করেছেন নিরলসভাবে। বিভিন্ন দুর্যোগ এর সময় বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সহায়তা, শীতকালে শীতবস্ত্র বিতরণ, হত দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ ও পূজায় উপহার প্রদান ধর্মীয় উপাসনালয় মসজিদ, মন্দির উন্নয়নে সহযোগিতা করেন। এই সহযোগিতা ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বনায়ন, অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ সামগ্রী বিতরণ সহ সামাজিক বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নেন জনি ।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১দফা নিয়ে ২৭ কুড়িগ্রাম ৩ (উলিপুর) আসনের মানুষদের দ্বারে-দ্বারে গেছেন জনি। মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন ৩১ দফা।দীর্ঘকয়েক বছর ধরে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করায় সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতা পান জনি। সাধারণ মানুষের মধ্য থেকেই দাবি উঠেছে আগামী নির্বাচনের ২৭ কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ইঞ্জিঃ আবু সাঈদ জনী যেন ধানের শীর্ষ প্রতীক পায়। সাধারণ মানুষের মনে ঠাঁই পাওয়া জাতীয়তাবাদী সৈনিক জনিকে স্বপ্ন দেখছেন তারা।এবিষয়ে জানতে চাইলে ইঞ্জিঃ আবু সাঈদ জনী ভোরের আকাশকে বলেন,আমি জাতীয়তাবাদের একজন সৈনিক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ১৯ দফাকে বুকে ধারণ করে ছাত্রজীবনেই বিএনপির রাজনীতি শুরু করি।গত ১৯৯৯ সাল ছাত্রদল দিয়ে রাজনীতির যাত্রা হয় আমার। রাজনীতির উত্থান-পতনে আমার ঠিকানা শুধু জিয়া পরিবার। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘ ১৭ বছর একটানা বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। জেল খেটেছি, রিমান্ডে গিয়েছি, গুমের হুমকি পেয়েছি, মামলা হামলার স্বীকার হয়েছি, এতে ব্যবসায়িকভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তবুও দলের কর্মসূচি কর্মকাণ্ড ও এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম সর্বক্ষণ।এখন এলাকার মানুষে চায় আমি যেন আগামী নির্বাচনে কুড়িগ্রাম ৩ (উলিপুর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন চাই। এই জনদাবি তো আমি উপেক্ষা করতে পারি না। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ধানের শীষের মনোনয়ন পাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আবু সাঈদ জনী বলেন, বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশিত কর্মসূচি ও রাজপথে সক্রিয় থেকে যে কাজ করেছি তার সঠিক মূল্যায়ন করলে আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে বিশ্বাস করি। আর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো বলেছেন, তরুণদের মূল্যায়ন করবেন। তাহলে আমি ধানের শীষ পাবো।ভোরের আকাশ/মো.আ.
সিলেটের বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে জানিয়েছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১। শনিবার (১৮ অক্টোবর) সিলেটের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।তারা জানায়, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প সিলেটের ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ শেখঘাট উপকেন্দ্রের বিকল্প সোর্স লাইন নির্মাণের উদ্দেশ্যে এই উপকেন্দ্রের আওতাধীন এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হবে না।বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামীকাল শনিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ১০টা পর্যনন্ত নগরীর লালদিঘীরপাড়, পুলিশ লাইন, ভাতালিয়া, পশ্চিম শেখঘাট, নবীন আ/এ, ভাঙ্গাটিকর, কুয়ারপাড়, ইঙ্গুলাল রোড, লামাবাজার, বিলপাড়, শেখঘাট সরকারী কলোনি, লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়ি, ওসমানী মেডিকেল রোড, কাজল শাহ, মুন্সিপাড়া, পুলিশ লাইন, দরগা মহল্লা, শাপলার গলি, মধুশহীদ, রিকাবীবাজার, উদ্যম আ/এ, নয়াপাড়া, ভাতালিয়া, দক্ষিণ কাজলশাহ, ইসকন মন্দির, সৌরভ আ/এ, নবাব রোড, বর্নমালা পয়েন্ট, মনিপুরি বস্তি, সাগরদিঘীরপাড়, সুরমা আ/এ, প্রেসক্লাব, মীরের ময়দান, কেওয়াপাড়া, ডিজিএফআই অফিস, এসএমপি ও আশপাশ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।ওই দিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৩৩/১১ কেভি আম্বরখানা উপকেন্দ্রের আওয়তাধীন ১১ কেভি এমসি কলেজ ফিডারের শাহমীর মসজিদ ও আব্দুল মতিন ট্রেডার্স সংলগ্ন এলাকায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়,উন্নয়ন কাজ শেষ হয়ে গেলে তাৎক্ষনিক বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। সাময়িক এ অসুবিধার জন্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের-১ এর প্রকৌশলী গ্রাহকদের দুঃখ প্রকাশ করে সবার সহযোগীতা চেয়েছেন।ভোরের আকাশ/মো.আ.
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় যাত্রীবাহী শান্তি পরিবহনের একটি বাসের চাকা ফেটে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ২ জন নিহত ও ৭ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সোয়া ১১টার দিকে ঢাকা-খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়কের মাটিরাঙ্গার সাপমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহতরা হলেন—দীঘিনালা কোবাখালী মুসলিমপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে আবদুর রাজ্জাক (৭২) ও চৌধুরীপাড়া এলাকার বিন্দু চাকমার ছেলে অনিল চাকমা।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে দীঘিনালা থেকে শান্তি পরিবহনের বাসটি আলুটিলা পাহাড় নামার সময় চাকা ফেটে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হয়। গুরুতর আহত হয়েছে ৭ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।খবর পেয়ে মাটিরাঙ্গা থানা পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনী উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করে।এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মাটিরাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।ভোরের আকাশ/মো.আ.