সংগৃহীত ছবি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সাপের ছোবলে স্বপ্না আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের খলিশা ডহুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত স্বপ্না আক্তার ওই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। স্বপ্নার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
স্বপ্নার শ্বাশুড়ি আসমানী বেগম জানান, সকালবেলা রান্না শেষে স্বপ্না ঘষি আনতে রান্নাঘরের পাশে রাখা মাচায় ওঠেন। ঘষি নিতে গিয়ে হঠাৎ একটি সাপ তাঁর হাতে ছোবল দেয়। ছোবল খেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করলে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাঁর হাতের কনুইয়ের ওপর দড়ি বেঁধে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।
বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রমজান আলী বলেন, “সকালেই মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পরে পরিবার মাচা থেকে সাপটি খুঁজে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তবে তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানায়নি।”
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
নিহত স্বপ্নার ছেলে সৌরভের বয়স ১২ বছর এবং মেয়ে সুমাইয়ার বয়স ১৪ বছর বলে জানা গেছে।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
গোপালগঞ্জে এনসিপির উপর ফ্যাসিস্ট ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের হামলা, অগ্নিসংযোগ ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী গাইবান্ধা শহর ও সদর উপজেলা শাখার উদ্যোগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।এর আগে দলীয় কার্যালয়ে জামায়াতে ইসলামী সদর উপজেলা শাখার আমীর মাওলানা নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমীর ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. আব্দুল করিম সরকার, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা মো. জহুরুল হক সরকার, সহকারি সেক্রেটারী সৈয়দ রোকনুজ্জামান ও ফয়সাল কবির রানা, শহর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ফেরদৌস আলম, জেলা সূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য সাইফুল ইসলাম মন্ডল, শহর সেক্রেটারী আবু হাসান নয়া মিয়া, সদর উপজেলা সেক্রেটারি প্রভাষক মো. ওবায়দুল ইসলাম, শিবিরের জেলা সভাপতি রুম্মান ফেরদৌস প্রমূখ।বক্তারা বলেন, যারা বিগত ১৭ বছর ফ্যাসিজম কায়েম করেছিল তারা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে এই দেশ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। কিন্তু বছর না যেতেই এই সন্ত্রাসী আওয়ামী সংগঠন কিভাবে অস্ত্র হাতে গোপালগঞ্জে হামলা চালিয়েছে তা উদ্বেগের। গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ঘিরে নেতাকর্মীদের উপর যে হামলা দেশের গণতন্ত্রের জন্য চরম হুমকি। তাই ফ্যাসিবাদী আগ্রাসনকে রুখে দিতে সকল রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হবার পাশাপাশি হামলায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।ভোরের আকাশ/জাআ
বরিশালে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় মাদক, সন্ত্রাস, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে অভিভাবক সমাবেশ, সেলাই মেশিন ও গাছের চারা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় উপজেলা প্রশাসন বাকেরগঞ্জ এর আয়োজনে উপজেলা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।শুরুতে জেলা প্রশাসক বাকেরগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন। পরে দুপুর ১২ টায় উপজেলা প্রশাসন বাকেরগঞ্জ এর আয়োজনে সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের হলরুমে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, ইভটিজিং, নারী ও শিশু নির্যাতন, বাল্যবিবাহ ও অন্যান্য সামাজিক অপরাধ প্রতিরোধে অভিভাবক সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।পরে উন্নয়ন সংস্থা সেইন্ট বাংলাদেশ এর আয়োজনে সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জোরে পরা এবং বাল্যবিবাহে ঝুকিতে থাকা ১০ জন শিক্ষার্থীদের পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন ও সেলাই কাজের জন্য বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন।পাশাপাশি উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের মাঝে জরুরী স্বাস্থ্য সেবা বক্স বিতরণ করা হয়। একই সময় পূবালী ব্যাংক এর আয়োজনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে ফজল বৃক্ষের চারাগাছ বিতরণ করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বাকেরগঞ্জ রুমানা আফরোজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাকেরগঞ্জ তন্ময় হালদার, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাকেরগঞ্জ আবুল কালাম আজাদ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাকেরগঞ্জ খন্দকার আমিনুল ইসলাম, সেইন্ট বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর কবিরসহ সুমতিবালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বৃন্দরা।এর পূবে পৌরসভা, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনসহ বৃক্ষ রোপণ এবং উপজেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধি, এনজিও ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভা করেন জেলা প্রশাসক বরিশাল মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।ভোরের আকাশ/জাআ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ ঘটনায় আহত এক ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু হয়।মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।নিহত ছাত্রদল কর্মী হলেন- মঠবাড়িয়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিন (২৩)।জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে মঠবাড়িয়া পৌর শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নিউ মার্কেট প্রিন্স হোটেলের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রদল কর্মী একটি মুঠোফোনের মালিকানা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রদল কর্মী রনি (২০), ফাহাদ (১৮), তানজিল (১৮) সহ ৬ থেকে ৭ জন মিলে অপর কর্মী মঠবাড়িয়া পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. হুমায়ুনের ছেলে শামীম (২৩) এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. মহারাজের ছেলে মো. মুবিন (২৩) কে এলোপাতারি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ দুপুরে মুবিনের মৃত্যু হয়।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় ছাত্রদল কর্মী মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধার সমর্থক।তবে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শামীম মিয়া মৃধা বলেন, উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রুহুল আমিন দুলাল এর লোক নাজাত এই আক্রমণ করেছে এবং নাজাতই এদের জখম করেছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছে আরেকজন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি জড়িতদের বিচার চাই।এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/জাআ
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গ্রামের মসজিদে এশার নামাজ আদায়কালে বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের পূর্ব চরগাঁও গ্রামের জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে।নিহত মজিবুর রহমান (৬৫) পূর্ব চরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এবং কামরু মুন্সির ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বড় ভাই লুৎফুর রহমানকে (৭৫) আজ বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লুৎফুর রহমান ও মজিবুর রহমান আপন দুই ভাই। দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার বিকেলে বাড়ির পাশের রাস্তা নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে রাতে এশার নামাজ চালাকালানী পূর্ব চরগাঁও জামে মসজিদের ভেতরে নামাজরত অবস্থায় ছোট ভাই মজিবুরকে বাঁশের গোড়া দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন বড় ভাই লুৎফুর।স্থানীয় মুসল্লিরা গুরুতর আহত অবস্থায় মজিবুরকে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান বলেন, জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ থেকেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এশার নামাজের সময় মসজিদের ভেতরেই ছোট ভাইকে আঘাত করেন বড় ভাই। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।ভোরের আকাশ/জাআ