সংগৃহীত ছবি
জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী ফরেন রেমিট্যান্স সেবা মাস শুরু করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি.।
বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ভার্চুয়ালি রেমিট্যান্স সেবা মাসের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উক্ত সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মরতুজা, মো. নজরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম এবং প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রবাসীরা যেন ঘরে বসেই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন এ ধনের সুবিধা চালু করার জন্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়ারও আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, এ সুবিধার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীরা জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ দিরহাম বিনা মাসুলে দেশে পাঠাতে পারবেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
তৈরি পোশাক খাতে ব্যবহৃত তুলাসহ একাধিক কাঁচামালে উৎসে কর (ট্যাক্স অ্যাট সোর্স) তুলে নিয়েছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রজ্ঞাপনটি স্বাক্ষর করেন এনবিআরের করনীতি সদস্য এ কে এম বদিউল আলম।প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এবং উৎসে কর বিধিমালা ২০২৪ এর সংশ্লিষ্ট বিধির আওতায় আমদানিকৃত নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর উৎসে কর হার শূন্য শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এসব পণ্যে এখন আর আগাম আয়কর (এআইটি) প্রযোজ্য হবে না।করমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্ত পণ্যের তালিকায় রয়েছে বাছাইকৃত ও আঁচড়ানো তুলা, সিনথেটিক স্ট্যাপল ফাইবার, অ্যাক্রেলিক ও আর্টিফিশিয়াল স্ট্যাপল ফাইবারসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে তুলা আমদানিতে দুই শতাংশ এআইটি আরোপ করে এনবিআর, যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল।বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)-এর তথ্যমতে, দেশে ১,৮৫৮টি সুতাকল, উইভিং, ডাইং, প্রিন্টিং ও ফিনিশিং কারখানা রয়েছে এবং এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত সুতা ও কাপড়ের প্রায় ৭০ শতাংশই আসে স্থানীয় বস্ত্র খাত থেকে।নতুন এই সিদ্ধান্তে দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁদের মতে, আগাম কর আরোপের কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছিল। কর প্রত্যাহার কার্যকর হলে টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিলগুলোর মূলধনের ওপর চাপ কমবে এবং তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে।এনভয় টেক্সটাইলসের প্রতিষ্ঠাতা কুতুবউদ্দিন আহমেদ বিষয়টিকে সময়োপযোগী পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এটি শিল্পকে আরও প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। একই ধরনের অভিমত দিয়েছেন এসএমএসি অ্যাডভাইজরি সার্ভিসেস লিমিটেডের পরিচালক স্নেহাশীষ বড়ুয়া। তিনি বলেন, এটি শুধুমাত্র একটি কর ছাড় নয়, বরং একটি কৌশলগত পদক্ষেপ—যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে এবং টেকসই শিল্প গড়ে তুলতে সহায়ক হবে।উল্লেখযোগ্য যে, প্রজ্ঞাপনে ৫২০১ থেকে ৫৫০৭ পর্যন্ত এইচএস কোডসমূহকে ছাড়ের আওতায় আনা হয়েছে। এসব কোডের অধীনে থাকা তুলা ও সিনথেটিক ফাইবার গার্মেন্টস শিল্পে স্পিনিং কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এনবিআরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।বিটিএমএ দীর্ঘদিন ধরেই এই কর অব্যাহতির দাবি জানিয়ে আসছিল। তাদের বক্তব্য, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো কর অব্যাহতির আওতায় থাকায় আগাম করের কারণে ইনপুট ও প্রকৃত আয়ের মধ্যে বৈষম্য তৈরি হচ্ছিল। নতুন সিদ্ধান্তে এই অসামঞ্জস্য অনেকটাই দূর হবে বলে মনে করছে খাত সংশ্লিষ্ট মহল। ভোরের আকাশ/হ.র
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১৬ দিনেই দেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৪২ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার ১৯৪ কোটি ১০ লাখ (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ধরে)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এই সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।২০২৪ সালের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসেবে এবার এসেছে প্রায় ১০ কোটি ২০ লাখ ডলার বা এক হাজার ২৩৪ কোটি টাকা বেশি। এর আগে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুন মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় ২৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার, যা দিনে গড়ে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের মতো। এটি ছিল ওই অর্থবছরের একক মাসের হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স প্রবাহ। আর মে মাসে এসেছিল ২৯৭ কোটি ডলার, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মার্চ মাসে—৩২৯ কোটি ডলার। ২০২৪-২৫ অর্থবছরজুড়ে (জুলাই-জুন) দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের বছর একই সময়ে রেমিট্যান্স ছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ফলে বছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে প্রায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ। মাসভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ওই অর্থবছরে জুলাইয়ে এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং সর্বশেষ জুনে এসেছে ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি অর্থবছরেও রেমিট্যান্স প্রবাহ নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ভোরের আকাশ/হ.র
জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী ফরেন রেমিট্যান্স সেবা মাস শুরু করেছে জনতা ব্যাংক পিএলসি.।বুধবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর ভার্চুয়ালি রেমিট্যান্স সেবা মাসের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।উক্ত সভায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহ. ফজলুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মজিবর রহমান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মরতুজা, মো. নজরুল ইসলাম, আশরাফুল আলম এবং প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপকবৃন্দসহ ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।এ সময় গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর প্রবাসীরা যেন ঘরে বসেই মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন এ ধনের সুবিধা চালু করার জন্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে প্রবাসীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। রেমিটেন্স প্রেরণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেয়ারও আহ্বান জানান।প্রসঙ্গত, এ সুবিধার আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবস্থানরত প্রবাসীরা জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০০ দিরহাম বিনা মাসুলে দেশে পাঠাতে পারবেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তিনি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।এর আগে গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহম্মদ তাকে ডেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান হওয়ার পর সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সম্প্রতি এক মাসের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিকভাবে না জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফরও করেছেন তিনি।এর পরিপ্রেক্ষিতে, গত ১৫ জুলাই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। গত ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ অভিযানে যায় সংস্থাটি। বিএফআইইউর বিশেষ অভিযানে গত আগস্টের পর ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইসলামী ব্যাংক থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নেয়া হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে। নতুন বোর্ডে চেয়ারম্যান করা হয় ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে, যিনি বিগত সরকারের আমলে সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ