সংগৃহীত ছবি
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে শুনানিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত।
এর আগে ২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে (বর্তমানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
রাজধানীর পুরান ঢাকায় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার পৃথক তিনটি মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।এর আগে গত ৯ জুলাই রাজধানীর মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে কুপিয়ে, পিটিয়ে ও পাথর দিয়ে থেঁতলে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার বড় বোন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।আর এই ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন তিন আসামি। আসামিরা হলেন- টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।এ মামলায় গ্রেপ্তাররা হলেন মাহমুদুল হাসান মহিন, টিটন গাজী, মো. আলমগীর, মনির ওরফে লম্বা মনির, তারেক রহমান রবিন, সজীব ব্যাপারী, মো. রাজিব ব্যাপারী, নান্নু কাজী, রিজওয়ান উদ্দীন ওরফে অভিজিৎ বসু। ভোরের আকাশ/জাআ
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত মুলতবি করেছে আপিল বিভাগ।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে শুনানিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত।এর আগে ২০১৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন ও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়।২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে (বর্তমানে শহীদ আবরার ফাহাদ অ্যাভিনিউ) তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার সিআইডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। গোলাম দস্তগীর গাজী সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী। তিনি নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ) ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সিআইডির অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ৮ জুলাই এই ক্রোকাদেশ দেন বলে জানায় সংস্থাটি।সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোলাম দস্তগীর গাজী জোরপূর্বক জমি দখল, কমিশন গ্রহণ, জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা, হুন্ডি, আন্ডার ইনভয়েস-ওভার ইনভয়েস ও সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ায় তার এই সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।সিআইডি জানিয়েছে, ৪ হাজার ৮৮০ শতাংশ জমি ক্রোক করা হয়েছে। এর দলিল মূল্য ১৬ কোটি ৫২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। জমির ওপর থাকা গাজী টায়ার প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ক্রোক করা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ৪০০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে।সিআইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংস্থার অনুসন্ধানকালে জানা যায়, ক্রোক করা সম্পত্তি ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে অর্জন করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। বিদেশে অর্থ পাচারসংক্রান্ত অনুসন্ধানও চলছে।এর আগে গত ৮ জুলাই সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত এই সম্পত্তি জব্দের আদেশ দেন। টিবিএস ওই আবেদনের কপি ও আদালতের আদেশপত্র দেখেছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে পদ শূন্য হওয়া দেশের সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন দেওয়ার দাবিতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ হাতে পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে অবগত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব ও নির্বাচন কমিশনার সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।জনস্বার্থে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফ উজ জামান এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবী নিজে।এর আগে, গত ৫ আগস্ট তৎকালীন সরকার পতনের পর গত বছরের ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট ৪৯৩টি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে তাঁদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পরে ১১ মাসের বেশি সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট (স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়) নির্বাচনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তাই এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর বিষয়ে আইনজীবী জানান, বর্তমানে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান না থাকায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা পরিষদের স্থানীয় জনগণ নানাবিধ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। উপজেলা উন্নয়ন কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১১ মাস চলে গেলেও নির্বাচনের বিষয়ে কোন সাড়া শব্দ নেই।আইনজীবী জানান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের বিষয়ে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে আগামী ৫ দিনের মধ্যে না জানালে নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করা হবে।কোটা নিয়ে জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের অধিকাংশই আত্মগোপনে চলে গেছেন। জেলা ও উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার প্রায় সব শীর্ষ পদই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের দখলে ছিল। এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছিল। পরে বিকল্প ব্যবস্থা করে সরকার। যেমন উপজেলা চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকলে দায়িত্ব পালন করবেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এখন অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইন সংশোধন করে মেয়র-চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের সুযোগ তৈরি করছে সরকার।দেশের সব (৪৯৩টি) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা হয়েছে গত ১৮ আগস্ট। তাঁদের জায়গায় সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওইদিন এ বিষয়ে পৃথক আদেশ জারি করেছিল স্থানীয় সরকার বিভাগ।ভোরের আকাশ/জাআ