সংগৃহীত ছবি
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক, রেল ও নৌপথের সমন্বয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ৩০/৩৫ শতাংশের বেশি যাত্রী ও পণ্য রেলপথে পরিবহন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ২ শতাংশ পণ্য রেলপথে পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। রেলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের এ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য সড়ক, নৌ ও রেল যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী রেলপথের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: আফজাল হোসেনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ভোরের আকাশ/জাআ
সংশ্লিষ্ট
জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ ও দৃশ্যমান রাখতে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বৈঠকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক ও ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া উপস্থিত ছিলেন।এ ছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ তৈরির কাজ সম্পন্ন করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে বলে কমিশন সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানান।ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তাদের অনন্য ভূমিকা ও প্রচেষ্টার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের প্রতিটি বৈঠক টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ায় সকলেই এই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাগুলো দেখতে পাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের মানুষ ব্যাপকভাবে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এটা একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। কাজেই পুরো প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতার সাথে সম্পন্ন করতে হবে, মানুষের কাছে এভাবেই দৃশ্যমান থাকতে হবে।রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের সংলাপে আটটি বিষয়ে আলোচনার পর ঐকমত্য হয়েছে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেছেন অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ।এছাড়া আরও সাতটি বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে আলোচনা চলমান আছে বলেও জানান তিনি।ভোরের আকাশ/জাআ
সাত দিনব্যাপী নৌ পুলিশের চলমান বিভিন্ন অভিযানে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ ঘোষিত অবৈধ জাল, মাছ ও মাছের পোনা উদ্ধারসহ আটক ৩৪২ জনকে আটক করা হয়েছে।দেশের মৎস্য সম্পদ রক্ষা ও নৌ পথে নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে নৌ পুলিশ দেশব্যাপী বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করছে। সাত দিনব্যাপী নৌ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে মোট ২ কোটি ঊননব্বই লক্ষ একাত্তর হাজার দুইশত মিটার অবৈধ জাল, ২ হাজার পাঁচশত তেইশ কেজি মাছ, ১৪ হাজার পিস রেনু পোনা, ৮০ কেজি জেলীযুক্ত চিংড়ি জব্দ করা হয় এবং নদী থেকে ৩ শ চারটি ঝোপঝাড় ধ্বংস করা হয়।নৌ পুলিশের এই অভিযানে বৈধ কাগজপত্র না পাওয়ায় ১ পঁয়ত্রিশটি বাল্কহেডের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে প্রসিকিউশন দায়ের করা হয় এবং ৫টি ড্রেজার জব্দ করা হয়।৭ দিনব্যাপী এই অভিযানে ৩৪২ জন আসামী গ্রেফতার করা হয় এবং ৫৬টি মৎস্য, ১টি চুরি, ২২টি বেপরোয়া গতি, ৭টি অপমৃত্যু, ২টি বালুমহাল, ১টি হত্যা এবং ১টি বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাসহ মোট ৯০টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ১৪টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।উল্লেখ্য, জব্দকৃত অবৈধ জাল ধ্বংস করা হয়েছে। মাছ এতিমখানায় বিতরণ এবং মাছের রেনু পোনা পানিতে অবমুক্ত করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক, রেল ও নৌপথের সমন্বয়ে একটি দীর্ঘমেয়াদী ও সমন্বিত পরিকল্পনা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রতিমন্ত্রী মর্যাদায় দায়িত্বপ্রাপ্ত মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. শেখ মইনউদ্দিন।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর রেলভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশে ৩০/৩৫ শতাংশের বেশি যাত্রী ও পণ্য রেলপথে পরিবহন করা হয়। সেখানে বাংলাদেশে মাত্র ২ শতাংশ পণ্য রেলপথে পরিবহনের সুযোগ রয়েছে। রেলপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের এ সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য সড়ক, নৌ ও রেল যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে এবং সে অনুযায়ী রেলপথের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দক্ষতা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার জন্য তিনি আহ্বান জানান।রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ফাহিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো: আফজাল হোসেনসহ রেলপথ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ রেলওয়ে, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) ও বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।ভোরের আকাশ/জাআ
ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে উপদেষ্টা পরিষদ। এর মাধ্যমে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত ভোটার হওয়ার সুযোগ পাবেন যোগ্য নাগরিকরা। বর্তমানে প্রতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে যাদের বয়স ১৮ বছর হয় তারা পরবর্তী জানুয়ারি মাসে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) উপদেষ্টা পরিষদে খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমদ।ফয়েজ আহম্মদ বলেন, ‘ভোটার তালিকা সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর খসড়ায় উপদেষ্টা পরিষদ চূড়ান্ত ও নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। এতে করে বিদ্যমান যে ব্যবস্থা, তাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যেসব ব্যক্তি ভোটার হওয়ার উপযোগী- যারা শুধুমাত্র ওই বছরের (ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার আগের) ডিসেম্বরের মধ্যে বয়স ১৮ বছর হয়, পরের বছরের জানুয়ারিতে এসে যেই হালনাগাদ হয়, সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। প্রতি বছর ২ জানুয়ারি এ খসড়া তালিকা নির্বাচন কমিশন প্রকাশ করে এবং ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।তাহলে দেখা যায়, পরবর্তী সময়ে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেটি অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে যেসব নাগরিক ১৮ বছর বয়সে পৌঁছান, তারা ওই ভোটে ভোট দিতে পারেন না। তারা এ তালিকা থেকে বাদ পড়ে যান। তাদেরকে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য আবার অপেক্ষা করতে হয়। এই বাস্তবতায় নির্বাচন কমিশন মনে করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রস্তুত রাখতে হয়, সেক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণার আগে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে যারা ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তাদেরকে ভোটার তালিকায় নিয়ে আসা।উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ধরুন একটি নির্বাচন হবে। তার দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। ফেব্রুয়ারিতে যদি নির্বাচন হয় সর্বোচ্চ নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তার মানে নভেম্বর পর্যন্ত যেসব নাগরিক ভোটার হওয়ার উপযোগী হন, তারা ভোট দেওয়ার সুযোগ পান না। বরং তার আগের বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা ১৮ বছর হয়েছেন, শুধুমাত্র তারা সুযোগ পান।আজকে যে অধ্যাদেশ অনুমোদন হয়েছে, এর ফলে ডিসেম্বরে যদি ভোট হয় যখন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হবে, তার অন্তত এক মাস আগ পর্যন্ত যেসব ব্যক্তি ১৮ বছর হবেন, ভোটার হওয়ার জন্য যোগ্য হবেন, তারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবেন।ভোরের আকাশ/এসএইচ