চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ আগস্ট ২০২৫ ১০:০১ পিএম
ছবি: ভোরের আকাশ
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রভাষক মো. রেজাউল করিম খন্দকারের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দক্ষিণ চর আইচা এলাকার ভূমিহীন পরিবারগুলো।
রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে চরফ্যাশনের একটি স্থানীয় পত্রিকা কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভূমিহীনদের পক্ষ থেকে মো. আবু তাহের মাস্টার।
বক্তব্যে তিনি বলেন, “সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় এবং ‘নব্য বিএনপি’ নামের একটি ফেসবুক ফেক আইডি থেকে প্রভাষক রেজাউল করিম খন্দকার সমিতির জমি দখল করেছেন—এমন ভুয়া ও বানোয়াট সংবাদ ছড়ানো হয়েছে। এসব সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
তিনি আরও জানান, দক্ষিণ চর আইচা মৌজার ৩৬৫টি ভূমিহীন পরিবার ১৯৯৯ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ‘ভূমি বন্দোবস্ত নীতিমালা-৯৭’ অনুযায়ী যৌথ নামে দেড় একর করে জমি বন্দোবস্ত পান। ডিসিআর, রেজিস্ট্রি, কবুলিয়াত ও খতিয়ান পাওয়ার পর নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে সরকারিভাবে জমির ভোগদখল বুঝে নেন তারা। সর্বশেষ বিডিএস জরিপেও এসব জমি ভূমিহীনদের নামে অন্তর্ভুক্ত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সম্প্রতি লালমোহন উপজেলার বজলুল রহমান ও চর আইচা গ্রামের ফারুক আখন জাল কাগজপত্র তৈরি করে ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। ভূমিহীনরা বাধা দিলে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম খন্দকারকে জানানো হলে তিনি উভয় পক্ষের কাগজপত্র যাচাই করে বজলুল ও ফারুককে ওই জমিতে চাষাবাদে বাধা না দিতে বলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়।
ভূমিহীনদের দাবি, চর আইচা মৌজায় রেজাউল করিম খন্দকারের কোনো বন্দোবস্তকৃত জমি নেই। তাই তার নামে প্রকাশিত অপপ্রচার বন্ধ করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভূমিহীন মোস্তাক শেখ, মাওলানা নাসির, সেলিম, মোস্তাফিজ, মাকসুদ, আক্তার হোসেনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে লালমোহনের বজলুল রহমান ও ফারুক আখনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা সাড়া দেননি।
ভোরের আকাশ/জাআ