সংগৃহীত ছবি
গোপালগঞ্জে পুলিশ কর্তৃক হত্যার পর গাড়িতে উঠানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দৃশ্য শেয়ার করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করা দৃশ্যটির ফ্যাক্টচেক করেছে রিউমর স্ক্যানার। বুধবার (১৬ জুলাই) এ দৃশ্যটির ফ্যাক্টচেক প্রকাশ করা হয়।
রিউমর স্ক্যানার জানায়, ছিনতাইয়ের অভিযোগে জনতা ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় পুলিশের কাছে হস্তান্তরের একটি পুরোনো ভিডিও শেয়ার করেছেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। এ ঘটনাকে তিনি গোপালগঞ্জের দাবিতে প্রচার করেছেন। তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্যাটল ক্লাব নামের একটি পেজে জয়ের শেয়ার করা ভিডিওটি গত ৪ জুন প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ভাদুঘর বাস স্ট্যান্ড গরুর বাজারে এক ছিনতাইকারীকে ধরে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জ পদযাত্রা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির সমাবেশ শেষে ফিরে যাওয়ার সময় সড়ক অবরোধ করে কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের গাড়িবহরে হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় সাপের ছোবলে স্বপ্না আক্তার (৩২) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের খলিশা ডহুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।নিহত স্বপ্না আক্তার ওই গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী। স্বপ্নার মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।স্বপ্নার শ্বাশুড়ি আসমানী বেগম জানান, সকালবেলা রান্না শেষে স্বপ্না ঘষি আনতে রান্নাঘরের পাশে রাখা মাচায় ওঠেন। ঘষি নিতে গিয়ে হঠাৎ একটি সাপ তাঁর হাতে ছোবল দেয়। ছোবল খেয়ে তিনি চিৎকার শুরু করলে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে তাঁর হাতের কনুইয়ের ওপর দড়ি বেঁধে দ্রুত মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়।বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রমজান আলী বলেন, “সকালেই মৃত্যুর খবর পেয়েছি। পরে পরিবার মাচা থেকে সাপটি খুঁজে পিটিয়ে মেরে ফেলে। তবে তাঁরা পুলিশকে বিষয়টি জানায়নি।”সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুল ইসলাম বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”নিহত স্বপ্নার ছেলে সৌরভের বয়স ১২ বছর এবং মেয়ে সুমাইয়ার বয়স ১৪ বছর বলে জানা গেছে।ভোরের আকাশ/জাআ
কাপাসিয়ায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিশাল হলরুমে প্রায় এক হাজার মহিলা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কাপাসিয়া উপজেলা মহিলা বিভাগের কর্মী সম্মেলন- ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯ টায় কাপাসিয়া উপজেলার অত্যাধুনিক মডিউল কনভেনশন সেন্টারে উপজেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।জামায়াতে ইসলামীর কাপাসিয়া উপজেলা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি আফিফা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিভাগের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য, বিদেশ বিভাগীয় সেক্রেটারি ও ঢাকা উত্তর অঞ্চল তদারককারী খোন্দকার আয়েশা খাতুন।সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও গাজীপুর -৪ (কাপাসিয়া) সংসদীয় আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদ প্রার্থী অধ্যক্ষ সালাউদ্দিন আইউবী।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের ইসলামীর মহিলা বিভাগের ঢাকা উত্তর অঞ্চলের পরিচালক নাজমুন নাহার নাজমা, গাজীপুর জেলা মহিলা বিভাগের সেক্রেটারি নাছরিন আকবর, গাজীপুর জেলা কর্ম পরিষদ সদস্য ও তালিমুল কোরআনে ফাউন্ডেশনের প্যানেল উস্তাদ সোহানা হক।প্রধান অতিথির বক্তব্যে খোন্দকার আয়েশা খাতুন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারী অধিকার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। সমাজের সর্বস্তরে নারীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে দেশের অগ্রগতিতে নারীরা এগিয়ে থাকবে ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্বাচন। এ নির্বাচনে নারী ভোটারদের সমর্থন যে কোন প্রার্থীকে বিজয়ের ক্ষেত্রে এগিয়ে থাকবে। নির্ধারিত হবে দেশ এগিয়ে যাবে নাকি আবার সেই ফ্যাসিবাদের কবলে পড়বে। সুতরাং নারী-পুরুষ সবাইকে ইসলামের পক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ঘরে ঘরে ফ্যাসিবাদ, সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজ বিরোধী ম্যাসেজ পৌঁছে দিয়ে নারী সমাজকে সচেতন করে তুলতে হবে। নারীরাই আগামী দিনের বাংলাদেশের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সালাউদ্দিন আইউবী বলেন, কাপাসিয়া বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা। কাপাসিয়াকে সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে হলে কাপাসিয়ার সকল ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।তিনি বলেন, কাপাসিয়া আজ মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজের নগরীতে পরিণত হয়েছে। কাপাসিয়াকে রক্ষা করতে হলে সবাইকে সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। কাপাসিয়ার নারী সমাজ অত্যন্ত সচেতন, শিক্ষিত এবং পরিশ্রমী। আগামী নির্বাচনে নারীদের বলিষ্ঠ ভূমিকার মাধ্যমে দেশপ্রেমিক, দুর্নীতিমুক্ত এবং দক্ষ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে হবে। নারীদেরকে প্রতিটি ঘরে ঘরে আদর্শের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। দরিদ্র, বঞ্চিত আর লাঞ্ছিত জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় তাদের অধিকার পৌঁছে দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। প্রতিটি ঘরে দাঁড়িপাল্লাহ মার্কার ম্যাসেজ পৌঁছে দিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। সকলকে সাথে নিয়ে আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লাহকে বিজয়ী করতে হবে ইনশাআল্লাহ । গাজীপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা শেফাউল হক ও কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা ফরহাদ হোসেন মোল্লা সম্মেলন শেষে জানান, দীর্ঘদিন পর এমন একটি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার মহিলা কর্মী সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করেব। কাপাসিয়া উপজেলার ১১ ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার মহিলা জামায়াত কর্মী ও সমর্থক এতে অংশ গ্রহণ করে সম্মেলনকে সফল করেছেন। কাপাসিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামী মহিলা বিভাগের কর্মী সম্মেলন বাস্তবায়নে পৃষ্ঠপোষকতা করেন। এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কাপাসিয়ায় মহিলা অঙ্গনে জামায়াতে ইসলামীর কর্মতৎপরতা আরো বেশি বেগবান ও শক্তিশালী হবে বলে জামায়াত নেতৃবৃন্দ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।ভোরের আকাশ/জাআ
দেশজুড়ে অবনতি ঘটছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন গুপ্ত সংগঠনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে মব সৃষ্টির অপচেষ্টার প্রতিবাদে পিরোজপুর জেলা যুবদলের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ১১টায় জেলা স্টেডিয়াম চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।মিছিলে বিপুল সংখ্যক যুবদল নেতাকর্মী ছাড়াও ছাত্রসমাজ এবং বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, সদস্য সচিব গাজী ওয়াহিদুজ্জামান লাভলু, জেলা যুবদলের আহবায়ক কামরুজ্জামান তুষার, সদস্য সচিব এমদাদুল হক মাসুদ, ১নং যুগ্ম আহবায়ক রিয়াজ সরদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এ সময় বক্তারা বলেন, দেশের শিক্ষাঙ্গন ও যুব সমাজকে বিপথগামী করার জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। কিছু গুপ্ত সংগঠনের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করে দেশকে অস্থির করার অপচেষ্টা চলছে।তারা আরও বলেন, এই ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় পিরোজপুর জেলা যুবদলসহ সারাদেশের জেলা, উপজেলা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ইউনিটসমূহ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।সমাবেশ শেষে নেতারা দাবি করেন, দেশকে অস্থিতিশীল করার সকল অপচেষ্টার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে রাজপথে গণতান্ত্রিক আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।ভোরের আকাশ/জাআ
কক্সবাজার সমুদ্র তীরে ভাঙনরোধে নেই উদ্যোগভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলছে। পাউবোর দেওয়া বালুর বাঁধের কারণে সৈকতের ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে। সৈকতের একদিকে বালুর বাঁধ দিলে, অন্যদিকে দ্রুতই ভাঙন দেখা দিচ্ছে। তা ছাড়া জিওব্যাগ ভর্তি ওই সব বালুর বাঁধও টেকসই হচ্ছে নাস্থানীয়রা জানান, সমুদ্র সৈকতে ভাঙন একটি গুরুতর সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। যা পর্যটন এবং পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে৷ জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, উন্নয়ন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইত্যাদি কারণে দিনদিন ভাঙন তীব্রতর হচ্ছে। সমুদ্রে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সৈকতে অপরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরি ও বাঁধ নির্মাণের ফলে ভাঙন ত্বরান্বিত হচ্ছে। ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।গেল একদশক ধরে কক্সবাজার সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে একাধিক ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে জিও ব্যাগ স্থাপন করলেও তা কাজেই আসছে না। নতুন করে শুরু হওয়া ভাঙনে উজাড় হচ্ছে ঝাউগাছ।সৈকতের লাবণি বিচ, নাজিরারটেক থেকে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বিভিন্ন অংশে নতুন করে দেখা দিয়েছে এই ভাঙন। উত্তাল সমুদ্রে ঢেউ ও জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক সপ্তাহে ভেঙে পড়েছে কয়েক হাজার ঝাউগাছ।কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, গত ৫০-৬০ বছরে বালিয়াড়িতে এমন ভাঙনের নজির নেই। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অপরিকল্পিত বালুভর্তি জিওব্যাগের বাঁধের কারণে সৈকতের আরও অংশ ভেঙে যাচ্ছে। সমুদ্রের ঢেউ ও স্রোতধারা স্বাভাবিক নিয়মে চলে, বাধার সৃষ্টি হলে চালায় তাণ্ডব।সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট উচ্চতায় বেড়ে তীরে আছড়ে পড়ছে। প্রচণ্ড ঢেউয়ে জিও ব্যাগগুলোর অধিকাংশই ছিঁড়ে গেছে। জিও ব্যাগ ছাড়িয়ে একে একে উপড়ে পড়ছে ঝাউগাছ।পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ভাঙন রোধে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে লাবণি পয়েন্ট পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে প্রতিরক্ষা বাঁধ তৈরি করা হবে। এ প্রকল্প হলে ভাঙন রোধের পাশাপাশি ঝাউবন ও বালিয়াড়ি রক্ষা পাবে।বন বিভাগের তথ্যমতে, গেলো এক মাসে বড় আকারে প্রায় আড়াই'শ এবং কয়েক হাজার ছোট ঝাউ চারা উপড়ে গেছে। যা সমুদ্রের পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্যে বিপদজনক।সৈকতের ভাঙন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট কক্সবাজারের সামুদ্রিক মৎস্য ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বালুর বাঁধ দিয়ে সমুদ্র শাসন কিংবা ভাঙন রোধ করা মোটেও সম্ভব নয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সমুদ্রের পানির উচ্চতা দিন দিন বাড়ছে। বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগও। ভাঙন রোধে দ্রুত সিদ্ধান্ত না নিলে ভবিষ্যতে এ ভাঙন আরও তীব্র হতে পারে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভাঙন বেশি হচ্ছে।উল্লেখ্য, ১৯৬১-৬২ সালে সৈকতের নাজিরারটেক থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত ১২ হেক্টর বালিয়াড়িতে প্রথম ঝাউগাছের চারা রোপণ করে বনবিভাগ। এরপর ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ঝাউ বাগানের আয়তন বাড়ানো হয়। ১৯৭২-৭৩ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক হাসপাতাল, লাবণী, কলাতলী, উখিয়ার ইনানী, সোনারপাড়া, টেকনাফের বাহারছড়া, মহেশখালীয়াপাড়া, সাবরাং উপকূলের প্রায় ৫০০ হেক্টর বালিয়াড়িতে সাড়ে ১২ লাখ ঝাউগাছের চারা রোপণ করা হয়। গত ১০ বছরে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়েছে অন্তত ৭ লাখের বেশি ঝাউগাছ।ভোরের আকাশ/জাআ