গণঅভ্যুত্থানে শহীদ
দাগনভূঞা (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ আগস্ট ২০২৫ ০৮:৫০ এএম
ছবি : ভোরের আকাশ
ফেনীর সদর উপজেলায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ওয়াকিল উদ্দিন শিহাবের কবর জিয়ারত ও দোয়া পরিচালনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের উত্তর কাশিমপুর গ্রামে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণঅভ্যুত্থান দিবস স্মরণে শহীদ শিহাবের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যান ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমানসহ সরকারি কর্মকর্তারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মোনাজাতের জন্য পূর্বনির্ধারিত স্থানীয় মসজিদের ইমামকে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান সেখানে উপস্থিত হন। তখন পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির জাহাঙ্গীর আলম তাকে দোয়া পরিচালনার জন্য আহ্বান জানান। এই প্রস্তাবে তাৎক্ষণিক আপত্তি জানান পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরনবী মেম্বার। তার আপত্তির কারণে উভয় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়, যা এক পর্যায়ে হট্টগোলে রূপ নেয়।
পরবর্তীতে প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরনবী মেম্বার বলেন, "শহীদ শিহাব আমার আত্মীয় এবং আমি এই এলাকার পাঁচবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকেই দোয়া অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল এবং আমি স্থানীয় ইমামকে দায়িত্ব দিয়েছিলাম।"
তিনি বলেন, "পূর্বনির্ধারিত ইমামকে উপেক্ষা করে জামায়াত আমিরকে দিয়ে দোয়া করানোর চেষ্টার প্রতিবাদ করেছি আমি। এতেই বাকবিতণ্ডা হয়। জামায়াতের আমির আমার জেল পার্টনার, তাকে আমি সম্মান করি। কিন্তু ইউনিয়ন জামায়াত আমির জাহাঙ্গীর আলম উদ্দেশ্যমূলকভাবে হট্টগোল সৃষ্টির জন্য এই পরিস্থিতি তৈরি করেছেন।"
অন্যদিকে, ফেনী জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান ঘটনাটিকে বড় করে দেখতে নারাজ। তিনি বলেন, "তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। বিএনপির একজন নেতা কিছুটা বাড়াবাড়ি করছিলেন, আমি তাকে থামিয়ে দিয়েছি।"
তিনি আরও বলেন, "ইউনিয়ন আমির চেয়েছিলেন জেলার আমির হিসেবে আমি দোয়া পরিচালনা করি। বিষয়টি নিয়ে তিনি হয়তো দলীয়করণের বিষয় ভেবেছিলেন। পরে আমি তাকে বুঝিয়ে বলি এবং দোয়াও আমিই পরিচালনা করি। স্থানীয় ইমাম সাহেবই আমাকে অনুরোধ করেছিলেন।"
মুফতি হান্নান বলেন, "ফেনীতে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে সুসম্পর্ক রয়েছে। আমরাও ভালো আছি, তারাও ভালো আছেন।"
ভোরের আকাশ/মো.আ.