ফেনীতে নদীর পানি কমলেও ভোগান্তিতে প্লাবিত এলাকার মানুষ
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে অন্তত ২০টি স্থানে বাঁধ ভেঙে গেছে। ফলে সীমান্তঘেঁষা ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বহু গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। কিছু কিছু এলাকায় নদীর পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগ কাটেনি দুর্গত মানুষের।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, পরশুরামে ১২টি ও ফুলগাজীতে ৮টি পয়েন্টে নদীর বাঁধ ভেঙেছে। এর মধ্যে মুহুরী নদীতে ১০টি, কহুয়ায় ৬টি ও সিলোনিয়ায় ৪টি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এর ফলে অন্তত ৩৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন এলাকা প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে।ফুলগাজীর দৌলতপুরের বাসিন্দা রেজিয়া বেগম বলেন, “গত বছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর কিছুটা সামলে উঠেছিলাম, এবার আবার সব পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রতিবারই জুলাই-আগস্টে বাঁধ ভাঙে, এখন মনে হয় এই এলাকায় জন্মেই ভুল করেছি।”উত্তর শ্রীপুরের বাসিন্দা আলী আজ্জম বলেন, “বাঁধে ভাঙনের কারণে তীব্র স্রোতে পানি ঢুকছে। বিদ্যুৎ নেই, নেটওয়ার্কও নেই। সরকার বদলায়, কিন্তু আমাদের ভাগ্য বদলায় না।”গাইনবাড়ির পুষ্পিতা রাণী বলেন, “ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। বাচ্চা ও বয়স্কদের নিয়ে চরম কষ্টে আছি। শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট চরমে। বাঁধ মজবুত না হলে প্রতিবছরই এই দুর্ভোগ হবে।”ফেনীর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তিন দিন ধরে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বুধবার (৯ জুলাই) রাত ৯টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড হয়েছে ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টি। বৃহস্পতিবারও হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, “রাত ৯টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নামে। তবে ভাঙন দিয়ে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানি কমার পরই বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।”জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, পরশুরাম, ফুলগাজী ও সদর উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ। ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ছয় উপজেলায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
১০ জুলাই ২০২৫ ০৬:১৬ এএম
ফেনীতে প্রস্তুত ১৩১ আশ্রয়কেন্দ্র, খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম
টানা ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নানা প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে দুই উপজেলায় মোট ১৩১টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গতদের জন্য শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবারের জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৯ জুলাই) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম।জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজী উপজেলায় ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরশুরাম উপজেলায় ৩২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার, রান্না করা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলায় ৪০০ করে মোট ৮০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। রান্না করা খাবার সরবরাহের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।এদিকে ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের অন্তত দশটি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্য জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখায় ২৪ ঘণ্টা খোলা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। যোগাযোগ নম্বর: 01818-444500, 01336-586693।ভোরের আকাশ/এসএইচ
০৯ জুলাই ২০২৫ ০৯:১৪ পিএম
ফেনীতে বাঁধের ১৭ স্থানে ভাঙন, ৩০ গ্রাম প্লাবিত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
ফেনীতে প্রবল বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের ঢলে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া ৩ নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৪টি স্থান ভেঙে গেছে। এতে ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাজারও মানুষ। বুধবার (৯ জুলাই) সরেজমিনে এ দুই উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনায় দুটি, অলকায় ৩টি, শালধর এলাকায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার উত্তর শ্রীপুর এলাকায় একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। সিলোনিয়া নদীর পরশুরামের গদানগর এলাকায় একটি ও ফুলগাজীর দেড়পড়া এলাকার দুটি স্থানে ভেঙেছে।এ ছাড়াও কহুয়া নদীর পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়ায় দুটি, বেড়াবাড়িয়ায় একটি ও ফুলগাজী উপজেলার দৌলতপুর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম বলেন, নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে আরও বাঁধ ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে।ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের ৬টি স্থান ভেঙে গেছে। এর মধ্যে মুহুরী নদীর ফুলগাজী অংশে দুটি ও সিলোনিয়া নদীর পরশুরাম অংশে চারটি। ভাঙন রোধে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।এর আগে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত জেলায় সর্বোচ্চ ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। যা ফেনীর ইতিহাসে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড ছিল।ভোরের আকাশ/এসএসএইচ
০৯ জুলাই ২০২৫ ০৯:০১ পিএম
ফেনীতে নদীর বেড়িবাঁধে ভাঙন, প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল
ফেনীতে টানা ভারী বৃষ্টির কারণে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর বেড়িবাঁধের অন্তত পাঁচটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে জেলার ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার বিভিন্ন নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনকবলিত এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিতে মাইকিং করছে।ফেনী আবহাওয়া কার্যালয়ের ইনচার্জ মো. মজিবুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ। আগামী ২-৩ দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাঁধের পাঁচটি পয়েন্ট ভেঙে গেছে।সকালে ফুলগাজী বাজারের শ্রীপুর রোড সংলগ্ন মুহুরী নদীর তীরে বাঁধ ভেঙে পড়লে নদীগর্ভে হারিয়ে যায় কয়েকটি দোকান।মনিপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান জানান, মঙ্গলবার বিকেলে সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হতে দেখা যায়। নদীর পানি ছড়িয়ে পড়ে সুবার বাজারের দক্ষিণাংশ প্লাবিত করেছে।পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম জানান, পরশুরাম উপজেলার জঙ্গলঘোনা, গদানগর এবং ফুলগাজীর দেড়পাড়া ও সাহেব নগরের বেড়িবাঁধে ভাঙনের কারণে ওইসব এলাকার একাধিক গ্রামের নিচু অংশে পানি ঢুকে পড়েছে। ভোরের আকাশ/হ.র
০৯ জুলাই ২০২৫ ০৪:২৯ এএম
ফেনীতে রেকর্ড বৃষ্টি, বিপৎসীমার ওপরে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি
টানা বর্ষণ এবং ভারতীয় উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে ফেনীর মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় রেকর্ড ৪০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ৩টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। আগামী ২-৩ দিন এমন বৃষ্টিপাত চলতে পারে বলে সতর্কবার্তাও দেওয়া হয়েছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভারী বর্ষণের কারণে ফেনী শহরের একাধিক এলাকা পানির নিচে চলে গেছে। বিশেষ করে ডাক্তারপাড়া, শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক, একাডেমি, পুরাতন রেজিস্ট্রি অফিস, শাহীন একাডেমি, পাঠান বাড়ি, নাজির রোড, মিজান রোড, সদর হাসপাতাল মোড় এবং পেট্রো বাংলা এলাকা সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার শিকার। দোকানপাটে পানি ঢুকে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মালপত্র। অনেক এলাকার বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাশেম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে মুহুরী ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপরে রয়েছে। এতে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, "ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধগুলোর বিষয়ে স্থানীয়দের সতর্ক করা হয়েছে।"ফেনী পৌর প্রশাসক গোলাম মো. বাতেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে শহরের জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তবে বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যাবে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ৭টি টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, পানি নিষ্কাশনে যেসব জায়গায় সমস্যা রয়েছে, সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।ভোরের আকাশ/আজাসা
০৯ জুলাই ২০২৫ ০৩:০৪ এএম
ফেনীর মোহাম্মদ উল্যাহ হত্যা মামলার আসামি দেলোয়ার ঢাকার গ্রেফতার
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার চাঞ্চল্যকর মোহাম্মদ উল্যাহ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামী মো. দেলোয়ার হোসেন (৪৫) রোববার (১৫ জুন) রাতে ঢাকার লালবাগ এলাকা থেকে র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।র্যাব জানায়, গোপন খবর পেয়ে মোহাম্মদ উল্যাহ হত্যা মামলার এজাহারভূক্ত পলাতক আসামি মো. দেলোয়ার হোসেন ঢাকা মহানগরীর লালবাগ থানার রাজ নারায়ণ ধর এলাকায় অবস্থান করছে। র্যাবের একটি দল অভিযান চালিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার দেলোয়ার ফেনীর পরশুরাম উপজেলার দক্ষিণ টেটেশ্বর গ্রামের মো. সামসুল হকের ছেলে।র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এ.আর.এম. মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, মোহাম্মদ উল্যাহ হত্যা মামলার পলাতক আসামী দেলোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরশুরাম থানা হস্তান্তর করা হয়েছে।এর আগে, ফেনীর পরশুরাম উপজেলার উত্তর টেটেশ্বর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ উল্যাহ। প্রতিবেশী দেলোয়ার হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা মোহাম্মদ উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যেদের হত্যার হুমকি প্রদান করে। গত ৫ মে সকালে মোহাম্মদ উল্যাহর ভাইদের সাথে প্রতিবেশী মো. দেলোয়ার হোসেনের সহযোগীদের গাছকাটা নিয়ে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এসময় মোহাম্মদ উল্যাহ ভাইদের ও মো. দেলোয়ার হোসেন এবং তার সহযোগীদের শান্ত করার চেষ্টা করতে গেলে দেশী ধারালো অস্ত্র, লোহার রড, দা, লাঠি সোটা দিয়ে অর্তকির্ত হামলা চালায়। এসময় মোহাম্মদ উল্যাহ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরিবার ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে ১০ মে মোহাম্মদ উল্যাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে পরশুরাম থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ ও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ভোরের আকাশ/আজাসা
১৬ জুন ২০২৫ ০২:৫৮ পিএম
ফেনীর ৩ আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী চুড়ান্ত
ফেনীর ৩ টি আসনে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।শুক্রবার বিকেলে খেলাফত মজলিস ফেনী জেলা শাখার উদ্যোগ আয়োজিত প্রতিনিধি সমাবেশ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তৃণমূল দায়িত্বশীলের মতামতের ভিত্তিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ফেনীর ৩ টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ডক্টর মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল।ফেনী-১ আসনের জন্য জেলা জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা আজিজ উল্লাহ আহমদী, ফেনী -২ আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, ফেনী -৩ আসনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও সাবেক জেলা সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ আলি মিল্লাতের নাম ঘোষণা করা হয়।এসময় প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক "দেয়াল ঘড়ি" এর পক্ষে গণসংযোগ করতে নির্দেশ দেয়া হয়।ভোরের আকাশ/জাআ
১৫ জুন ২০২৫ ০২:২০ পিএম
দাগনভূঞায় পিকআপ-সিএনজি সংঘর্ষে আহত ২
ফেনীর দাগনভূঞার বেকের বাজার গরুবাজারের সামনে পিকআপ ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে দুইজন আহত হয়েছেন।আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।বুধবার (৪ জুন) রাত আনুমানিক ১০টা ৩০ মিনিটের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ফেনী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজিটি দাগনভূঞা বাজার থেকে ফেনীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এতে পাঁচজন যাত্রী ছিলেন। বেকের বাজার গরুবাজারের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ পাশের খোলা জায়গায় ঢোকার সময় পেছনের অংশের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষ ঘটে। এতে দুজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।আহত যাত্রীরা সবাই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাঁরা দাগনভূঞায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করতেন এবং ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন।ঘটনার পর দাগনভূঞা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করছে।ভোরের আকাশ/জাআ
০৫ জুন ২০২৫ ১২:০৪ পিএম
ফেনীতে ১৮ লাখ টাকার ভারতীয় পন্য জব্দ
ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া ও ফুলগাজী উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় চোরাচালানবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে ফেনী ব্যাটালিয়ন (৪ বিজিবি)। বুধবার পরিচালিত এ অভিযানে ভারতীয় শাড়ি, লেহেঙ্গা ও টি-শার্ট জব্দ করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১৮ লাখ ৪ হাজার টাকা।বিজিবি জানায়, জব্দকৃত এসব মালামাল স্থানীয় কাস্টমস অফিসে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ৪ বিজিবি জানায়, সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবির অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়মিতভাবে অব্যাহত রয়েছে।ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় যেকোনো ধরনের চোরাচালান প্রতিরোধে ৪ বিজিবি সদা তৎপর রয়েছে এবং এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’এদিকে, পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে এপ্রিল মাস থেকে ৪ জুন পর্যন্ত পৃথক অভিযানে ভারত থেকে পাচার হয়ে আসা মোট ১৭৩টি গরু আটক করেছে বিজিবি। জব্দকৃত গরুর মূল্য প্রায় ১ কোটি ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।ভোরের আকাশ/এসএইচ