চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৫ ০১:২৭ পিএম
চট্টগ্রামে হঠাৎ বন্ধ গ্যাস সরবরাহ, দুর্ভোগে নগরবাসী
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ বন্ধ গ্যাস সরবরাহ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। সকাল থেকেই গ্যাস না থাকায় রান্নাবান্না বন্ধ। অনেকেই সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবার বাইরে থেকে কিনছেন বাধ্য হয়ে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকাল ৭টার পর থেকে গ্যাসের চাপ কমে যায় বিভিন্ন এলাকায়। পরে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
জানা গেছে, নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, কাট্টলী, খুলশী, আগ্রাবাদ, হালিশহর, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, মোহরা, মুরাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ। ফলে রান্না-বান্নাসহ নিত্যকাজে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। কোনো নির্দেশনা ছাড়াই হঠাৎ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষ ক্ষোভ জানিয়েছেন।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, আজ সকাল ৭টা থেকে হঠাৎ গ্যাসের চাপ কমে যায়। জ্বালানো যাচ্ছে না চুলা। ফলে অনেক দুপুরে খাবার হোটেল থেকে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
তবে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে গ্যাস সরবরাহ হ্রাস পাওয়ায় গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
বাকলিয়া এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী হুরে জান্নাত শামীমা বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে চা করতে এসে দেখি গ্যাস নেই। দুপুরেও রান্নাবান্না বন্ধ। এখন হোটেল থেকে কিনে খাওয়া ছাড়া উপায় নেই। এটা বাড়তি খরচ।
হালিশহর এলাকার বাসিন্দা সুধীর চক্রবর্তী বলেন, সকাল থেকে গ্যাস নেই। বাইরে থেকে খাবার কিনে সকালে নাস্তা করেছি। গ্যাসের বন্ধের অগ্রিম কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। দুপুরে খাবার হয়ত হোটেল থেকেই কিনেত খেতে হবে।
কেজিডিসিএল সূত্রে জানা যায়, বৈরি আবহাওয়ার কারণে জাতীয় গ্রিড থেকে চট্টগ্রামে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় এলএনজি টার্মিনাল থেকে সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ফলে এমন সংকট তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল’র) মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, চট্টগ্রামে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের চাহিদা থাকলেও বর্তমানে ১৯০-২০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। ফলে গ্যাসের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক করার সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
ভোরের আকাশ/জাআ