ভোরের আকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৮ মে ২০২৫ ১০:৪৩ এএম
মার্কিন শুল্ক নিয়ে ভয়ের কিছু নেই: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে আমরা যতটা ভয় পাচ্ছি; ততটা ভয়ের কিছু নেই। কারণ, বাণিজ্য অর্থনীতিতে চূড়ান্ত শত্রু বলে কিছু নেই। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমন মন্তব্য করেছেন।
শনিবার (১৭ মে) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক শুল্ক এবং বাংলাদেশের কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এমন কথা বলেছেন এই অর্থনীতিবিদ।
ইউএস ট্যারিফ বিষয়ে সরকারের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ঠিকই ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের হাত-পা কাঁপানোর দরকার নেই।
দেবপ্রিয় বলেন, এরই মধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমঝোতা শুরু হয়েছে। আমাদের ওপর ট্যারিফ দিলে, এটা তাদের জন্যও ক্ষতি। তাদের পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাবে। কারণ, শুল্কের দাঁত তাদের ওপরও পড়বে। তাই আমাদের ওপর শুল্কের আঘাত তুলনামূলক হিসেবে আসছে না।
এ সময় ড. দেবপ্রিয় এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের হাতে দুই বছর রয়েছে। এই সময়টা আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি কি না সেটা দেখতে হবে। শুধু ট্রেড পলিসি দিয়ে এই ট্যারিফ মোকাবিলা করা যাবে না; পণ্য বৈচিত্র্যকরণে যেতে হবে। আমাদের শক্তির জায়গা থেকে চিন্তা করতে হবে। আমাদের মনোযোগ পণ্যের চেয়ে সেবাখাতে বেশি দিতে হবে।
সেমিনারে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) সভাপতি মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের নেগোসিয়েশন দক্ষতা কম। নেগোসিয়েশন দক্ষতা আরও বাড়াতে হবে। পলিসি এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাসরুর রিয়াজ বলেন, দুই হাতি যখন মারামারি করে, তখন নিচের ঘাস ক্রাশ (দলিত-মথিত) হয়। আবার তারা খেলা করলেও ঘাস ক্রাশ হয়। সুতরাং, চায়না এবং ইউএস-এর এই যুদ্ধে আমাদের খুব সতর্কতার সঙ্গে এগোতে হবে। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ইউএস ট্যারিফ মোকাবিলায় তুলার জন্য ওয়্যারহাউস তৈরিসহ সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।
সভায় বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ’র পরিচালক রাজিব হায়দার বলেন, প্রতিটি দুর্যোগের পর একটা সুযোগ আসে। কিন্তু সেই সুযোগ তারাই পায়, যারা বেঁচে থাকে। গ্যাসের যে দুর্যোগ শুরু হয়েছে, তাতে আমরা ব্যবসায়ীরা তো বেঁচেই থাকব না। প্রতিদিন গ্যাসের মিটার নামছে। আমাদের ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমে গেছে। সুতরাং, আমাদের সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে লাভ নেই। তিনি দ্রুত গ্যাস সমস্যার সমাধানে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনার দাবি জানান।
ভোরের আকাশ/এসএইচ