সংগৃহীত ছবি
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগের পাঁচ যুগ্ম কর কমিশনার ও তিন উপ-কর কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে ইস্যু করা পৃথক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন: কর অঞ্চল-২ এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর মুরাদ আহমদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন, নোয়াখালী কর অঞ্চলের মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা ও কক্সবাজারের কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার আশরাফুল আলম প্রধান এবং উপ-কর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, কুমিল্লার উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল ও রংপুরের নুসরাত জাহান শমী।
ভোরের আকাশ/এসএইচ
সংশ্লিষ্ট
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর বিভাগের পাঁচ যুগ্ম কর কমিশনার ও তিন উপ-কর কমিশনারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে ইস্যু করা পৃথক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন: কর অঞ্চল-২ এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর মুরাদ আহমদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন, নোয়াখালী কর অঞ্চলের মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা ও কক্সবাজারের কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার আশরাফুল আলম প্রধান এবং উপ-কর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, কুমিল্লার উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল ও রংপুরের নুসরাত জাহান শমী।ভোরের আকাশ/এসএইচ
অন্তর্বর্তী সরকারের খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আগস্ট মাস থেকে দেশের ৫৫ লাখ দরিদ্র ও নিম্ন-আয়ের পরিবারকে প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে ৩০ কেজি করে চাল দেয়া হবে। এই কর্মসূচি চলবে ছয় মাসব্যাপী। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে খাদ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেছেন।আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আগামী আগস্ট মাস থেকে ফের চালু হচ্ছে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি। এতে দেশের ৫৫ লাখ পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবে ছয় মাস ধরে। প্রতিটি কেজি চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ টাকা।সরকারি পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর- এই চার মাস চাল বিতরণ করা হবে। এরপর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে কর্মসূচি স্থগিত থাকবে। পরবর্তীতে আবার ফেব্রুয়ারি ও মার্চে চাল বিতরণ করা হবে।খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বন্যার প্রভাব মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে সরকারিভাবে ৪ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হবে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে ৫ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।ভোরের আকাশ/এসএইচ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশন এবং তার পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বাধীন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অনুদান ও দানের নথিপত্র চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সূচনা ফাউন্ডেশনকে ২০১৬ ও ২০২৩ সালের দুটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয়কর ও দানের ওপর করমুক্ত সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল। ওই সুবিধাসংক্রান্ত নথি, বিশেষ করে এসআরও নং-৮৭-আইন/২০১৬ অনুযায়ী দান ও অনুদান মওকুফ সংক্রান্ত মূল নথি (নোটশিটসহ) ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।চিঠিতে আরও বলা হয়, নথিগুলো যাঁরা সংরক্ষণ করেন, তাঁদের নাম, পিতার নাম, বয়স, পদবি, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বরসহ কর্মবণ্টন তালিকার সত্যায়িত কপিও জমা দিতে হবে।এ বিষয়ে দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, অনুসন্ধানের স্বার্থে নথি তলব করা দুদকের একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। অনুসন্ধান কর্মকর্তা প্রয়োজনে যেকোনো নথি চেয়ে নিতে পারেন।এ অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম। তার সঙ্গে রয়েছেন সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া, মুবাশ্বিরা আতিয়া তমা, এস এম রাশেদুল হাসান, এ কে এম মুর্তুজা আলী সাগর, মো. মনিরুল ইসলাম (অন্য এক সদস্য) ও উপসহকারী পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সূচনা ফাউন্ডেশনের করমুক্ত সুবিধা বাতিল করে এনবিআর। এরপর থেকেই ফাউন্ডেশনটির অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক।২০ মার্চ এক অভিযোগের ভিত্তিতে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৭ সালের মে মাসে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসভুক্ত ২০টি ব্যাংককে সূচনা ফাউন্ডেশনের সিএসআর ফান্ডে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা দিতে চাপ দেওয়া হয়। এই অর্থ কীভাবে খরচ হয়েছে—তা জানতে দুদক সূচনা ফাউন্ডেশনে চিঠি দিলেও কোনো নথি পাওয়া যায়নি। এমনকি এক অভিযানে ফাউন্ডেশনের অফিসের অস্তিত্বও মেলেনি।একই দিনে আরেকটি মামলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে ভুয়া যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগ আনা হয় সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়, বিএসএমএমইউ-তে শিক্ষকতার ভুয়া অভিজ্ঞতা দেখিয়ে তিনি ২০২৩ সালে ডব্লিউএইচও-তে আবেদন করেন এবং নিয়োগ পান।চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি দুদকের একটি দল সূচনা ফাউন্ডেশনে অভিযান চালায়। সে সময় অফিসের কোনো অস্তিত্ব না পাওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক লেনদেন ও প্রাথমিক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায় বলে জানায় দুদক।২০১৪ সালে স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে সূচনা ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। মানসিক ও স্নায়ুবিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে এই প্রতিষ্ঠান। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন।ভোরের আকাশ//হ.র
চলতি জুলাই মাসের প্রথম ১২ দিনেই প্রবাসীরা দেশে পাঠিয়েছেন ১০৭ কোটি (১.০৭ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা হিসাবে)। চলতি মাসের বাকি দিনগুলোতেও এ গতি অব্যাহত থাকলে, জুলাই মাস শেষে রেমিট্যান্স ২৭৬ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। রোববার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো এ রেমিট্যান্স দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির ফলেই রেমিট্যান্সে এ ধারাবাহিকতা এসেছে।সব শেষ জুন মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২৮২ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি।সদ্য সদ্যসমাপ্ত ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে রেকর্ড প্রবাহ এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যমতে, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই অংক এক অর্থবছরে দেশে আসা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। প্রবাসী আয়ের এমন ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও ডলারের জোগানে স্বস্তি এনে দিয়েছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে দেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের এই অঙ্ক গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০২৩ সালের জুনে রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে মোট রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার।আর ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বিপিএম-৬ ছিল ২১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।এদিকে, আগামী (২০২৫-২৬) অর্থবছরে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে প্রাক্কলন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের মিডিয়াম টার্ম ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসি স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, আগামী অর্থবছরে রপ্তানিতে ১০ শতাংশ, আমদানিতে ৮ শতাংশ এবং রেমিট্যান্সে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হয়েছে।ভোরের আকাশ/আজাসা